alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ফেসবুক লাইভে সতর্কতা

: শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়েছে। মুহূর্তে আগুনের উত্তাপে লাল হয়ে ওঠে ডিপো এলাকার আকাশ। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডবাহী কনটেইনার বিস্ফোরণে আশেপাশে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকায় কম্পন হয়। বাড়ি ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে সবদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহুলোক। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছে। বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য পুড়ে ছাই। কনটেইন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডের লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক অতি উৎসাহিত হয়ে আগুনের ভয়াবহতা আঁচ করতে না পেরে কাছাকাছি গিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তুলছেন। বেশ কিছুক্ষণ লাইভ চলাকালীন সময়ে বিস্ফোরণের শব্দে মোবাইলের স্ক্রিন কালো হয়ে যায়। কোন কিছু বুঝার আগে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ, শ্রমিক উৎসুক জনতা অগ্নিকান্ডের শিকার হন। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছি, যেখানে সেখানে ছবি, ভিডিও ধারণ করছি। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে যাক, তাতে কিছু যায় আসে না। ফেসবুকে লাইভ কিংবা মোবাইলে ছবি, ভিডিও করা যেন তাদের দায়িত্ব।

সাধারণত বাড়িঘর, দোকানে আগুন লাগলে মানুষ প্রাণ বাঁচতে ছোটাছুটি করে। এই দুর্ঘটনাই ঠিক ভিন্নরূপ দেখা গেছে, উৎসুক জনতা আগুনে সামনে গিয়ে ভিড় করছে। এই অসতর্ক ভুলে হতাহতের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। যে কোন দুর্ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তোলার চেয়ে নিজে সর্তকতা অবলম্বন করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।

তাই পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে লাইভ বা ভিডিও করাই কাম্য। সীতাকুন্ডের মতো এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন আর না ঘটে। সেজন্য আমাদের সবার সচেতন হতে হবে। জীবনের বিনিময়ে লাইভে যেন ভাইরাল হতে না হয়।

মো. সাইমুন

সৌদি আরব প্রবাসী

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ফেসবুক লাইভে সতর্কতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়েছে। মুহূর্তে আগুনের উত্তাপে লাল হয়ে ওঠে ডিপো এলাকার আকাশ। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডবাহী কনটেইনার বিস্ফোরণে আশেপাশে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকায় কম্পন হয়। বাড়ি ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে সবদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহুলোক। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছে। বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য পুড়ে ছাই। কনটেইন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডের লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক অতি উৎসাহিত হয়ে আগুনের ভয়াবহতা আঁচ করতে না পেরে কাছাকাছি গিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তুলছেন। বেশ কিছুক্ষণ লাইভ চলাকালীন সময়ে বিস্ফোরণের শব্দে মোবাইলের স্ক্রিন কালো হয়ে যায়। কোন কিছু বুঝার আগে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ, শ্রমিক উৎসুক জনতা অগ্নিকান্ডের শিকার হন। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছি, যেখানে সেখানে ছবি, ভিডিও ধারণ করছি। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে যাক, তাতে কিছু যায় আসে না। ফেসবুকে লাইভ কিংবা মোবাইলে ছবি, ভিডিও করা যেন তাদের দায়িত্ব।

সাধারণত বাড়িঘর, দোকানে আগুন লাগলে মানুষ প্রাণ বাঁচতে ছোটাছুটি করে। এই দুর্ঘটনাই ঠিক ভিন্নরূপ দেখা গেছে, উৎসুক জনতা আগুনে সামনে গিয়ে ভিড় করছে। এই অসতর্ক ভুলে হতাহতের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। যে কোন দুর্ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তোলার চেয়ে নিজে সর্তকতা অবলম্বন করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।

তাই পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে লাইভ বা ভিডিও করাই কাম্য। সীতাকুন্ডের মতো এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন আর না ঘটে। সেজন্য আমাদের সবার সচেতন হতে হবে। জীবনের বিনিময়ে লাইভে যেন ভাইরাল হতে না হয়।

মো. সাইমুন

সৌদি আরব প্রবাসী

back to top