alt

চিঠিপত্র

চিঠি : প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলা নয়

: শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে পৃথক পৃথক সত্ত্বা বিদ্যমান। অভ্যন্তরীণ গুণাগুণ, দোষ-ত্রুটি ছাড়া বাহ্যিকভাবেও রয়েছে অনেক পার্থক্য। অনেকেই আছেন যাদের কারও হাত নেই, কারও পা নেই, কারও বা দৃষ্টিশক্তি নেই। আবার অনেকে কানে শোনে না, কথাও বলতে পারে না। সমাজ তাদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুসারে, আমাদের দেশের প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী। নানা কারণেই মানুষ প্রতিবন্ধতী হয়ে থাকে। গবেষণার তথ্য মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, সামাজিক সহযোগিতা ও সামাজিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার থেকে প্রায় সময়ই বঞ্চিত হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে যারা নারী; তারা একই সঙ্গে ‘নারী’ ও ‘প্রতিবন্ধী’ হওয়ায় বিভিন্ন পরিসরে দ্বিগুণ বৈষম্য, দারিদ্র্য এবং শারীরিক নির্যাতনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

বিভিন্ন দেশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর নানাবিধ কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিবন্ধীবিষয়ক বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের অঙ্গীকার প্রদান করছে। তবুও পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সাধারণত সমাজের অনগ্রসর ও পরনিভর্রশীল অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। যদিও এটা ঠিক যে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যদি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সমর্থন পায় তবে তারা তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে। জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

তাই প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলা নয়, ভালোবাসা আর সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের উচিত প্রতিবন্ধী মানুষের দিকে তাকানো তার অক্ষমতার দিকে নয়। তাদের দিকে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়কেই বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশকে উন্নয়নের বাইরে রেখে কোনো দেশের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তাই উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে একটি সম্মিলিত সমাজ বিনির্মাণ করা অত্যাবশ্যক। জাতীয় উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থেই প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করা এখন সময়ের দাবি।

মেহেদী হাসান অর্ণব

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলা নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২

সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে পৃথক পৃথক সত্ত্বা বিদ্যমান। অভ্যন্তরীণ গুণাগুণ, দোষ-ত্রুটি ছাড়া বাহ্যিকভাবেও রয়েছে অনেক পার্থক্য। অনেকেই আছেন যাদের কারও হাত নেই, কারও পা নেই, কারও বা দৃষ্টিশক্তি নেই। আবার অনেকে কানে শোনে না, কথাও বলতে পারে না। সমাজ তাদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুসারে, আমাদের দেশের প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী। নানা কারণেই মানুষ প্রতিবন্ধতী হয়ে থাকে। গবেষণার তথ্য মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, সামাজিক সহযোগিতা ও সামাজিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার থেকে প্রায় সময়ই বঞ্চিত হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে যারা নারী; তারা একই সঙ্গে ‘নারী’ ও ‘প্রতিবন্ধী’ হওয়ায় বিভিন্ন পরিসরে দ্বিগুণ বৈষম্য, দারিদ্র্য এবং শারীরিক নির্যাতনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

বিভিন্ন দেশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর নানাবিধ কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিবন্ধীবিষয়ক বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের অঙ্গীকার প্রদান করছে। তবুও পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সাধারণত সমাজের অনগ্রসর ও পরনিভর্রশীল অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। যদিও এটা ঠিক যে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যদি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সমর্থন পায় তবে তারা তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে। জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

তাই প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলা নয়, ভালোবাসা আর সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের উচিত প্রতিবন্ধী মানুষের দিকে তাকানো তার অক্ষমতার দিকে নয়। তাদের দিকে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়কেই বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশকে উন্নয়নের বাইরে রেখে কোনো দেশের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তাই উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে একটি সম্মিলিত সমাজ বিনির্মাণ করা অত্যাবশ্যক। জাতীয় উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থেই প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করা এখন সময়ের দাবি।

মেহেদী হাসান অর্ণব

back to top