alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অবহেলিত শিক্ষক সমাজের বাজেট ভাবনা

: বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণিত হয়েছে জাতীয় ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে। এই শিক্ষাক্রমের রয়েছে নানা শক্তিশালী ও ইতিবাচক দিক। কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

সম্ভাবনাময় এই শিক্ষাক্রমটি বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, সেগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা হলো এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। গত দুই দশকে একাধিক শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া হোঁচট খেয়েছে। শিক্ষকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ, তাদের জীবনমানোন্নয়ন তথা আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।

বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ শিক্ষানীতির ফলে তিনি শিক্ষকদেরকে শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে শিক্ষা জাতীয়করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের শিক্ষা বিশ্বদরবারে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতো। এতদিন প্রাথমিকের ন্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও সরকারি হয়ে যেত।

সমীক্ষার তথ্য জানাচ্ছে, দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি মাত্র দশ টাকা টিউশন ফি নিয়ে সেই অর্থ দিয়েও জাতীয়করণ সম্ভব। আমাদের দেশের বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নানাভাবে অবহেলিত। তারা সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো একই শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে পাঠদান করছেন। কিন্তু, সরকারি নিয়মে বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে নানা আমলাতন্ত্রিক জটিলতায় দেশের শত শত প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিও হতে পারেনি। এছাড়াও নানা জটিলতায় বেসরকারি কলেজের অনার্স লেভেলের শিক্ষকরাও বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। অতীব দুঃখের কথা হলো, একজন মাস্টার্স পাশ এমপিও শিক্ষকের (বিএড বিহীন) প্রারম্ভিক বেতন স্কেল মাত্র ১২ হাজার ৫শ টাকা। এর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া ১ হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫শ টাকা যোগ হয়। অপরদিকে ‘শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এবং ‘অবসর সুবিধা বোর্ড’-এর ১০ শতাংশ টাকা কর্তন করে নেয়া হয়। সর্বসাকুল্য তিনি মাসিক বেতন পান মাত্র ১২ হাজার ৭৫০ টাকা মাত্র। এই সামান্য বেতনে কিভাবে একজন মানুষের ৫ সদস্যের সংসার চলতে পারে।

শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখা ও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষকদের দাবিসমূহ- দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে, উন্নত ও মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিতে হবে, সরকারি নিয়মে বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দিতে হবে, প্রচলিত ‘শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এবং ‘অবসর সুবিধা বোর্ড’ বিলুপ্ত করে সরকারি নিয়মে পেনশন স্কিম চালু করতে হবে,শিক্ষকদের অর্থিক সাপোর্ট ও গৃহনির্মাণ ঋণসহ সব ধরনের ঋণ বা আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে ‘শিক্ষা ব্যাংক’ চালু করতে হবে, সরকারি কলেজের নিয়মে প্রভাষকদের পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে, শিক্ষা খাতে অবশ্যই জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে। আসছে বাজেটে শিক্ষা ও শিক্ষকদের জীবন-মান উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিলাল হোসেন মাহিনী

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অবহেলিত শিক্ষক সমাজের বাজেট ভাবনা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণিত হয়েছে জাতীয় ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে। এই শিক্ষাক্রমের রয়েছে নানা শক্তিশালী ও ইতিবাচক দিক। কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

সম্ভাবনাময় এই শিক্ষাক্রমটি বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, সেগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা হলো এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। গত দুই দশকে একাধিক শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া হোঁচট খেয়েছে। শিক্ষকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ, তাদের জীবনমানোন্নয়ন তথা আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।

বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ শিক্ষানীতির ফলে তিনি শিক্ষকদেরকে শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে শিক্ষা জাতীয়করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের শিক্ষা বিশ্বদরবারে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতো। এতদিন প্রাথমিকের ন্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও সরকারি হয়ে যেত।

সমীক্ষার তথ্য জানাচ্ছে, দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি মাত্র দশ টাকা টিউশন ফি নিয়ে সেই অর্থ দিয়েও জাতীয়করণ সম্ভব। আমাদের দেশের বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নানাভাবে অবহেলিত। তারা সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো একই শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে পাঠদান করছেন। কিন্তু, সরকারি নিয়মে বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে নানা আমলাতন্ত্রিক জটিলতায় দেশের শত শত প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিও হতে পারেনি। এছাড়াও নানা জটিলতায় বেসরকারি কলেজের অনার্স লেভেলের শিক্ষকরাও বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। অতীব দুঃখের কথা হলো, একজন মাস্টার্স পাশ এমপিও শিক্ষকের (বিএড বিহীন) প্রারম্ভিক বেতন স্কেল মাত্র ১২ হাজার ৫শ টাকা। এর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া ১ হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫শ টাকা যোগ হয়। অপরদিকে ‘শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এবং ‘অবসর সুবিধা বোর্ড’-এর ১০ শতাংশ টাকা কর্তন করে নেয়া হয়। সর্বসাকুল্য তিনি মাসিক বেতন পান মাত্র ১২ হাজার ৭৫০ টাকা মাত্র। এই সামান্য বেতনে কিভাবে একজন মানুষের ৫ সদস্যের সংসার চলতে পারে।

শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখা ও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষকদের দাবিসমূহ- দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে, উন্নত ও মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিতে হবে, সরকারি নিয়মে বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দিতে হবে, প্রচলিত ‘শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এবং ‘অবসর সুবিধা বোর্ড’ বিলুপ্ত করে সরকারি নিয়মে পেনশন স্কিম চালু করতে হবে,শিক্ষকদের অর্থিক সাপোর্ট ও গৃহনির্মাণ ঋণসহ সব ধরনের ঋণ বা আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে ‘শিক্ষা ব্যাংক’ চালু করতে হবে, সরকারি কলেজের নিয়মে প্রভাষকদের পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে, শিক্ষা খাতে অবশ্যই জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে। আসছে বাজেটে শিক্ষা ও শিক্ষকদের জীবন-মান উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিলাল হোসেন মাহিনী

back to top