তহবিল ঘাটতির কারণেই পেনশনের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় এক দশক আগে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন প্রাপ্তি বিষয়ক জটিলতা যে পর্যায় ছিল, বর্তমানে সেই একই পর্যায় রয়ে গেছে। শিক্ষকদের শেষ জীবনে এসে নিজেদের প্রাপ্য অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করাটা দুর্ভাগ্যজনক। জানা যায় বর্তমানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আর্থিক দাবী ঝুলে আছে। এ বিষয়ক ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা অর্থের ঘাটতি।
এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধা তহবিলের একটি অংশ আসে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাঁদা থেকে বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে প্রদানের কথা। সরকারের দেয়া অর্থের মুনাফা আর শিক্ষক-কর্মচারীদের দেয়া চাঁদার অর্থ এ দুই উৎস থেকে প্রতিমাসে যে পরিমাণ অর্থ জমা হয় তা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন আবেদন নিষ্পত্তি করা যায় না। নানা রকম সংকটের মধ্য দিয়েই বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের দিন যাপন করতে হয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জীবনের শুরু থেকেই এমপিও প্রাপ্তি চাকরি স্থায়ীকরণ ইত্যাদি নানা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শেষ বয়সে এসে শিক্ষক-কর্মচারীরা যেন আর ভোগান্তির শিকার না হন সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। শিক্ষকদের দুঃখ দূর করতে নিয়মিত বাজেটে বরাদ্দ দেয়া দরকার বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়
সিলেট
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
তহবিল ঘাটতির কারণেই পেনশনের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় এক দশক আগে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন প্রাপ্তি বিষয়ক জটিলতা যে পর্যায় ছিল, বর্তমানে সেই একই পর্যায় রয়ে গেছে। শিক্ষকদের শেষ জীবনে এসে নিজেদের প্রাপ্য অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করাটা দুর্ভাগ্যজনক। জানা যায় বর্তমানে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আর্থিক দাবী ঝুলে আছে। এ বিষয়ক ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা অর্থের ঘাটতি।
এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধা তহবিলের একটি অংশ আসে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাঁদা থেকে বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে প্রদানের কথা। সরকারের দেয়া অর্থের মুনাফা আর শিক্ষক-কর্মচারীদের দেয়া চাঁদার অর্থ এ দুই উৎস থেকে প্রতিমাসে যে পরিমাণ অর্থ জমা হয় তা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন আবেদন নিষ্পত্তি করা যায় না। নানা রকম সংকটের মধ্য দিয়েই বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের দিন যাপন করতে হয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জীবনের শুরু থেকেই এমপিও প্রাপ্তি চাকরি স্থায়ীকরণ ইত্যাদি নানা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শেষ বয়সে এসে শিক্ষক-কর্মচারীরা যেন আর ভোগান্তির শিকার না হন সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। শিক্ষকদের দুঃখ দূর করতে নিয়মিত বাজেটে বরাদ্দ দেয়া দরকার বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়
সিলেট