alt

পাঠকের চিঠি

বৃক্ষের দেহে পেরেক ঠোকা কেন

: বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাছেরও যে জীবন আছে তা ১৯০১ সালে ভারতীয় বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমাণ করে গেছেন। গাছপালাও অন্যান্য জীবের মতোই খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য গ্রহণ, প্রজনন ইত্যাদির মাধ্যমে জীবন ধারণ করে থাকে। কিন্তু আমরা মনুষ্য জাতি প্রায় সময়ই তাদের প্রতি বর্বর আচরণ করে থাকি। বৃক্ষনিধন থেকে শুরু করে গাছপালার প্রতি মানুষের অন্যান্য মানবেতর কর্মকা-গুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও একটি ব্যাপার আমরা তেমন একটা আলোকপাত করি না। সেটা হলো বৃক্ষদেহে পেরেকের মাধ্যমে ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি সংযুক্ত করা।

এ যেন এক নীরব ঘাতক। তিলে তিলে ক্ষত করে চলেছে বৃক্ষদেহ। আজকাল শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই বৃক্ষের সঙ্গে এই অমানবিক কর্মকা- করে চলেছি আমরা। যেন দেখার কেউ নেই। ব্যানার-পোস্টারবিহীন সুস্থ-সবল গাছ খুঁজে পাওয়াই যেন আজ দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানুষেরা ভুলে যাই যে তাদেরও জীবন আছে। আছে ক্ষতস্থানের ব্যথা। অথচ এই গাছ-পালাই আমাদের মনুষ্যজাতির বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তারা কথা বলতে পারলে অবশ্যই আজ মনুষ্যজাতিকে উদ্দেশ্য করে পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ভাষায় বলতো- সে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ, আমি দেই তারে বুকভরা গান।

আমাদের মনুষ্যজাতির সুস্থ-সবলভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পেছনে গাছ-পালার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের প্রতি যতœশীল হওয়াটাও আমাদের মানবিক দায়িত্ব। তাই আসুন- আজ থেকে আমরা বৃক্ষদেহে পেরেকের মাধ্যমে ব্যানার-পোস্টার লাগানো হতে বিরত থাকি। সেইসঙ্গে সবকে এই কর্মকা- থেকে দূরে থাকার জন্য সচেতন করি।

হাসিবুল হাসান হিমেল

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক নিরাপদ সড়ক

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

ছবি

সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

রক্তদানে সম্পৃক্ত হোন

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

ছবি

বুড়িগঙ্গা নদীর বেহাল অবস্থা

মাদককে না, ক্রীড়াকে হ্যাঁ বলুন

বায়ুদূষণ

শিক্ষকদের পেনশন প্রাপ্তিতে দুর্ভোগ

ছবি

রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন বাস

শৃঙ্খলা ও শান্তির জন্য জননিরাপত্তা

¬তরুণদের সামাজিক কাজে উদ্বুুদ্ধ করতে হবে

মহাসড়কে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা

মাধ্যমিক থেকেই চাই কর্মমুখী শিক্ষা

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা জরুরি

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ চাই

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

tab

পাঠকের চিঠি

বৃক্ষের দেহে পেরেক ঠোকা কেন

বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাছেরও যে জীবন আছে তা ১৯০১ সালে ভারতীয় বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমাণ করে গেছেন। গাছপালাও অন্যান্য জীবের মতোই খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য গ্রহণ, প্রজনন ইত্যাদির মাধ্যমে জীবন ধারণ করে থাকে। কিন্তু আমরা মনুষ্য জাতি প্রায় সময়ই তাদের প্রতি বর্বর আচরণ করে থাকি। বৃক্ষনিধন থেকে শুরু করে গাছপালার প্রতি মানুষের অন্যান্য মানবেতর কর্মকা-গুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও একটি ব্যাপার আমরা তেমন একটা আলোকপাত করি না। সেটা হলো বৃক্ষদেহে পেরেকের মাধ্যমে ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি সংযুক্ত করা।

এ যেন এক নীরব ঘাতক। তিলে তিলে ক্ষত করে চলেছে বৃক্ষদেহ। আজকাল শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই বৃক্ষের সঙ্গে এই অমানবিক কর্মকা- করে চলেছি আমরা। যেন দেখার কেউ নেই। ব্যানার-পোস্টারবিহীন সুস্থ-সবল গাছ খুঁজে পাওয়াই যেন আজ দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মানুষেরা ভুলে যাই যে তাদেরও জীবন আছে। আছে ক্ষতস্থানের ব্যথা। অথচ এই গাছ-পালাই আমাদের মনুষ্যজাতির বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তারা কথা বলতে পারলে অবশ্যই আজ মনুষ্যজাতিকে উদ্দেশ্য করে পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ভাষায় বলতো- সে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ, আমি দেই তারে বুকভরা গান।

আমাদের মনুষ্যজাতির সুস্থ-সবলভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পেছনে গাছ-পালার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের প্রতি যতœশীল হওয়াটাও আমাদের মানবিক দায়িত্ব। তাই আসুন- আজ থেকে আমরা বৃক্ষদেহে পেরেকের মাধ্যমে ব্যানার-পোস্টার লাগানো হতে বিরত থাকি। সেইসঙ্গে সবকে এই কর্মকা- থেকে দূরে থাকার জন্য সচেতন করি।

হাসিবুল হাসান হিমেল

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

back to top