মানবতার তরে হও আগুয়ান, জীবন বাঁচাতে করো রক্ত দান। রক্ত দান একটি মহৎ মানবিক গুণ। দেশে বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে জীবন রক্ষার্থে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এক জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮-১০ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। যার ৩৫-৪০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে আর কিছু আসে রোগীর আত্মীয়-স্বজন থেকে। তারপরেও আমাদের দেশে রক্ত অপ্রতুলতার কারণে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। মূলত রক্তস্বল্পতার কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে দুর্ঘটনাজনিত ইমারজেন্সি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়, যেকোন ধরনের অস্ত্রোপচার এ অতিরিক্ত ব্লিডিং হওয়ার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়, রক্ত স্বল্পতা, ক্যান্সার, সিজার, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন কারণে জীবন বাঁচাতে মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
শুধু রক্ত হলেই চলবে না এ ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ একই হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেই সঙ্গে ডোনার কে অবশ্যই সংক্রমণ ব্যাধি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকতে হবে। রক্ত মানব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় টিস্যু যা ব্যতিত জীবন কল্পনা করা যায় না। সঠিক সময়ে রক্ত না পেয়ে অনেক রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আমাদের দেশে রক্তের চাহিদা পূরনে বিভিন্ন সংগঠন নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তন্মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন বাঁধন, কোয়ান্টামসহ ছোট বড় অনেক সেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। রক্তদান নেহায়াত সাদামাটা কোন সামাজিক কাজ নয় বরং রক্তদান একটি মহৎ মানবিক কাজ। রক্তদান শ্রেষ্ঠ দানগুলোর অন্যতম। সেই সঙ্গে রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন বাঁচাতে ভূমিকা পালনের যে মানসিক শান্তি তা ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ। তাই আমাদের উচিত রক্তদান কার্যক্রম কর্মসূচিকে বেগবান করা। আর সেই সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সদা প্রস্তুত থাকা। যার ফলে হাসবে রোগী, বাঁচবে প্রাণ।
বদিউজ্জামান বুলবুল
শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
মানবতার তরে হও আগুয়ান, জীবন বাঁচাতে করো রক্ত দান। রক্ত দান একটি মহৎ মানবিক গুণ। দেশে বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে জীবন রক্ষার্থে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এক জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮-১০ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। যার ৩৫-৪০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে আর কিছু আসে রোগীর আত্মীয়-স্বজন থেকে। তারপরেও আমাদের দেশে রক্ত অপ্রতুলতার কারণে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। মূলত রক্তস্বল্পতার কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে দুর্ঘটনাজনিত ইমারজেন্সি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়, যেকোন ধরনের অস্ত্রোপচার এ অতিরিক্ত ব্লিডিং হওয়ার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়, রক্ত স্বল্পতা, ক্যান্সার, সিজার, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন কারণে জীবন বাঁচাতে মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
শুধু রক্ত হলেই চলবে না এ ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ একই হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেই সঙ্গে ডোনার কে অবশ্যই সংক্রমণ ব্যাধি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকতে হবে। রক্ত মানব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় টিস্যু যা ব্যতিত জীবন কল্পনা করা যায় না। সঠিক সময়ে রক্ত না পেয়ে অনেক রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আমাদের দেশে রক্তের চাহিদা পূরনে বিভিন্ন সংগঠন নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তন্মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন বাঁধন, কোয়ান্টামসহ ছোট বড় অনেক সেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। রক্তদান নেহায়াত সাদামাটা কোন সামাজিক কাজ নয় বরং রক্তদান একটি মহৎ মানবিক কাজ। রক্তদান শ্রেষ্ঠ দানগুলোর অন্যতম। সেই সঙ্গে রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন বাঁচাতে ভূমিকা পালনের যে মানসিক শান্তি তা ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ। তাই আমাদের উচিত রক্তদান কার্যক্রম কর্মসূচিকে বেগবান করা। আর সেই সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সদা প্রস্তুত থাকা। যার ফলে হাসবে রোগী, বাঁচবে প্রাণ।
বদিউজ্জামান বুলবুল
শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ