ঢাকা এক সময়কার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শহর, আজ যেন তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। আধুনিক শহরায়ণের এই যুগে ঢাকার রাস্তাঘাট, ভবনের দেয়াল এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে পোস্টার আর বিজ্ঞাপনের অগণিত কাগজ। ফ্ল্যাট বিক্রি, প্রাইভেট পড়ানোর বিজ্ঞাপন, রাজনৈতিক প্রচারণা, এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠানের পোস্টারÑসব মিলিয়ে দেয়ালের আসল রূপ হারিয়ে গেছে। পোস্টার লাগানোর এই কাজ কেবল শহরের সৌন্দর্যকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না; বরং আমাদের মানসিক ও পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিজ্ঞাপন বা প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউব, কিংবা ডিজিটাল বিলবোর্ড হতে পারে পোস্টারের বিকল্প। শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন বোর্ড স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে সবাই পোস্টার লাগাতে পারবে। স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলোতে সচেতনতা কর্মসূচি চালু করে মানুষকে বোঝানো যেতে পারে দেওয়ালে পোস্টার লাগানোর ক্ষতিকর দিকগুলো।
যারা দেওয়ালে পোস্টার লাগাবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা বা শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে দেওয়াল পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত উদ্যোগ নিতে হবে।
একটি শহর তার স্থাপত্য, সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পায়। ঢাকার মতো শহরের দেওয়ালগুলো আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। এগুলো নষ্ট করা মানে কেবল শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা নয়, বরং আমাদের নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ইঙ্গিত। তাই আমাদের শহরকে আমাদেরই সাজাতে হবে। এটি পরিচ্ছন্ন রাখা এবং এর ঐতিহ্য রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা দেয়ালে পোস্টার লাগাব না এবং অন্যদেরও এই বিষয়ে সচেতন করব। পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, এবং পোস্টারমুক্ত ঢাকা গড়ে তোলা আমাদের হাতেই।
নবাব শাহজাদা
ঢাকা কলেজ
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা এক সময়কার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শহর, আজ যেন তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। আধুনিক শহরায়ণের এই যুগে ঢাকার রাস্তাঘাট, ভবনের দেয়াল এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে পোস্টার আর বিজ্ঞাপনের অগণিত কাগজ। ফ্ল্যাট বিক্রি, প্রাইভেট পড়ানোর বিজ্ঞাপন, রাজনৈতিক প্রচারণা, এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠানের পোস্টারÑসব মিলিয়ে দেয়ালের আসল রূপ হারিয়ে গেছে। পোস্টার লাগানোর এই কাজ কেবল শহরের সৌন্দর্যকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না; বরং আমাদের মানসিক ও পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিজ্ঞাপন বা প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউব, কিংবা ডিজিটাল বিলবোর্ড হতে পারে পোস্টারের বিকল্প। শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন বোর্ড স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে সবাই পোস্টার লাগাতে পারবে। স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলোতে সচেতনতা কর্মসূচি চালু করে মানুষকে বোঝানো যেতে পারে দেওয়ালে পোস্টার লাগানোর ক্ষতিকর দিকগুলো।
যারা দেওয়ালে পোস্টার লাগাবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা বা শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে দেওয়াল পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত উদ্যোগ নিতে হবে।
একটি শহর তার স্থাপত্য, সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পায়। ঢাকার মতো শহরের দেওয়ালগুলো আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। এগুলো নষ্ট করা মানে কেবল শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা নয়, বরং আমাদের নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ইঙ্গিত। তাই আমাদের শহরকে আমাদেরই সাজাতে হবে। এটি পরিচ্ছন্ন রাখা এবং এর ঐতিহ্য রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা দেয়ালে পোস্টার লাগাব না এবং অন্যদেরও এই বিষয়ে সচেতন করব। পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, এবং পোস্টারমুক্ত ঢাকা গড়ে তোলা আমাদের হাতেই।
নবাব শাহজাদা
ঢাকা কলেজ