alt

পাঠকের চিঠি

ভিক্ষার চালের দামও বেড়েছে

: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

কথাটি আমার নয়, ভিখারি বা ভিক্ষুকরাও বলছে এখন আর মানুষ চাল ভিক্ষা দেয় না। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ট্রাকের থেকে নগদ টাকায় যে চাল পাই তার দামও অনেক। একজন গরিব মানুষের জন্য বেশি দামে চাল ক্রয় করে সংসার চালানো চোখের পানি ফেলানো ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের অনেক বিত্তবান লোক রয়েছে তারাও গরিব মানুষের এই দুরবস্থায় পাশে এসে দাঁড়ায় না। তবে গরিব ও দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসা আল্লাহ্। ভিক্ষুকরা বলছে ভিক্ষার চাল বিক্রি করেও জীবন চলছে না আর চলবে বা কিভাবে। বেঁচে থাকার জন্য জরুরি এ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে শুধু সরু চালের দামই ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। বেড়েছে সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট, উত্তমমানের নাজির ও মিনিকেট, মাঝারি চাল, পাইজাম ও লতা (সাধারণ মানের), পাইজাম ও লতা (উত্তমমানের) এবং স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল । খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সরকারি গুদামে বর্তমানে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল মজুদ আছে। যা চাহিদার থেকে তুলনায় বেশি বলা যাবে না। ইতিমধ্যে দেশের চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

অতি সম্প্রতি দেশে হু হু করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবারে নেমে এসেছে দুর্যোগ। কোনভাবেই সংসার চালানো গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাই সরকারকে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক রেশন পদ্ধতি সেই পূর্বেকার আমলের মতো চালু করা একান্ত দরকার। নায্য মূলে চাল, ডাল, তেল, আলু পেলেই যথেষ্ট। ঘন ঘন চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে নজরদারির অভাব। মিল মালিকদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চালের দাম বাড়ে। চাল ছাড়াও প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে গরিব মানুষের জীবনযাত্রা খুবই কষ্ট হচ্ছে।

আশাকরি সরকারি নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করনের মাধ্যমে চালের বাজারকে ঠিক রাখার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে বাজারে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ন্যায্যমূল্যে বা রেশনিং পদ্ধতিতে চাল, ডাল, তেল আরো ব্যাপকভাবে বিক্রি করার অনুরোধ করছি।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী

১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া,

ঢাকা-১২০৪

সভ্যতার সঙ্গে প্রযুক্তির সম্পর্ক

পশুদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসুন

দূষিত বায়ুতে জর্জরিত ঢাকা শহর

খাদ্যে উচ্চ মাত্রার লবণ গ্রহণ সম্পর্কে সতর্কতা

ছবি

রিও ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, সচেতন হোন

ছবি

তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ছবি

হলুদ চাদরে জড়ানো বাংলার প্রান্তর

বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় উদ্যোগ নিন

ঢাবির আবাসন সংকটের নিরসন কোথায়?

ছবি

দেওয়ালে পোস্টার লাগানো বন্ধ করুন

শিক্ষকদের সম্মান প্রসঙ্গে

নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক নিরাপদ সড়ক

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

ছবি

সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

রক্তদানে সম্পৃক্ত হোন

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

ছবি

বুড়িগঙ্গা নদীর বেহাল অবস্থা

ছবি

বৃক্ষের দেহে পেরেক ঠোকা কেন

মাদককে না, ক্রীড়াকে হ্যাঁ বলুন

বায়ুদূষণ

শিক্ষকদের পেনশন প্রাপ্তিতে দুর্ভোগ

ছবি

রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন বাস

শৃঙ্খলা ও শান্তির জন্য জননিরাপত্তা

¬তরুণদের সামাজিক কাজে উদ্বুুদ্ধ করতে হবে

মহাসড়কে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা

মাধ্যমিক থেকেই চাই কর্মমুখী শিক্ষা

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা জরুরি

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ চাই

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

tab

পাঠকের চিঠি

ভিক্ষার চালের দামও বেড়েছে

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

কথাটি আমার নয়, ভিখারি বা ভিক্ষুকরাও বলছে এখন আর মানুষ চাল ভিক্ষা দেয় না। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ট্রাকের থেকে নগদ টাকায় যে চাল পাই তার দামও অনেক। একজন গরিব মানুষের জন্য বেশি দামে চাল ক্রয় করে সংসার চালানো চোখের পানি ফেলানো ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের অনেক বিত্তবান লোক রয়েছে তারাও গরিব মানুষের এই দুরবস্থায় পাশে এসে দাঁড়ায় না। তবে গরিব ও দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসা আল্লাহ্। ভিক্ষুকরা বলছে ভিক্ষার চাল বিক্রি করেও জীবন চলছে না আর চলবে বা কিভাবে। বেঁচে থাকার জন্য জরুরি এ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে শুধু সরু চালের দামই ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। বেড়েছে সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট, উত্তমমানের নাজির ও মিনিকেট, মাঝারি চাল, পাইজাম ও লতা (সাধারণ মানের), পাইজাম ও লতা (উত্তমমানের) এবং স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল । খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সরকারি গুদামে বর্তমানে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল মজুদ আছে। যা চাহিদার থেকে তুলনায় বেশি বলা যাবে না। ইতিমধ্যে দেশের চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

অতি সম্প্রতি দেশে হু হু করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবারে নেমে এসেছে দুর্যোগ। কোনভাবেই সংসার চালানো গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাই সরকারকে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক রেশন পদ্ধতি সেই পূর্বেকার আমলের মতো চালু করা একান্ত দরকার। নায্য মূলে চাল, ডাল, তেল, আলু পেলেই যথেষ্ট। ঘন ঘন চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে নজরদারির অভাব। মিল মালিকদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চালের দাম বাড়ে। চাল ছাড়াও প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে গরিব মানুষের জীবনযাত্রা খুবই কষ্ট হচ্ছে।

আশাকরি সরকারি নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করনের মাধ্যমে চালের বাজারকে ঠিক রাখার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে বাজারে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ন্যায্যমূল্যে বা রেশনিং পদ্ধতিতে চাল, ডাল, তেল আরো ব্যাপকভাবে বিক্রি করার অনুরোধ করছি।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী

১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া,

ঢাকা-১২০৪

back to top