উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের জায়গা হয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অক্লান্ত পরিশ্রম, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে নিজ মেধার পরিচয় দিয়ে একজন শিক্ষার্থী স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিত করে। কিন্তু সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানকালীন। সিট সংকট, নিম্নমানের খাবার, বিশুদ্ধ পানির অভাব, পড়ালেখার মনোরম পরিবেশের সংকটসহ নানা সংকটে একজন শিক্ষার্থী ১ম বর্ষেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আবাসন সংকটের তীব্রতা আর অবহেলা মাত্রা অতিক্রম করে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৫৬% নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি হল। সেখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল অন্যান্য হলের তুলনায় বেশ ছোট ও ক্যাম্পাস এরিয়ার বাহিরের হওয়ায় নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। যেখানে ১ম বর্ষেই সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে স্নাতক শেষ বর্ষেও গণরুমের একটি ডাবলিং সিটও যেন সোনার হরিণ। এছাড়াও হলে নেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই টয়লেটের সুব্যবস্থা।
হলগুলোতে নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকালীন সময় কিংবা গভীর রাতে চলে উচ্চৈঃশব্দে গান। যা শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত করছে। আবাসিক হলের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেয়া হয়। যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এতো কিছুর পরেও প্রশাসনের কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, মিছিল, অবস্থান কর্মসূচির পরেও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। বারবার তারা আশার কথা শোনালেও তার ফলাফল নেই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে? কবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত হবে? কবে নিরসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট?
তাযকিয়া খানম
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের জায়গা হয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অক্লান্ত পরিশ্রম, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে নিজ মেধার পরিচয় দিয়ে একজন শিক্ষার্থী স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিত করে। কিন্তু সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানকালীন। সিট সংকট, নিম্নমানের খাবার, বিশুদ্ধ পানির অভাব, পড়ালেখার মনোরম পরিবেশের সংকটসহ নানা সংকটে একজন শিক্ষার্থী ১ম বর্ষেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আবাসন সংকটের তীব্রতা আর অবহেলা মাত্রা অতিক্রম করে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৫৬% নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি হল। সেখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল অন্যান্য হলের তুলনায় বেশ ছোট ও ক্যাম্পাস এরিয়ার বাহিরের হওয়ায় নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। যেখানে ১ম বর্ষেই সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে স্নাতক শেষ বর্ষেও গণরুমের একটি ডাবলিং সিটও যেন সোনার হরিণ। এছাড়াও হলে নেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই টয়লেটের সুব্যবস্থা।
হলগুলোতে নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকালীন সময় কিংবা গভীর রাতে চলে উচ্চৈঃশব্দে গান। যা শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত করছে। আবাসিক হলের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেয়া হয়। যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এতো কিছুর পরেও প্রশাসনের কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, মিছিল, অবস্থান কর্মসূচির পরেও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। বারবার তারা আশার কথা শোনালেও তার ফলাফল নেই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে? কবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত হবে? কবে নিরসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট?
তাযকিয়া খানম
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়