alt

ক্যাম্পাস

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর মিয়ানমারের চেয়েও বেশি নিরাপদ : ঢাবি উপ-উপাচার্য

খালেদ মাহমুদ

: শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১

‘সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সকল দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর তাদের নিজেদের দেশের থেকেও নিরাপদ যেখানে তারা ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। শনিবার (৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শনিবার বেলা ১১টায় ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগ ‘বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশের জন্য সেমিনারের আয়োজ করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (সিএফআইএসএস) এর চেয়ারম্যান কমোডর এম এন আবসার। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সেমিনারের শুরুতেই সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (সিএফআইএসএস) সহায়তায় করা ‘বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম । তিনি বলেন, এই গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ভাসানচরের সামাজিক ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব পর্যবেক্ষণ করা। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত, ভূতত্ববিদ, পরিবেশবিদ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতামত বিশ্লেষণপূর্বক এই গবেষণা মনে করে যে, ভাসানচর একটি নতুন দ্বীপ হিসেবে পুরোপুরি বসবাসযোগ্য এ দ্বীপে প্রতিষ্ঠিত স্থাপনাগুলো- আধুনিক বাসস্থান, রাস্তা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং বাঁধ (৯ ফিট উঁচু বাঁধ যেটি ১৯ ফিট উঁচু করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে) দ্বীপটিকে টেকসই করেছে। বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে এই দ্বীপটি ডুবে যাবার কোন আশঙ্কা নেই। বিশেষত, তিন স্তরের দূর্যোগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বীপটিকে ঘূর্ণিঝর এবং বন্যার কবল থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া, প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় যে, কৃষিকাজ, সবজিচাষ, মাছ শিকারসহ এখানে আরো জীবন-জীবিকার সুযোগসুবিধা রয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ধর্মকর্ম পালন ও বিনোদনের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। বিশেষ পরিস্থিতিতে দূর্যোগ হলে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র।

কক্সবাজারের থাকা রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সমস্যা গবেষণায় উঠে এসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের সুযোগসুবিধাসমূহ অপর্যাপ্ত এবং এর জন্য দায়ী হিসেবে দেখা গেছে অপ্রতুল বাসস্থান এবং চিকিৎসা সুবিধা, অপ্রতুল আয়-রোজগারের ব্যবস্থা এবং রান্নাবান্নার ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ঘাটতি, ইত্যাদি কারণসমূহ। এখানে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা বেশ অপর্যাপ্ত হিসেবে দেখা গেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পুরো ক্যাম্পের এলাকাজুড়ে সমানভাবে নেই। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া দিন দিন আরো দুরুহ হয়ে উঠছে, সে কারণে ক্যাম্প এলাকাটি তাদের জন্য ক্রমে ক্রমে বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, স্থানীয় জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের তুলনায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অবহেলিত মনে করছে। তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের ছোটখাট দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের চিত্র পাওয়া গেছে। উপরন্তু, ইয়াবা, অবৈধ অস্ত্র, পতিতাবৃত্তি, মানবপাচার এবং মাদকের বিস্তার ও কেনাবেচার দিকটি এই গবেষণায় উঠে এসেছে।

ভাসানচরকে নিরাপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাসানচর বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ একটি জায়গা। দ্বীপটিতে আধুনিক সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে, আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপটিতে যাতায়াতের ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মানবাধিকারের নিশ্চয়তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচরে অবস্থার উন্নতির জন্য আরো অনেক ব্যবস্থা চলমান আছে।

ভাসনচর দ্বীপটিকে আরো টেকসই করে তোলার লক্ষ্যে গবেষণার কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বলেন, ভূতত্তবিদ এবং দূর্যোগ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা সুপেয় পানির যথাযথ ব্যবহারের প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। যেহেতু দ্বীপগুগোতে পানির সঙ্কট দেখা দেয়, তাই ভবিষ্যতে কোনো ধরনের পানির সঙ্কট এড়ানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও দৈনন্দিন কাজে এ পানি বেশি করে ব্যবহারের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েদেরকে তাদের নিজ ভাষায় পাঠদান এবং রোহিঙ্গাদেরকে নিজস্ব সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ পালন করার ব্যবস্থার করতে হবে। সুপারিশে কিছু ক্ষুদ্র কুটীরশিল্প স্থাপন করার কথাও তুলে ধরা হয়েছে, যাতে করে দরিদ্র রোহিঙ্গারা তাদের আয়ের ক্ষেত্রে আরো বৈচিত্র্য আনতে পারে।

সেমিনারে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, জিওলজিক্যালি এই আইল্যান্ডটি স্ট্যাবল । এখন শর্ত হলো ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প কিংবা সুনামি হলে কি হবে? এখন যেখানে ভাসানচর আছে তার আশেপাশে অর্থাৎ ১৭৬২ সালে একটি ভূমিকম্প হয়েছে আরাকানে । সে ভূমিকম্পে এ অঞ্চলের বহু আইল্যান্ড তলিয়ে গেছে এখন ভাসান চরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে কি না? এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৫০০-৯০০ বছর পর আবার হয়তবা একটা ভূমিকম্প হতে পারে সেক্ষেত্রে আমাদের হাতে এখনও ২৫০ বছরের বেশি সময় আছে।

তিনি আরো বলেন, আরেকটা বিষয় হলো ঘূর্ণিঝড় । আর আমি ব্যাক্তিগতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের পথ নিয়ে স্টাডি করে দেখেছি ঠিক দ্বীপটির উপর দিয়ে কোন ঘূর্ণিঝড়ের পথ যায় নি, আছে দ্বীপটির দুই পাশে। এখন যদি ১৯৭০ সালের মতো ঘূর্ণিঝড়ও হয় সেটাকেও মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা এই দ্বীপে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার এখানে ১৯ফিট উচ্চ বাঁধ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে এছাড়াও বন, ওয়েভ ব্রেকারসহ এখানে চার ধরনের বেরিয়ার থাকার কারণে ৭০সালের মতো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের এখানে ট্রানসওশানিক সুনামি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদি লোকাল সুনামি হয় তাহলে এখানে থাকা বেরিয়ারের কারণে কোন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।

তিনি ভাসানচরকে রোহিঙ্গাদের জন্য নিজ দেশের চেয়েও নিরাপদ যায়গা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৭-১৮ সালের ইউএনএইচসিআর ও আমার বিভাগ একটি গবেষণা করেছিলো তাতে দেখা যায় যে, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে যে সব জায়তগায় রয়েছে তাতে যে কোন সময় পাড়ধ্বস ও ভূমিধ্বসের কারণে লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তবে এখন সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সকল দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর তাদের নিজেদের দেশের থেকেও নিরাপদ যেখানে তারা ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, বাস্তুচ্যূত জনগোষ্ঠীর জন্য, বিশ্বে এমন ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প আছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয় না। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর এই অঞ্চলের সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে জটিল করে তুলছে। এই জনগোষ্ঠীর প্রায় ১ লক্ষকে নোয়াখালী ভাসানচর স্থানান্তর করছে সরকার।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, কক্সবাজার দেশের একটি বড় ট্যুরিস্ট সিটি। সেখানে রোহিঙ্গাদের আগমনের ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের দাবি উখিয়া এবং টেকনাফে ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস করছে। এতে ওই এলাকায় জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ অপ্রতুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক, চোরাচালান, সহিংসতা বেড়েছে। কক্সবাজারের লোকাল ইকোনমিতে ঢুকে পড়েছে তারা। আপনি রিক্সায় উঠলেও দেখবেন সেটা নিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এটা স্থানীয় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা জীবিকার জন্য কিছু ক্যাশ টাকা পাচ্ছে। কিন্ত ভাসানচরে ক্যাশ টাকার পরিবর্তে তারা হাউজিং, রেশন, খাদ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ সবধরনের সুবিধা পাচ্ছে।যার কারণে ইয়াং কাপলরা কিন্তু ভাসানচরে যেতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। গত দুই বছরে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিয়েছে। তারা তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে চায়। যে সুযোগটা কক্সবাজারে নাই, সেটা তারা ভাসান চরে পাচ্ছে। আমরা তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতার কামনা করে তিনি বলেন, আমরা জানি না রোহিঙ্গারা কবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করবে।তবে যতদিন আছে সম্মানে তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবর্তনে প্রতিবেশি দেশ ভারত ও চীনের সহযোগিত অবশ্যই লাগবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের এই প্রকল্পকে আমরা পদ্মা সেতুর সাথে তুলনা করতে পারি। কারণ বাংলাদেশ এটা নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী করেছে। বাংলাদেশ এর মাধ্যমে মানবতার পরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যেখানে ভারত চায়না , আমেরিকা শরনার্থী লোকদের আশ্রয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

তীব্র গরমে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে জবি

ছবি

ঢাবিতে ‘গেস্টরুমে’ ছাত্রলীগের ‘আদব-কায়দা’, অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্তে কমিটি

জাবির সিনেট-সিন্ডিকেট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়

আট বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন নির্বাচন

ছবি

জাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইন্ডিয়া মাইক্রোবায়োলজিস্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্টের সৌজন্য সাক্ষাৎ

তীব্র গরমে ঢাবির শতভাগ ক্লাস অনলাইনে

ছবি

জবিতে চলতি সপ্তাহ অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

ছবি

তীব্র গরমে অনলাইন ক্লাস চায় জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

বুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অনড়

‘তোকে সিটে উঠতে না দিলে প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষ আসবে’- আবাসিক ছাত্রকে ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

ছবি

‘যৌন কেলেংকারিতে’ অভিযুক্ত শিক্ষককে রেজিস্ট্রার নিয়োগ, শিক্ষক সমিতির পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

ছবি

জাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ছবি

জবিতে বৈশাখ রাঙায় চারুকলার শিক্ষার্থীদের শৈল্পিক কাজ, বাজেট বৃদ্ধির দাবি

ছবি

ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

মতিঝিল আইডিয়ালে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফি ধার্য, অভিভাবকদের ‘অসন্তোষ’

ছবি

ডিমেনশিয়া রোগ নির্ণয়ে জাবি-এনটিইউর যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

রিকশাচিত্রে জবিতে বৈশাখের প্রস্তুতি, উদযাপন হবে ১৮ এপ্রিল

ছবি

মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবি জাবি সাংস্কৃতিক জোটের

ছবি

জবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, সতর্ক করলো প্রশাসন

ছবি

জাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সাক্ষাৎকারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ছবি

বুয়েটে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানালেন ৬ শিক্ষার্থী

যৌন হয়রানির দায়ে জবির এক শিক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত, আরেকজনকে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ

জাবিতে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর্মচারীর স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ

ছবি

এবার রাজনীতিমুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আর্জি

ছবি

জাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় মানহানির মামলা দায়ের

ছবি

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অমান্য করে লিয়েন ছুটিতে শিক্ষক,তদন্ত কমিটি গঠন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত

ছবি

ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস দাবিতে অটল বুয়েট শিক্ষার্থীরা

ঢাবি দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

ছবি

হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে কুবি সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবনকালে দুই শিক্ষার্থী আটক

ছবি

কোচিং বাণিজ্য, নির্বাচন ঘিরে আধিপত্যের লড়াই মতিঝিল আইডিয়ালে

ছবি

একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরতে চায় বুয়েটের আন্দোলনকারীরা

tab

ক্যাম্পাস

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর মিয়ানমারের চেয়েও বেশি নিরাপদ : ঢাবি উপ-উপাচার্য

খালেদ মাহমুদ

শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১

‘সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সকল দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর তাদের নিজেদের দেশের থেকেও নিরাপদ যেখানে তারা ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। শনিবার (৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শনিবার বেলা ১১টায় ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগ ‘বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল প্রকাশের জন্য সেমিনারের আয়োজ করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (সিএফআইএসএস) এর চেয়ারম্যান কমোডর এম এন আবসার। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সেমিনারের শুরুতেই সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (সিএফআইএসএস) সহায়তায় করা ‘বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম । তিনি বলেন, এই গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ভাসানচরের সামাজিক ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব পর্যবেক্ষণ করা। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত, ভূতত্ববিদ, পরিবেশবিদ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতামত বিশ্লেষণপূর্বক এই গবেষণা মনে করে যে, ভাসানচর একটি নতুন দ্বীপ হিসেবে পুরোপুরি বসবাসযোগ্য এ দ্বীপে প্রতিষ্ঠিত স্থাপনাগুলো- আধুনিক বাসস্থান, রাস্তা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং বাঁধ (৯ ফিট উঁচু বাঁধ যেটি ১৯ ফিট উঁচু করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে) দ্বীপটিকে টেকসই করেছে। বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে এই দ্বীপটি ডুবে যাবার কোন আশঙ্কা নেই। বিশেষত, তিন স্তরের দূর্যোগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বীপটিকে ঘূর্ণিঝর এবং বন্যার কবল থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া, প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় যে, কৃষিকাজ, সবজিচাষ, মাছ শিকারসহ এখানে আরো জীবন-জীবিকার সুযোগসুবিধা রয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ধর্মকর্ম পালন ও বিনোদনের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। বিশেষ পরিস্থিতিতে দূর্যোগ হলে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র।

কক্সবাজারের থাকা রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সমস্যা গবেষণায় উঠে এসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের সুযোগসুবিধাসমূহ অপর্যাপ্ত এবং এর জন্য দায়ী হিসেবে দেখা গেছে অপ্রতুল বাসস্থান এবং চিকিৎসা সুবিধা, অপ্রতুল আয়-রোজগারের ব্যবস্থা এবং রান্নাবান্নার ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ঘাটতি, ইত্যাদি কারণসমূহ। এখানে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা বেশ অপর্যাপ্ত হিসেবে দেখা গেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পুরো ক্যাম্পের এলাকাজুড়ে সমানভাবে নেই। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া দিন দিন আরো দুরুহ হয়ে উঠছে, সে কারণে ক্যাম্প এলাকাটি তাদের জন্য ক্রমে ক্রমে বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, স্থানীয় জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের তুলনায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অবহেলিত মনে করছে। তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের ছোটখাট দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের চিত্র পাওয়া গেছে। উপরন্তু, ইয়াবা, অবৈধ অস্ত্র, পতিতাবৃত্তি, মানবপাচার এবং মাদকের বিস্তার ও কেনাবেচার দিকটি এই গবেষণায় উঠে এসেছে।

ভাসানচরকে নিরাপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাসানচর বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ একটি জায়গা। দ্বীপটিতে আধুনিক সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে, আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপটিতে যাতায়াতের ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মানবাধিকারের নিশ্চয়তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচরে অবস্থার উন্নতির জন্য আরো অনেক ব্যবস্থা চলমান আছে।

ভাসনচর দ্বীপটিকে আরো টেকসই করে তোলার লক্ষ্যে গবেষণার কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন বলেন, ভূতত্তবিদ এবং দূর্যোগ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা সুপেয় পানির যথাযথ ব্যবহারের প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। যেহেতু দ্বীপগুগোতে পানির সঙ্কট দেখা দেয়, তাই ভবিষ্যতে কোনো ধরনের পানির সঙ্কট এড়ানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও দৈনন্দিন কাজে এ পানি বেশি করে ব্যবহারের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েদেরকে তাদের নিজ ভাষায় পাঠদান এবং রোহিঙ্গাদেরকে নিজস্ব সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ পালন করার ব্যবস্থার করতে হবে। সুপারিশে কিছু ক্ষুদ্র কুটীরশিল্প স্থাপন করার কথাও তুলে ধরা হয়েছে, যাতে করে দরিদ্র রোহিঙ্গারা তাদের আয়ের ক্ষেত্রে আরো বৈচিত্র্য আনতে পারে।

সেমিনারে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, জিওলজিক্যালি এই আইল্যান্ডটি স্ট্যাবল । এখন শর্ত হলো ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প কিংবা সুনামি হলে কি হবে? এখন যেখানে ভাসানচর আছে তার আশেপাশে অর্থাৎ ১৭৬২ সালে একটি ভূমিকম্প হয়েছে আরাকানে । সে ভূমিকম্পে এ অঞ্চলের বহু আইল্যান্ড তলিয়ে গেছে এখন ভাসান চরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে কি না? এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৫০০-৯০০ বছর পর আবার হয়তবা একটা ভূমিকম্প হতে পারে সেক্ষেত্রে আমাদের হাতে এখনও ২৫০ বছরের বেশি সময় আছে।

তিনি আরো বলেন, আরেকটা বিষয় হলো ঘূর্ণিঝড় । আর আমি ব্যাক্তিগতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের পথ নিয়ে স্টাডি করে দেখেছি ঠিক দ্বীপটির উপর দিয়ে কোন ঘূর্ণিঝড়ের পথ যায় নি, আছে দ্বীপটির দুই পাশে। এখন যদি ১৯৭০ সালের মতো ঘূর্ণিঝড়ও হয় সেটাকেও মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা এই দ্বীপে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার এখানে ১৯ফিট উচ্চ বাঁধ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে এছাড়াও বন, ওয়েভ ব্রেকারসহ এখানে চার ধরনের বেরিয়ার থাকার কারণে ৭০সালের মতো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের এখানে ট্রানসওশানিক সুনামি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদি লোকাল সুনামি হয় তাহলে এখানে থাকা বেরিয়ারের কারণে কোন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।

তিনি ভাসানচরকে রোহিঙ্গাদের জন্য নিজ দেশের চেয়েও নিরাপদ যায়গা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৭-১৮ সালের ইউএনএইচসিআর ও আমার বিভাগ একটি গবেষণা করেছিলো তাতে দেখা যায় যে, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে যে সব জায়তগায় রয়েছে তাতে যে কোন সময় পাড়ধ্বস ও ভূমিধ্বসের কারণে লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তবে এখন সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সকল দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর তাদের নিজেদের দেশের থেকেও নিরাপদ যেখানে তারা ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, বাস্তুচ্যূত জনগোষ্ঠীর জন্য, বিশ্বে এমন ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প আছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয় না। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর এই অঞ্চলের সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে জটিল করে তুলছে। এই জনগোষ্ঠীর প্রায় ১ লক্ষকে নোয়াখালী ভাসানচর স্থানান্তর করছে সরকার।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, কক্সবাজার দেশের একটি বড় ট্যুরিস্ট সিটি। সেখানে রোহিঙ্গাদের আগমনের ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের দাবি উখিয়া এবং টেকনাফে ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস করছে। এতে ওই এলাকায় জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ অপ্রতুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক, চোরাচালান, সহিংসতা বেড়েছে। কক্সবাজারের লোকাল ইকোনমিতে ঢুকে পড়েছে তারা। আপনি রিক্সায় উঠলেও দেখবেন সেটা নিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এটা স্থানীয় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা জীবিকার জন্য কিছু ক্যাশ টাকা পাচ্ছে। কিন্ত ভাসানচরে ক্যাশ টাকার পরিবর্তে তারা হাউজিং, রেশন, খাদ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ সবধরনের সুবিধা পাচ্ছে।যার কারণে ইয়াং কাপলরা কিন্তু ভাসানচরে যেতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। গত দুই বছরে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিয়েছে। তারা তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে চায়। যে সুযোগটা কক্সবাজারে নাই, সেটা তারা ভাসান চরে পাচ্ছে। আমরা তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতার কামনা করে তিনি বলেন, আমরা জানি না রোহিঙ্গারা কবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করবে।তবে যতদিন আছে সম্মানে তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবর্তনে প্রতিবেশি দেশ ভারত ও চীনের সহযোগিত অবশ্যই লাগবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের এই প্রকল্পকে আমরা পদ্মা সেতুর সাথে তুলনা করতে পারি। কারণ বাংলাদেশ এটা নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী করেছে। বাংলাদেশ এর মাধ্যমে মানবতার পরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যেখানে ভারত চায়না , আমেরিকা শরনার্থী লোকদের আশ্রয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

back to top