alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই

: বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই

শীতকাল শেষ হয়ে বসন্তের শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে এবং সামনে আসছে গ্রীষ্মকাল পুরোটাই শুষ্ক মৌসুম। দেশে সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। কারণ এ সময় সবকিছু বেশ দাহ্য থাকে। এ সময় সামান্য আগুনেই সবকিছু দাউদাউ করে জ্বলে এবং চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিগত বছরগুলোতে রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগের মধ্যে অগ্নিকান্ড অন্যতম এবং অগ্নিকান্ডের ফলে অল্পসময়ের মধ্যে নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যায় বহু মূল্যবান সম্পদ, ঘটে প্রাণহানি।

এক সময় পাট ও তুলার গুদামে বেশ আগুন লাগার খবর পাওয়া যেত। এখন বেশি আগুন লাগে মার্কেট ও গার্মেন্টসে। তাও প্রধানত রাজধানী ও আশপাশে। এমনকি অত্যাধুনিক ও ডিজিটাল বলে দাবিদার সুপার মার্কেটেও একাধিকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায়, বহু আধুনিক মার্কেটেও মেটাল ডিটেক্টরসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই; এমনকি পানিও না। আসলে জরুরি অবস্থা ও ব্যবস্থার কোনো ধারণাই গড়ে ওঠেনি ভবন নির্মাণসহ অগ্নিনির্বাপণ কিংবা অন্যবিধ দুর্ঘটনা মোকাবেলায়। এ বিষয়ে কারও কোনো প্রশিক্ষণও নেই বললেই চলে। যে কারণে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিপুল প্রাণহানিসহ সম্পদের ক্ষতি দেখে যাওয়া ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই। এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়।

এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে, যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথাসাধ্য সীমিত অবস্থায় থাকে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখ্য। প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়, তার মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

তবে অগ্নিকান্ড যখন কোনও জনবহুল এলাকা বা শিল্প-কারখানাতে ঘটে, তখনই আগুনের ভয়াবহতা আমাদেরকে নাড়া দেয়, কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকার চকবাজারস্থ চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফ আর টাওয়ারের ঘটনা পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে মারা যায় ৭২ জন এবং বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৮ জন।

অগ্নিকান্ডের প্রধান কারণসমূহের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও জরুরি নির্গমন বিষয়ে জ্ঞান না থাকা, দাহ্য ও বিস্ফোরক পদার্থের অনুমোদনহীন গুদামজাতকরণ। এছাড়া শহর ও গ্রামে রান্নার পর আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে না দিলে, বাতাসে উড়ে গিয়ে সেই আগুন বাড়ির বেড়ায় লাগতে পারে; ছাইয়ের আগুন বাতাসে উড়ে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে; চুলার উপর খড়ি শুকাতে দিলে খড়িতে আগুন লেগে যেতে পারে, সে আগুন বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে পারে; সিগারেট, বিড়ি ও হুঁকার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন তদন্তে প্রমাণিত।

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ অগ্নিকান্ডের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতায় থাকে। তবে শুধুমাত্র তাদের উপরে ভরসা না করে অগ্নিকান্ডের উপরোক্ত কারণগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখে বুঝে জনগণকে সদা সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। তাহলেই সম্ভাব্য অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেতে পারে বহু মূল্যবান সহায় সম্পত্তি ও জানমাল।

জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

মশার যন্ত্রণা

বর্তমানে মশা সারা দেশে এক আতঙ্কের নাম। মানুষ এখন মশার কাছে জিম্মি। মশা অতি ক্ষুদ্র এক কীট হলেও ক্ষমতার মানুষের জীবন বিষাদময় করতে এর জুড়ি নেই। যখন লিখছি তখন মশার দল হুল ফুটাচ্ছে পায়ে, মুখে, গালে। এর থেকে পরিত্রাণের সর্বোত্তম উপায় হলো আত্মসচেতন হয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। কর্তৃপক্ষীয় উদ্যোগ ও ব্যবস্থার পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধই পারে চারপাশ মশা মুক্ত রাখতে। আমাদের মনে রাখা উচিত, বিশাল বিশাল অট্টালিকার বাইরেও প্রায় চল্লিশ লাখ লোক বস্তিতে বসবাস করে। সামর্থ্যহীন এ লোকগুলোর জীবন জীবিকার দায়ভার বহন করাই যখন কষ্টসাধ্য, সেক্ষেত্রে মশার উপদ্রব থেকে নিজেকে রক্ষার বিকল্প তাদের আর কিইবা থাকতে পারে। আবদ্ধ ডোবানালা ও ড্রেনগুলোয় মশার বিস্তার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। মশা নিধনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকল্পনা ও চিন্তা-ভাবনার অভাব যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে জবাবদিহিতা ও মনিটরিংয়ের অভাবও। কোথাও কোথাও ওষুধ ছিটিয়ে কিংবা ফগার মেশিন চালিয়ে মশা দমন আদৌ সম্ভব নয়। মশা দমন ও নিধন করতে হলে মশার প্রজনন ক্ষেত্রের দিকে সর্বাগ্রে দৃষ্টি দিতে হবে। গোটা শহর কার্যত ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড় হয়ে আছে। রয়েছে মাইলের পর মাইল খোলা নর্দমা। গ্রামের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। গ্রামের বাড়ির আশপাশের বাঁশঝাড়, পালিত প্রাণীর মলমূত্রাদি স্তূপ করে রাখা, যেখানে-সেখানে আবর্জনা, তরকারির খোসা ইত্যাদি ফেলে রাখা হয়। এসব জায়গায় ফেলা ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। ময়লা ফেলার স্থানগুলো মশা প্রজননের একেকটা ‘উৎকৃষ্ট’ ক্ষেত্র যা মশার বংশ বিস্তারে বড় রকমের ভূমিকা রয়েছে। মশার প্রজননস্থল অবারিত ও উন্মুক্ত রেখে মশা দমন ও নিধনে সফল হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হতে পারে না।

প্রজনন ও উৎসস্থলেই মশার বংশ ধ্বংস করতে হবে। আবর্জনা দ্রুত অপসারণ করতে হবে। আবর্জনা ফেলার জায়গাগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ওই সব জায়গায় মশার জন্ম হতে না পারে। খোলা নর্দমাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে, ওষুধ দিতে হবে যাতে সেখানে মশা জন্মাতে না পারে। একইভাবে জলাশয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, নিয়মিত ওষুধ ছিটিয়ে মশার লাভা মুক্ত করতে হবে। উৎসে মশা দমন ও নিধন না করে উড়ন্ত মশা দমন ও নিধন কার্যক্রম চালিয়ে মশামুক্ত করা যাবে না।

শাকিবুল হাসান

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই

শীতকাল শেষ হয়ে বসন্তের শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে এবং সামনে আসছে গ্রীষ্মকাল পুরোটাই শুষ্ক মৌসুম। দেশে সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। কারণ এ সময় সবকিছু বেশ দাহ্য থাকে। এ সময় সামান্য আগুনেই সবকিছু দাউদাউ করে জ্বলে এবং চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিগত বছরগুলোতে রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগের মধ্যে অগ্নিকান্ড অন্যতম এবং অগ্নিকান্ডের ফলে অল্পসময়ের মধ্যে নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যায় বহু মূল্যবান সম্পদ, ঘটে প্রাণহানি।

এক সময় পাট ও তুলার গুদামে বেশ আগুন লাগার খবর পাওয়া যেত। এখন বেশি আগুন লাগে মার্কেট ও গার্মেন্টসে। তাও প্রধানত রাজধানী ও আশপাশে। এমনকি অত্যাধুনিক ও ডিজিটাল বলে দাবিদার সুপার মার্কেটেও একাধিকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায়, বহু আধুনিক মার্কেটেও মেটাল ডিটেক্টরসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই; এমনকি পানিও না। আসলে জরুরি অবস্থা ও ব্যবস্থার কোনো ধারণাই গড়ে ওঠেনি ভবন নির্মাণসহ অগ্নিনির্বাপণ কিংবা অন্যবিধ দুর্ঘটনা মোকাবেলায়। এ বিষয়ে কারও কোনো প্রশিক্ষণও নেই বললেই চলে। যে কারণে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিপুল প্রাণহানিসহ সম্পদের ক্ষতি দেখে যাওয়া ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই। এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়।

এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে, যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথাসাধ্য সীমিত অবস্থায় থাকে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখ্য। প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়, তার মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

তবে অগ্নিকান্ড যখন কোনও জনবহুল এলাকা বা শিল্প-কারখানাতে ঘটে, তখনই আগুনের ভয়াবহতা আমাদেরকে নাড়া দেয়, কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকার চকবাজারস্থ চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফ আর টাওয়ারের ঘটনা পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে শুধুমাত্র চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে মারা যায় ৭২ জন এবং বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৮ জন।

অগ্নিকান্ডের প্রধান কারণসমূহের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও জরুরি নির্গমন বিষয়ে জ্ঞান না থাকা, দাহ্য ও বিস্ফোরক পদার্থের অনুমোদনহীন গুদামজাতকরণ। এছাড়া শহর ও গ্রামে রান্নার পর আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে না দিলে, বাতাসে উড়ে গিয়ে সেই আগুন বাড়ির বেড়ায় লাগতে পারে; ছাইয়ের আগুন বাতাসে উড়ে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে; চুলার উপর খড়ি শুকাতে দিলে খড়িতে আগুন লেগে যেতে পারে, সে আগুন বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে পারে; সিগারেট, বিড়ি ও হুঁকার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন তদন্তে প্রমাণিত।

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ অগ্নিকান্ডের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতায় থাকে। তবে শুধুমাত্র তাদের উপরে ভরসা না করে অগ্নিকান্ডের উপরোক্ত কারণগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখে বুঝে জনগণকে সদা সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। তাহলেই সম্ভাব্য অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেতে পারে বহু মূল্যবান সহায় সম্পত্তি ও জানমাল।

জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

মশার যন্ত্রণা

বর্তমানে মশা সারা দেশে এক আতঙ্কের নাম। মানুষ এখন মশার কাছে জিম্মি। মশা অতি ক্ষুদ্র এক কীট হলেও ক্ষমতার মানুষের জীবন বিষাদময় করতে এর জুড়ি নেই। যখন লিখছি তখন মশার দল হুল ফুটাচ্ছে পায়ে, মুখে, গালে। এর থেকে পরিত্রাণের সর্বোত্তম উপায় হলো আত্মসচেতন হয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। কর্তৃপক্ষীয় উদ্যোগ ও ব্যবস্থার পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধই পারে চারপাশ মশা মুক্ত রাখতে। আমাদের মনে রাখা উচিত, বিশাল বিশাল অট্টালিকার বাইরেও প্রায় চল্লিশ লাখ লোক বস্তিতে বসবাস করে। সামর্থ্যহীন এ লোকগুলোর জীবন জীবিকার দায়ভার বহন করাই যখন কষ্টসাধ্য, সেক্ষেত্রে মশার উপদ্রব থেকে নিজেকে রক্ষার বিকল্প তাদের আর কিইবা থাকতে পারে। আবদ্ধ ডোবানালা ও ড্রেনগুলোয় মশার বিস্তার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। মশা নিধনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকল্পনা ও চিন্তা-ভাবনার অভাব যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে জবাবদিহিতা ও মনিটরিংয়ের অভাবও। কোথাও কোথাও ওষুধ ছিটিয়ে কিংবা ফগার মেশিন চালিয়ে মশা দমন আদৌ সম্ভব নয়। মশা দমন ও নিধন করতে হলে মশার প্রজনন ক্ষেত্রের দিকে সর্বাগ্রে দৃষ্টি দিতে হবে। গোটা শহর কার্যত ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড় হয়ে আছে। রয়েছে মাইলের পর মাইল খোলা নর্দমা। গ্রামের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। গ্রামের বাড়ির আশপাশের বাঁশঝাড়, পালিত প্রাণীর মলমূত্রাদি স্তূপ করে রাখা, যেখানে-সেখানে আবর্জনা, তরকারির খোসা ইত্যাদি ফেলে রাখা হয়। এসব জায়গায় ফেলা ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। ময়লা ফেলার স্থানগুলো মশা প্রজননের একেকটা ‘উৎকৃষ্ট’ ক্ষেত্র যা মশার বংশ বিস্তারে বড় রকমের ভূমিকা রয়েছে। মশার প্রজননস্থল অবারিত ও উন্মুক্ত রেখে মশা দমন ও নিধনে সফল হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হতে পারে না।

প্রজনন ও উৎসস্থলেই মশার বংশ ধ্বংস করতে হবে। আবর্জনা দ্রুত অপসারণ করতে হবে। আবর্জনা ফেলার জায়গাগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ওই সব জায়গায় মশার জন্ম হতে না পারে। খোলা নর্দমাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে, ওষুধ দিতে হবে যাতে সেখানে মশা জন্মাতে না পারে। একইভাবে জলাশয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, নিয়মিত ওষুধ ছিটিয়ে মশার লাভা মুক্ত করতে হবে। উৎসে মশা দমন ও নিধন না করে উড়ন্ত মশা দমন ও নিধন কার্যক্রম চালিয়ে মশামুক্ত করা যাবে না।

শাকিবুল হাসান

back to top