নারায়ণগঞ্জে গাছ রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন
শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে ও অবশিষ্ট গাছ রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী’ সংগঠন। আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা নদীর পাড় নগরবাসীর জন্য উন্মোক্ত ও গাছ রক্ষা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের আহ্বায়ক কবি আরিফ বুলবুল, সদস্য সচিব শুভ দেব, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানি সংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সমগীত জেলা সভাপতি শিল্পী অমল আকাশ, নাট্যকর্মী সোহেব মনির, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পঘন শহর। এই শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। নগরায়নর ফলে এ শহরের বেশিরভাগ সবুজ হারিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের নদী পাড়ে বিআইডাব্লিউটিএ এর তিন নং ঘাট এলাকায় বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ পুরো পরিবেশের উপর মহা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার বাস্তুসংস্থান, জীব বৈচিত্রা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ছে। ভবিষ্যতে এই সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের যে সামান্য কয়েকটি অবকাশ যাপনের স্থান আছে তার মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ ৩ নং, ৪ নং ও ৫ নং ঘাট অন্যতম। নদী তীরে বসে থাকার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ, ছুটির দিনে হাজারো মানুষ এখানে ভীড় জমায় একটু স্বস্তির আশায়। যদি এলাকাটিকে কোনভাবে রুদ্ধ করা হয়, সংরক্ষিত করে ফেলা হয় তাহলে এতগুলো মানুষ তাদের কাঙ্খিত অবকাশ থেকে বঞ্চিত হবে। যে কাজ মানুষকে অবকাশ যাপন থেকে বঞ্চিত করে তা কখনো উন্নয়ন হতে পারে না।
যখন হাইকোর্ট থেকে শীতলক্ষ্যা নদীকে রক্ষায় বিশেষ নোটিশ জারি করা হয়েছে, তখন এই নদী রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ) অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণ ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে শীতলক্ষ্যা নদী তীরের ৩নং মাছ ঘাট অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮১ টি গাছ কেটে ফেলেছে এবং আরও গাছ কাটার পাঁয়তারা করছে। এই বিশেষ প্রতিষ্ঠানটি হাইকোর্টের নির্দেশকেও অগ্রাহ্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ২০ বছরের অধিক পুরোনো একটি বটগাছকে তারা বুলডোজার দিয়ে উপড়ে ফেলেছে। এই নিকৃষ্ট ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম দূষিত একটি শহর। এই শহরের প্রাকৃতিক পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে এখানে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় হাই এলার্ট জারি করা প্রয়োজন। যেখানে একটি গাছ কাটলেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, সেখানে প্রাণ-প্রকৃতির বিষয়ে পরোয়া না করে, কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক এতোগুলো গাছ কাটাকে আমরা প্রাণ-প্রকৃতির বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ হিসেবেই দেখি। বিআইডব্লিউটিএ যদি আসলেই কোন উন্নয়ন করতে চায় তবে তারা নদীর পাড়ের অবৈধ দখল বন্ধ করুক। যারা নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য এবং ময়লা আবর্জনা ফেলে তাদেরকে প্রতিহত করুক, জরিমানা করুক। প্রয়োজনে আমরা তাদের সাথে কাজ করবো।
নারায়ণগঞ্জে গাছ রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন
সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে ও অবশিষ্ট গাছ রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী’ সংগঠন। আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা নদীর পাড় নগরবাসীর জন্য উন্মোক্ত ও গাছ রক্ষা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শীতলক্ষ্যা পাড়ের গাছ রক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের আহ্বায়ক কবি আরিফ বুলবুল, সদস্য সচিব শুভ দেব, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানি সংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সমগীত জেলা সভাপতি শিল্পী অমল আকাশ, নাট্যকর্মী সোহেব মনির, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পঘন শহর। এই শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। নগরায়নর ফলে এ শহরের বেশিরভাগ সবুজ হারিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের নদী পাড়ে বিআইডাব্লিউটিএ এর তিন নং ঘাট এলাকায় বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ পুরো পরিবেশের উপর মহা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার বাস্তুসংস্থান, জীব বৈচিত্রা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ছে। ভবিষ্যতে এই সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের যে সামান্য কয়েকটি অবকাশ যাপনের স্থান আছে তার মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ ৩ নং, ৪ নং ও ৫ নং ঘাট অন্যতম। নদী তীরে বসে থাকার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ, ছুটির দিনে হাজারো মানুষ এখানে ভীড় জমায় একটু স্বস্তির আশায়। যদি এলাকাটিকে কোনভাবে রুদ্ধ করা হয়, সংরক্ষিত করে ফেলা হয় তাহলে এতগুলো মানুষ তাদের কাঙ্খিত অবকাশ থেকে বঞ্চিত হবে। যে কাজ মানুষকে অবকাশ যাপন থেকে বঞ্চিত করে তা কখনো উন্নয়ন হতে পারে না।
যখন হাইকোর্ট থেকে শীতলক্ষ্যা নদীকে রক্ষায় বিশেষ নোটিশ জারি করা হয়েছে, তখন এই নদী রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ) অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণ ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে শীতলক্ষ্যা নদী তীরের ৩নং মাছ ঘাট অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮১ টি গাছ কেটে ফেলেছে এবং আরও গাছ কাটার পাঁয়তারা করছে। এই বিশেষ প্রতিষ্ঠানটি হাইকোর্টের নির্দেশকেও অগ্রাহ্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ২০ বছরের অধিক পুরোনো একটি বটগাছকে তারা বুলডোজার দিয়ে উপড়ে ফেলেছে। এই নিকৃষ্ট ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম দূষিত একটি শহর। এই শহরের প্রাকৃতিক পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে এখানে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় হাই এলার্ট জারি করা প্রয়োজন। যেখানে একটি গাছ কাটলেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, সেখানে প্রাণ-প্রকৃতির বিষয়ে পরোয়া না করে, কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক এতোগুলো গাছ কাটাকে আমরা প্রাণ-প্রকৃতির বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ হিসেবেই দেখি। বিআইডব্লিউটিএ যদি আসলেই কোন উন্নয়ন করতে চায় তবে তারা নদীর পাড়ের অবৈধ দখল বন্ধ করুক। যারা নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য এবং ময়লা আবর্জনা ফেলে তাদেরকে প্রতিহত করুক, জরিমানা করুক। প্রয়োজনে আমরা তাদের সাথে কাজ করবো।