ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, এই বছর ৩০০ বেশি গার্মেন্টর্সের বেতন-বোনাস ঠিকমত দেয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এই জন্য ৩০০ গার্মেন্টসের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হতে পারে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জন্য পুলিশ কাজ করছেন। এরপরও আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জোনের কোনো কোনো কারখানায় হঠাৎ করে সমসা হতে পারে। এই জন্য পুলিশ সতর্ক আছে। তৎপর রয়েছে, শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা টিম।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিল্প অঞ্চলসমূহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ নিয়ে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি কারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ নেতাদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উত্তরাস্থ প্রধান কার্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুৃর রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে ১০ হাজারেরও বেশি গামের্ণ্টসসহ শিল্প-কারখানার কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকের ঈদ বোনাস ও বেতন যথা সময়ে পরিশোধ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া ঈদের সময় গার্মেন্টস অঞ্চল গুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (শিল্প পুলিশ) সকল ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শিল্প অঞ্চলগুলোতে নাশকতা, ষড়যন্ত্রসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিল্প পুলিশের একধিক টিম ঈদ পর্যন্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা টহলে নিয়োজিত থাকবে।
সভায় ঈদের আগেই সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিল্পশ্রমিকদের বেতন ও ভাতা পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, মালিক পক্ষ যথা সময়ে যদি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে, তা হলে শিল্প সেক্টরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। মহাসড়ক গুলো থাকবে নিরাপদ।
বৈঠকে সুনির্দিষ্ট যে ১১টি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১. বিভিন্ন কল-কারখানার বেতন পরিশোধের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ২. সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করে কারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩. বিশৃঙ্খলা এড়াতে মালিক, পুলিশ প্রশাসনের কার কী করণীয় সেটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪. মালিকদেরকে অনুরোধ করা ঈদের বোনাস যেন এপ্রিল মাসের শুরুতে দেয়া হয়। ৫. ঈদের ছুটির আগেই যেন মার্চ মাসের বেতন দেয়া হয়। ৬. কোন গার্মেন্টেসের মালিক বেতন-ভাতা দিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প কোনো উপায় বের করার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৭. মালিক শ্রমিক সমঝোতার ভিত্তিতে যেন ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা হয় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৮. ঈদের আগে যুক্তি সংহত কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই যেন কোনো শ্রমিক ছাঁটাই বা লে অফ না করা হয়। তার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৯. রোজার ঈদে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি যেন আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে, এই জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১০. ঈদের ছুটির সময় ফাঁকাকল-কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশের টহলের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১১. ঈদের ৭ দিন আগ থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম ও হট লাইন (ফোন নম্বর-০১৩২০-১৭০০৯৮) সচল থাকবে।
জানা গেছে, সোমবার শিল্প অঞ্চলের সব জোনের পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ শিল্প-কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি মিটিংয়ে তুলে ধরেছেন। কল-কারখানা অধিদপ্তর ও শ্রম অধিদপ্তর প্রতিনিধিরা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত কল্পে ইন্ড্রাস্টিয়াল পুলিশের সঙ্গে পারস্পারিক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিকেএমই এর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঈদে বেতন-বোস দেয়া মালিকদের জন্য অকেটা চ্যালেঞ্জ হলেও ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনা দেয়া হবে।
বিজেএমইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ হিল রকিব বলেছেন, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া সংক্রান্ত সব পক্ষের পারস্পারিক সমন্বয়ের বিকল্প নেই। যে কোন প্রকার নাশকতা ঠেকাতে তিনি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, এই বছর ৩০০ বেশি গার্মেন্টর্সের বেতন-বোনাস ঠিকমত দেয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এই জন্য ৩০০ গার্মেন্টসের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হতে পারে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জন্য পুলিশ কাজ করছেন। এরপরও আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জোনের কোনো কোনো কারখানায় হঠাৎ করে সমসা হতে পারে। এই জন্য পুলিশ সতর্ক আছে। তৎপর রয়েছে, শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা টিম।
সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, এই বছর ৩০০ বেশি গার্মেন্টর্সের বেতন-বোনাস ঠিকমত দেয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এই জন্য ৩০০ গার্মেন্টসের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হতে পারে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জন্য পুলিশ কাজ করছেন। এরপরও আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জোনের কোনো কোনো কারখানায় হঠাৎ করে সমসা হতে পারে। এই জন্য পুলিশ সতর্ক আছে। তৎপর রয়েছে, শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা টিম।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিল্প অঞ্চলসমূহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ নিয়ে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি কারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ নেতাদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উত্তরাস্থ প্রধান কার্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুৃর রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে ১০ হাজারেরও বেশি গামের্ণ্টসসহ শিল্প-কারখানার কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকের ঈদ বোনাস ও বেতন যথা সময়ে পরিশোধ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া ঈদের সময় গার্মেন্টস অঞ্চল গুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (শিল্প পুলিশ) সকল ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শিল্প অঞ্চলগুলোতে নাশকতা, ষড়যন্ত্রসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিল্প পুলিশের একধিক টিম ঈদ পর্যন্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা টহলে নিয়োজিত থাকবে।
সভায় ঈদের আগেই সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিল্পশ্রমিকদের বেতন ও ভাতা পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, মালিক পক্ষ যথা সময়ে যদি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে, তা হলে শিল্প সেক্টরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। মহাসড়ক গুলো থাকবে নিরাপদ।
বৈঠকে সুনির্দিষ্ট যে ১১টি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১. বিভিন্ন কল-কারখানার বেতন পরিশোধের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ২. সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করে কারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩. বিশৃঙ্খলা এড়াতে মালিক, পুলিশ প্রশাসনের কার কী করণীয় সেটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪. মালিকদেরকে অনুরোধ করা ঈদের বোনাস যেন এপ্রিল মাসের শুরুতে দেয়া হয়। ৫. ঈদের ছুটির আগেই যেন মার্চ মাসের বেতন দেয়া হয়। ৬. কোন গার্মেন্টেসের মালিক বেতন-ভাতা দিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প কোনো উপায় বের করার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৭. মালিক শ্রমিক সমঝোতার ভিত্তিতে যেন ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা হয় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৮. ঈদের আগে যুক্তি সংহত কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই যেন কোনো শ্রমিক ছাঁটাই বা লে অফ না করা হয়। তার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৯. রোজার ঈদে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি যেন আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে, এই জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১০. ঈদের ছুটির সময় ফাঁকাকল-কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশের টহলের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১১. ঈদের ৭ দিন আগ থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম ও হট লাইন (ফোন নম্বর-০১৩২০-১৭০০৯৮) সচল থাকবে।
জানা গেছে, সোমবার শিল্প অঞ্চলের সব জোনের পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ শিল্প-কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি মিটিংয়ে তুলে ধরেছেন। কল-কারখানা অধিদপ্তর ও শ্রম অধিদপ্তর প্রতিনিধিরা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত কল্পে ইন্ড্রাস্টিয়াল পুলিশের সঙ্গে পারস্পারিক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিকেএমই এর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঈদে বেতন-বোস দেয়া মালিকদের জন্য অকেটা চ্যালেঞ্জ হলেও ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনা দেয়া হবে।
বিজেএমইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ হিল রকিব বলেছেন, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া সংক্রান্ত সব পক্ষের পারস্পারিক সমন্বয়ের বিকল্প নেই। যে কোন প্রকার নাশকতা ঠেকাতে তিনি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, এই বছর ৩০০ বেশি গার্মেন্টর্সের বেতন-বোনাস ঠিকমত দেয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এই জন্য ৩০০ গার্মেন্টসের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হতে পারে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জন্য পুলিশ কাজ করছেন। এরপরও আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জোনের কোনো কোনো কারখানায় হঠাৎ করে সমসা হতে পারে। এই জন্য পুলিশ সতর্ক আছে। তৎপর রয়েছে, শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা টিম।