চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতার একাধিক হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই তথ্য উত্তর কলকাতার মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতালগুলো প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
জানা গেছে, কলকাতাসহ ভারতের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ফোরামগুলো অলিখিতভাবে সিধান্ত নিয়েছে যে আপাতত তারা কোনো বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না।
এরই মধ্যে চিকিৎসকেরা সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন কোনো বাংলাদেশি রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট না রাখে।
তবে কলকাতার বেশ কিছু হাসপাতালের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের কাছে এমন ধরনের কোনো নির্দেশিকা এখনো পর্যন্ত আসেনি। এই তথ্য সঠিক নয়।
কলকাতার একাধিক হাসপাতাল মারফত জানা গেছে, যেসব বাংলাদেশি রোগী বর্তমানে এখানকার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে এবং বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে জটিল অপরেশনও হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকটে গভীর সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলো ও বাংলাদেশি নাগরিকেরাও।
যদিও সোমবার (২ ডিসেম্বর) অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বৈঠক ডেকেছে তারপরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে, চিকিৎসকেরা বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে কি না।
এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রায় চার হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিতে কলকাতায় এসেছেন।
তবে চিকিৎসকদের এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই। যে সব বাংলাদেশি নাগরিকরা কলকাতায় চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দুরারোগ্য ক্যানসার ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাদের পরিবারের সদস্যরা কি করবেন বুঝতে পারছেন না।
সোমবার যদি চিকিৎসকেরা সিধান্ত নেয় যে, বাংলাদেশিদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না। তাহলে সমস্যায় পড়বেন তারা।
এ বিষয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা ঢাকার বাসিন্দা মহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, আমি আমার মায়ের চিকিৎসা করাতে এসেছি। কি করবো বুঝে উঠতে পাড়ছি না। সোমবার অবধি অপেক্ষা করবো তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে আমাদের প্রবল আপত্তি আছে। একজন চিকিৎসকের কাজ হলো রোগীকে সেবা দেওয়া ও তাকে সুস্থ করে তোলা। চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকেরা এই আচরণ করতে পারে না। চিকিৎসক বা চিকিৎসকদের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।
কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম আরও বলেন, যে কেউ আমার জীবন নষ্ট করতে আসুক, তবুও তার চিকিৎসা দিতে হবে।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতার একাধিক হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই তথ্য উত্তর কলকাতার মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতালগুলো প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
জানা গেছে, কলকাতাসহ ভারতের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ফোরামগুলো অলিখিতভাবে সিধান্ত নিয়েছে যে আপাতত তারা কোনো বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না।
এরই মধ্যে চিকিৎসকেরা সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন কোনো বাংলাদেশি রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট না রাখে।
তবে কলকাতার বেশ কিছু হাসপাতালের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের কাছে এমন ধরনের কোনো নির্দেশিকা এখনো পর্যন্ত আসেনি। এই তথ্য সঠিক নয়।
কলকাতার একাধিক হাসপাতাল মারফত জানা গেছে, যেসব বাংলাদেশি রোগী বর্তমানে এখানকার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে এবং বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে জটিল অপরেশনও হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকটে গভীর সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলো ও বাংলাদেশি নাগরিকেরাও।
যদিও সোমবার (২ ডিসেম্বর) অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বৈঠক ডেকেছে তারপরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে, চিকিৎসকেরা বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে কি না।
এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রায় চার হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিতে কলকাতায় এসেছেন।
তবে চিকিৎসকদের এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই। যে সব বাংলাদেশি নাগরিকরা কলকাতায় চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দুরারোগ্য ক্যানসার ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাদের পরিবারের সদস্যরা কি করবেন বুঝতে পারছেন না।
সোমবার যদি চিকিৎসকেরা সিধান্ত নেয় যে, বাংলাদেশিদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না। তাহলে সমস্যায় পড়বেন তারা।
এ বিষয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা ঢাকার বাসিন্দা মহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, আমি আমার মায়ের চিকিৎসা করাতে এসেছি। কি করবো বুঝে উঠতে পাড়ছি না। সোমবার অবধি অপেক্ষা করবো তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে আমাদের প্রবল আপত্তি আছে। একজন চিকিৎসকের কাজ হলো রোগীকে সেবা দেওয়া ও তাকে সুস্থ করে তোলা। চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকেরা এই আচরণ করতে পারে না। চিকিৎসক বা চিকিৎসকদের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।
কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম আরও বলেন, যে কেউ আমার জীবন নষ্ট করতে আসুক, তবুও তার চিকিৎসা দিতে হবে।