চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ডিসি হিল চত্বরে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আয়োজনের মাত্র ছয় দিন আগে পর্যন্তও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আয়োজকরা।
‘সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম’ টানা ৪৬ বছর ধরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। এবার ৪৭তম বর্ষে পদার্পণ করল এ আয়োজন। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে এখনো অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, "বড় পরিসরের যেকোনো আয়োজনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে অনুমতি দেওয়া হয়। ডিসি হিলের অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু বিষয় আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাই এখনই অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।"
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সভায় উপস্থিত আয়োজকদের জানানো হয়, আয়োজনটি ছোট পরিসরে করতে হবে কিংবা স্থান পরিবর্তন বিবেচনায় আনতে হবে। কেউ কেউ অনুষ্ঠানটি বাতিলেরও পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক সুচরিত দাশ খোকন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। এখনো অনুমতি না পাওয়াটা হতাশাজনক। এ আয়োজন শুধু আমাদের নয়, চট্টগ্রামবাসীর। এরশাদ আমলেও আমরা অনুষ্ঠান করেছি, আজও করতে চাই।”
এ বছর এই আয়োজনে চট্টগ্রামের ৬০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজনের পুরো কর্মসূচিও প্রস্তুত।
এদিকে একই দিন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, “এবার বর্ষবরণে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।” কিন্তু চট্টগ্রামের ডিসি বলেন, “ঢাকার চিত্র এক রকম, চট্টগ্রামের বাস্তবতা ভিন্ন। আমরা এখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান জানান, “দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় ছাড়া এই আয়োজন কখনোই বন্ধ হয়নি এবং ডিসি হিলেই বরাবরই হয়ে এসেছে। এ আয়োজন ঘিরে ডিসি হিলে বৈশাখী মেলারও আয়োজন হয়ে থাকে, যেখানে হাজারো মানুষ অংশ নেয়।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ডিসি হিল চত্বরে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আয়োজনের মাত্র ছয় দিন আগে পর্যন্তও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আয়োজকরা।
‘সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম’ টানা ৪৬ বছর ধরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। এবার ৪৭তম বর্ষে পদার্পণ করল এ আয়োজন। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে এখনো অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, "বড় পরিসরের যেকোনো আয়োজনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে অনুমতি দেওয়া হয়। ডিসি হিলের অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু বিষয় আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাই এখনই অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।"
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সভায় উপস্থিত আয়োজকদের জানানো হয়, আয়োজনটি ছোট পরিসরে করতে হবে কিংবা স্থান পরিবর্তন বিবেচনায় আনতে হবে। কেউ কেউ অনুষ্ঠানটি বাতিলেরও পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক সুচরিত দাশ খোকন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। এখনো অনুমতি না পাওয়াটা হতাশাজনক। এ আয়োজন শুধু আমাদের নয়, চট্টগ্রামবাসীর। এরশাদ আমলেও আমরা অনুষ্ঠান করেছি, আজও করতে চাই।”
এ বছর এই আয়োজনে চট্টগ্রামের ৬০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজনের পুরো কর্মসূচিও প্রস্তুত।
এদিকে একই দিন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, “এবার বর্ষবরণে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।” কিন্তু চট্টগ্রামের ডিসি বলেন, “ঢাকার চিত্র এক রকম, চট্টগ্রামের বাস্তবতা ভিন্ন। আমরা এখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান জানান, “দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় ছাড়া এই আয়োজন কখনোই বন্ধ হয়নি এবং ডিসি হিলেই বরাবরই হয়ে এসেছে। এ আয়োজন ঘিরে ডিসি হিলে বৈশাখী মেলারও আয়োজন হয়ে থাকে, যেখানে হাজারো মানুষ অংশ নেয়।