পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ
ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যক্তিমালিকানা জমি দখল করে খেলার মাঠ বানানোর ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে বড় নালাই গ্রাম। জমির মালিকরা তিন দফা হামলার শিকার হয়েছেন প্রভাবশালীদের। এতে জমির মালিকদের ১০টি বসতঘর ভাংচুর ও কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় ফজলুল হক মাস্টার বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত প্রায় ৪০-৫০ জনসহ ৮৫ জনের নামে মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জসিম উদ্দিন ও সামসুল হককে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বড় নালাই গ্রামে। প্রভাশালীদের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে জমির মালিকরা।
জানা গেছে, বড় নালাই গ্রামের নালাই মৌজায় ১৫১নং দাগে সরকারি খাজ জমি রয়েছে ১৯০ শতাংশ। এর সবটুকুই গাজীখালী নদীর তলদেশ ও নদী তীরবর্তী অবস্থানে লম্বালম্বিভাবে রয়েছে। নদী তীরবর্তী খাসজমি সংলগ্ন এসএ ১৫২নং দাগে ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে ৭৯ শতাংশ। এ জমির পৈত্রিকসূত্রে মালিক একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, হাবিবুর রহমান,ইউনুছ আলী, আবদুস সালাম গং। প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আউলাদ হোসেন ও তার ছেলে আতিকুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে সৃজিত গাছপালা কেটে খেলার মাঠের জন্য দখল করে সেখানে গোলবার স্থাপন করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন জমির মালিক হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে মাঠের জন্য দখলকৃত জমিতে খেলতে যায় স্থানীয়দের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন, ইনতাজ আলী, রবিউল, আমির হামজা, আলমগীর হোসেন, সেলিম হোসেন,বাবু, জাকির হোসেন,মামুন মিয়া,নুরুল ইসলামগং। তাদের বাধা দেন হাবিবুর রহমান গং।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দলবদ্ধ হয়ে জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, তার বিধবা মেয়ে ফাতেমা আক্তার রোজি, সামসুল হক ওরফে কালু, আবুল হোসেন, ফজলুল হক মাষ্টার, ইউনুছ আলী, বিল্লাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও সাইদুর রহমান গোলাপের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে যুবকরা। পরে বিষয়টি ইউএনওকে জানালে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে যায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয় যুবকরা। পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আবারও বাড়িঘরে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ আবার ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এলাকার প্রভাবশালীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে কুশুরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ব্যক্তিমালিকানা জমিতে স্থাপন করা গোলবার উঠিয়ে দেন।
মামলার বাদি ফজলুল হক মাষ্টার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আউলাদ হোসেন ও তার ছেলে আতিকুর রহমান মুকুলের নেতৃত্ব মাঠের জন্য আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করে নিয়েছে। এতে বাধা দিলে তাদের নেতৃত্বে আমাদের দশটি বসতবাড়ি ভাংচুর ও কোপানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আতিকুর রহমান মুকুল মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, দখল নয় মাঠ বানানোর জন্য জমির মালিকরা ইচ্ছে করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জমি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যক্তিমালিকানা জমি দখল করে খেলার মাঠ বানানোর ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে বড় নালাই গ্রাম। জমির মালিকরা তিন দফা হামলার শিকার হয়েছেন প্রভাবশালীদের। এতে জমির মালিকদের ১০টি বসতঘর ভাংচুর ও কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় ফজলুল হক মাস্টার বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত প্রায় ৪০-৫০ জনসহ ৮৫ জনের নামে মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জসিম উদ্দিন ও সামসুল হককে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বড় নালাই গ্রামে। প্রভাশালীদের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে জমির মালিকরা।
জানা গেছে, বড় নালাই গ্রামের নালাই মৌজায় ১৫১নং দাগে সরকারি খাজ জমি রয়েছে ১৯০ শতাংশ। এর সবটুকুই গাজীখালী নদীর তলদেশ ও নদী তীরবর্তী অবস্থানে লম্বালম্বিভাবে রয়েছে। নদী তীরবর্তী খাসজমি সংলগ্ন এসএ ১৫২নং দাগে ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে ৭৯ শতাংশ। এ জমির পৈত্রিকসূত্রে মালিক একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, হাবিবুর রহমান,ইউনুছ আলী, আবদুস সালাম গং। প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আউলাদ হোসেন ও তার ছেলে আতিকুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে সৃজিত গাছপালা কেটে খেলার মাঠের জন্য দখল করে সেখানে গোলবার স্থাপন করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন জমির মালিক হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে মাঠের জন্য দখলকৃত জমিতে খেলতে যায় স্থানীয়দের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন, ইনতাজ আলী, রবিউল, আমির হামজা, আলমগীর হোসেন, সেলিম হোসেন,বাবু, জাকির হোসেন,মামুন মিয়া,নুরুল ইসলামগং। তাদের বাধা দেন হাবিবুর রহমান গং।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দলবদ্ধ হয়ে জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, তার বিধবা মেয়ে ফাতেমা আক্তার রোজি, সামসুল হক ওরফে কালু, আবুল হোসেন, ফজলুল হক মাষ্টার, ইউনুছ আলী, বিল্লাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও সাইদুর রহমান গোলাপের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে যুবকরা। পরে বিষয়টি ইউএনওকে জানালে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে যায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয় যুবকরা। পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আবারও বাড়িঘরে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ আবার ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এলাকার প্রভাবশালীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে কুশুরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ব্যক্তিমালিকানা জমিতে স্থাপন করা গোলবার উঠিয়ে দেন।
মামলার বাদি ফজলুল হক মাষ্টার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আউলাদ হোসেন ও তার ছেলে আতিকুর রহমান মুকুলের নেতৃত্ব মাঠের জন্য আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করে নিয়েছে। এতে বাধা দিলে তাদের নেতৃত্বে আমাদের দশটি বসতবাড়ি ভাংচুর ও কোপানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আতিকুর রহমান মুকুল মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, দখল নয় মাঠ বানানোর জন্য জমির মালিকরা ইচ্ছে করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জমি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।