১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/ নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা
‘নিম্নমানের খেজুর’-এর দাম ঠিক করে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’-এর নাম সংশোধন করে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভুলের কারণে ক্ষমা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ভুলের জন্য ক্ষমা চান।
এর আগে গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’-এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে দাম বেঁধে দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’-এর নাম ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।
পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কন্টিনিউ করতে চাই। এর মধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সবসময় বলি এফোর্টগুলোকে যদি একটু হাইলাইট করা হয়, যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয় তাহলে চলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলব যে বড়ই ভুল, আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি। আমাদের ভুলত্রুটি যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই...আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দেয়া। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়া। যেহেতু তারা গরিমসি করছিল, আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে তাই তাড়াহুড়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজ উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগগুলো সেগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। আমার নিজের কাছেও অবাক লেগেছে যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জন্য সুপার মার্কেট। কিন্তু সুপার মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে রোজার মধ্যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবে। এটা একটি উদাহরণ হতে পারে। আপনাদের (মিডিয়া) বলব পণ্যের দাম সেটি হাইলাইট করতে, যেখানে পণ্যের দাম ফিক্সড করে দেয়া আছে। মানুষের মুখের প্রাইজটা না নিয়ে যেটা ট্যাগে লাগানো আছে, সুপার মার্কেটে যেগুলো থাকে, সেটি হাইলাইট করলে মানুষও জানবে সুপার মার্কেটে তো এইটা (দাম), তাহলে কাঁচাবাজারে গিয়ে কেন এটা কিনব? সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করব। অনেকে মনে করে দামাদামি করলে হয়ত দুই টাকা সাশ্রয় হবে, সেজন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যায়। তেলের দাম তারা আমাদের নির্ধারিত মূল্যের কমে বিক্রি করছে এবং অন্যান্য জিনিসও তারা চেষ্টা করছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুপার শপের অন্য ইনসেনটিভগুলো নেন, প্রত্যেকটা রোজার পণ্য সুপারশপগুলোতে ফিক্সড প্রাইজ। সুপারশপ বলব না, ফিক্সড প্রাইজ শপগুলোতে তুলনামূলকভাবে কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে কম। ঢাকার প্রত্যেকটা হোলসেল মার্কেট আমাদের নজরদারিতে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। তারা যেন ভাউচারগুলো দেয় যে, কত দামে তারা রিটেইলারের কাছে বা খুচরা বিক্রেতার কাছে দিল। আমরা যখন যাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে, এটি পাই না। কারণ তারা পাইকারি বাজারের আড়তদার থেকে নয়, পাইকারি বাজারের রাস্তা থেকে কিনছে। সেটাই আমি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলো অনুশাসনের মধ্যে আনতে হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সাপ্লাই চেইনটা মনিটরিং করতে পারি। এটা আমরা আগামীকাল উদ্বোধন করব। আমাদের সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারব, কোথা থেকে কীভাবে পণ্য যাচ্ছে। কৃষক বেগুনের দাম পাচ্ছে ১০ টাকা। সেটি ঢাকায় এসে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপণন একটি আইনের আওতায় আছে, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা শক্তিশালী করব। চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু কোনো নিউজ নেই।’
বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/ নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা
‘নিম্নমানের খেজুর’-এর দাম ঠিক করে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’-এর নাম সংশোধন করে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভুলের কারণে ক্ষমা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ভুলের জন্য ক্ষমা চান।
এর আগে গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’-এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’-এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে দাম বেঁধে দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’-এর নাম ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।
পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কন্টিনিউ করতে চাই। এর মধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সবসময় বলি এফোর্টগুলোকে যদি একটু হাইলাইট করা হয়, যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয় তাহলে চলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলব যে বড়ই ভুল, আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি। আমাদের ভুলত্রুটি যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই...আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দেয়া। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়া। যেহেতু তারা গরিমসি করছিল, আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে তাই তাড়াহুড়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজ উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগগুলো সেগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। আমার নিজের কাছেও অবাক লেগেছে যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জন্য সুপার মার্কেট। কিন্তু সুপার মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে রোজার মধ্যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবে। এটা একটি উদাহরণ হতে পারে। আপনাদের (মিডিয়া) বলব পণ্যের দাম সেটি হাইলাইট করতে, যেখানে পণ্যের দাম ফিক্সড করে দেয়া আছে। মানুষের মুখের প্রাইজটা না নিয়ে যেটা ট্যাগে লাগানো আছে, সুপার মার্কেটে যেগুলো থাকে, সেটি হাইলাইট করলে মানুষও জানবে সুপার মার্কেটে তো এইটা (দাম), তাহলে কাঁচাবাজারে গিয়ে কেন এটা কিনব? সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করব। অনেকে মনে করে দামাদামি করলে হয়ত দুই টাকা সাশ্রয় হবে, সেজন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যায়। তেলের দাম তারা আমাদের নির্ধারিত মূল্যের কমে বিক্রি করছে এবং অন্যান্য জিনিসও তারা চেষ্টা করছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুপার শপের অন্য ইনসেনটিভগুলো নেন, প্রত্যেকটা রোজার পণ্য সুপারশপগুলোতে ফিক্সড প্রাইজ। সুপারশপ বলব না, ফিক্সড প্রাইজ শপগুলোতে তুলনামূলকভাবে কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে কম। ঢাকার প্রত্যেকটা হোলসেল মার্কেট আমাদের নজরদারিতে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। তারা যেন ভাউচারগুলো দেয় যে, কত দামে তারা রিটেইলারের কাছে বা খুচরা বিক্রেতার কাছে দিল। আমরা যখন যাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে, এটি পাই না। কারণ তারা পাইকারি বাজারের আড়তদার থেকে নয়, পাইকারি বাজারের রাস্তা থেকে কিনছে। সেটাই আমি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলো অনুশাসনের মধ্যে আনতে হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সাপ্লাই চেইনটা মনিটরিং করতে পারি। এটা আমরা আগামীকাল উদ্বোধন করব। আমাদের সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারব, কোথা থেকে কীভাবে পণ্য যাচ্ছে। কৃষক বেগুনের দাম পাচ্ছে ১০ টাকা। সেটি ঢাকায় এসে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপণন একটি আইনের আওতায় আছে, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা শক্তিশালী করব। চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু কোনো নিউজ নেই।’