রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) এর প্রথম অধিবেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক মাসে ১২ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাকসু কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর এজিএস এস. এম. সালমান সাব্বির। তিনি এক মাসে গৃহীত ১২টি কর্মসূচি তুলে ধরেন।
কর্মসূচিগুলো হলো— রাকসু তহবিলের যথাযথ হিসাব ; সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসাইনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ; শিক্ষার্থী জারাফার জন্য রাকসুর পক্ষ থেকে ফান্ড রেইজিং; বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের জন্য রোড ম্যাপ তৈরি ; সমাজ স্বীকৃত পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; প্রত্যক হলে পানির ফিল্টার মেশিন স্থাপন এবং প্রত্যেক একাডেমিক ভবনে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা।
এ ছাড়া ছাত্রী হলের সামনে ফার্মেসি, সুপারশপ ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত, মহিলা জিমনেসিয়াম চালু, হল এলাকা, একাডেমিক ভবন ও স্যুভেনিওর শপে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত, আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তারা।
রাকসুর তহবিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন,‘নির্বাচনের পর থেকেই আমরা প্রশাসনের কাছে রাকসুর তহবিলের হিসাব চাইছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাতে তা এখনো দেয়নি। গতকাল অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে গত ৩৫ বছরে রাকসুর তহবিলে কত টাকা জমা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেবে।’
কর্মসূচিগুলো এক মাসে বাস্তবায়ন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সব কর্মসূচিই রাকসুর তহবিলের ওপর নির্ভরশীল নয়। অনেক উদ্যোগ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আছে। তাই আমরা আশা করি, এক মাসের মধ্যেই অধিকাংশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে রাকসুর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) এর প্রথম অধিবেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক মাসে ১২ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাকসু কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর এজিএস এস. এম. সালমান সাব্বির। তিনি এক মাসে গৃহীত ১২টি কর্মসূচি তুলে ধরেন।
কর্মসূচিগুলো হলো— রাকসু তহবিলের যথাযথ হিসাব ; সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসাইনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ; শিক্ষার্থী জারাফার জন্য রাকসুর পক্ষ থেকে ফান্ড রেইজিং; বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের জন্য রোড ম্যাপ তৈরি ; সমাজ স্বীকৃত পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; প্রত্যক হলে পানির ফিল্টার মেশিন স্থাপন এবং প্রত্যেক একাডেমিক ভবনে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা।
এ ছাড়া ছাত্রী হলের সামনে ফার্মেসি, সুপারশপ ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত, মহিলা জিমনেসিয়াম চালু, হল এলাকা, একাডেমিক ভবন ও স্যুভেনিওর শপে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত, আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তারা।
রাকসুর তহবিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন,‘নির্বাচনের পর থেকেই আমরা প্রশাসনের কাছে রাকসুর তহবিলের হিসাব চাইছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাতে তা এখনো দেয়নি। গতকাল অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে গত ৩৫ বছরে রাকসুর তহবিলে কত টাকা জমা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেবে।’
কর্মসূচিগুলো এক মাসে বাস্তবায়ন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সব কর্মসূচিই রাকসুর তহবিলের ওপর নির্ভরশীল নয়। অনেক উদ্যোগ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আছে। তাই আমরা আশা করি, এক মাসের মধ্যেই অধিকাংশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে রাকসুর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।