উপাচার্য পদের মূল্য বেশি নাকি অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রাণ? এমনটি জানিয়ে একযোগে অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মোহাইমিনুল বাসার রাজ। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরা সবাই গণঅনশনে যোগ দিবো।’
এর আগে রোববার সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে শাবির আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছিলেন,‘অতি উৎসাহী হয়ে অযৌক্তিক দাবি যদি উপস্থাপিত হয় এবং কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ব্যতীত, এমন অযৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। মন্ত্রী মহোদয়ের পর্যায় থেকে আলোচনা করা হচ্ছে। সেই আলোচনার পর আমরা যেটি বুঝতে পারছি এখানে ইগো সমস্যা বেশি, বাস্তব সমস্যার চেয়ে।’
উপমন্ত্রীর এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে মোহাইমিনুল বাসার বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর যে বক্তব্যে দিয়েছেন তা অযৌক্তিক। এর সত্যতা নেই। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা চলাকালে অনশনকারীরা হাসপাতালে কোনো খাবার নেননি।
তিনি আরও বলেন, সব কিছু বিবেচনা করে আমাদের মনে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রাণের চেয়ে ভিসির একটি পদের দাম অনেক বেশি। আমরা যেহেতু গণঅনশনের ডাক দিয়েছি, এখন থেকে সে দিকেই যাবো। আমরা মারা গিয়ে এটি প্রমাণ করবো যে, ভিসির চেয়ারটার দাম আমাদের প্রাণের চেয়ে বেশি ছিলো!
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবির আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়, লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এ ছাড়াও এ হামলার ঘটনায় পুলিশ নাম উল্লেখ না করে শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা করেছে। এর পর আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছি। যে গুলি চালাতে পারে, তাকে আমরা চাই না। এটি আমাদের যৌক্তিক দাবি। এ দাবিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন করছে।’
এর আগে, গতকাল বিকেল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে মানবদেয়াল তৈরি করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন উপাচার্য। সন্ধ্যায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ। এখন উপাচার্যের বাসভবনে পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি রাতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এর মধ্যে ১৯ জানুয়ারি ২টা ৫০ মিনিটে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। তখন থেকে তারা এখনও অনশনে রয়েছেন।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
উপাচার্য পদের মূল্য বেশি নাকি অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রাণ? এমনটি জানিয়ে একযোগে অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মোহাইমিনুল বাসার রাজ। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরা সবাই গণঅনশনে যোগ দিবো।’
এর আগে রোববার সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে শাবির আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছিলেন,‘অতি উৎসাহী হয়ে অযৌক্তিক দাবি যদি উপস্থাপিত হয় এবং কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ব্যতীত, এমন অযৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। মন্ত্রী মহোদয়ের পর্যায় থেকে আলোচনা করা হচ্ছে। সেই আলোচনার পর আমরা যেটি বুঝতে পারছি এখানে ইগো সমস্যা বেশি, বাস্তব সমস্যার চেয়ে।’
উপমন্ত্রীর এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে মোহাইমিনুল বাসার বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর যে বক্তব্যে দিয়েছেন তা অযৌক্তিক। এর সত্যতা নেই। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা চলাকালে অনশনকারীরা হাসপাতালে কোনো খাবার নেননি।
তিনি আরও বলেন, সব কিছু বিবেচনা করে আমাদের মনে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রাণের চেয়ে ভিসির একটি পদের দাম অনেক বেশি। আমরা যেহেতু গণঅনশনের ডাক দিয়েছি, এখন থেকে সে দিকেই যাবো। আমরা মারা গিয়ে এটি প্রমাণ করবো যে, ভিসির চেয়ারটার দাম আমাদের প্রাণের চেয়ে বেশি ছিলো!
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবির আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়, লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এ ছাড়াও এ হামলার ঘটনায় পুলিশ নাম উল্লেখ না করে শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা করেছে। এর পর আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছি। যে গুলি চালাতে পারে, তাকে আমরা চাই না। এটি আমাদের যৌক্তিক দাবি। এ দাবিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন করছে।’
এর আগে, গতকাল বিকেল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে মানবদেয়াল তৈরি করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন উপাচার্য। সন্ধ্যায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ। এখন উপাচার্যের বাসভবনে পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি রাতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এর মধ্যে ১৯ জানুয়ারি ২টা ৫০ মিনিটে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। তখন থেকে তারা এখনও অনশনে রয়েছেন।