সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনশন চলছেই। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সহপাঠীরা সহমর্মী হয়ে তাদের অনশন ভাঙাতে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘১৪৫ ঘণ্টা আমরা এখানে অনশন করছি, এখন আর ক্ষুধা-তৃষ্ণা নেই। এই উপাচার্য অনেকদিন আমাদের ভাগের খাবার খেয়েছেন। আরও কিছুদিন আমাদের ভাগেরটা খাক।’
অনশন ভাঙাতে আসা সহপাঠীরা তাদের অনশন ভেঙে নতুন করে আন্দোলন করার আহ্বান জানান। তাদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আপনারা প্লিজ খাদ্য গ্রহণ করেন। আমরা সবাই মিলে মাঠে থেকে এই স্বৈরাচারী ভিসিকে সরাবো। এখানে একজন মরে গেলে আমরা নিজেদের কী করে বুঝাবো!’
এসময় এক অনশনকারী বলেন, ‘কেউ অনশন ভাঙতে চাইলে ভাঙতে পারেন, কিন্তু আমি ভাঙতে চাই না।’
অনশন ভাঙাতে আসা ওই সহপাঠী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। উপাচার্য কে না নামিয়ে আমরা কোথাও যাব না। আমাদের খারাপ লাগছে।’
জবাবে অনশনকারীরা বলেন, ‘যারা হাসপাতালে আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার দরকার আছে। আমরা এই অবস্থান থেকে সরবো কিনা পরে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাসের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অনশনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। এরপর ওইদিন বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনশন চলছেই। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সহপাঠীরা সহমর্মী হয়ে তাদের অনশন ভাঙাতে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘১৪৫ ঘণ্টা আমরা এখানে অনশন করছি, এখন আর ক্ষুধা-তৃষ্ণা নেই। এই উপাচার্য অনেকদিন আমাদের ভাগের খাবার খেয়েছেন। আরও কিছুদিন আমাদের ভাগেরটা খাক।’
অনশন ভাঙাতে আসা সহপাঠীরা তাদের অনশন ভেঙে নতুন করে আন্দোলন করার আহ্বান জানান। তাদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আপনারা প্লিজ খাদ্য গ্রহণ করেন। আমরা সবাই মিলে মাঠে থেকে এই স্বৈরাচারী ভিসিকে সরাবো। এখানে একজন মরে গেলে আমরা নিজেদের কী করে বুঝাবো!’
এসময় এক অনশনকারী বলেন, ‘কেউ অনশন ভাঙতে চাইলে ভাঙতে পারেন, কিন্তু আমি ভাঙতে চাই না।’
অনশন ভাঙাতে আসা ওই সহপাঠী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। উপাচার্য কে না নামিয়ে আমরা কোথাও যাব না। আমাদের খারাপ লাগছে।’
জবাবে অনশনকারীরা বলেন, ‘যারা হাসপাতালে আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার দরকার আছে। আমরা এই অবস্থান থেকে সরবো কিনা পরে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাসের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অনশনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। এরপর ওইদিন বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।