মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলে অবস্থানরত এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধর করে বিছানাপত্র বাহিরে ছুড়ে ফেলে দিলেন হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন এবং তার অনুসারীরা। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত ২ টায় হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. মুন্না ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে অভিযুক্ত শামীম হোসেন নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ২৪৮ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তাকে মারধর এবং গালিগালাজ করে তার বিছানাপত্র বের করে বাহিরে ফেলে দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমের অনুসারীরা।
জানতে চাইলে মুন্না বলেন, ‘আমি পূর্বে হলের তৃতীয় ব্লকের ৩৫২ নম্বর কক্ষের ফ্লোরিং করে থাকতাম। চলতি মাসের গত ১২ তারিখে হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষটি ফাঁকা হওয়ায় সেই কক্ষে উঠার জন্য হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কর্তৃপক্ষের কথামত আমি হলের এক আবাসিক শিক্ষকের সুপারিশ নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষকে লিখিত আবেদন দেই। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ওই রুমে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার প্রেক্ষিতে ১৫ জুন আমি ২৪৮ নম্বর কক্ষে উঠি।’
ভুক্তভোগী আরো বলেন, ১৫ জুন থেকে আমি ২৪৮ নম্বর কক্ষেই অবস্থান করছি। পরে গত বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আমার রুমে আসেন। এখনি এই রুম থেকে বের হয়ে যাবি এই বলে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। আমি বের হতে চাইনি বলে আমার ঘার ধরে ধাক্কা মেরে দরজার বাহিরে বের করে দেন তৌহিদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। আমাকে কিল-ঘুষিও মারেন সাধারণ সম্পাদকের সাথে আসা ওই নেতা। আমার বিছানাপত্র বাইরে বের করে দিয়ে আমার সিটে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আসিফ নামের শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আমি আমার বৈধ সিটে অবস্থান করতে চাই। আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে এমন অন্যায়ের ঘটনা যেন না ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শামীম হোসেনকে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. এইচ এম মাহবুবর রহমান বলেন, আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। মারধর ঘটনা যদি ঘটে থাকে তার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।
এদিকে এ ঘটনার পর তাৎক্ষনিক এ প্রতিবাদ জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসে শিক্ষকরা এমন ঘৃণিত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারে না। প্রতিনিয়ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিক্ষক হয়ে আমরা সেটা মেনে নিতে পারিনা। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন দৃষ্টান্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এঘটনায় শিক্ষকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলে অবস্থানরত এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধর করে বিছানাপত্র বাহিরে ছুড়ে ফেলে দিলেন হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন এবং তার অনুসারীরা। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত ২ টায় হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. মুন্না ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে অভিযুক্ত শামীম হোসেন নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ২৪৮ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তাকে মারধর এবং গালিগালাজ করে তার বিছানাপত্র বের করে বাহিরে ফেলে দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমের অনুসারীরা।
জানতে চাইলে মুন্না বলেন, ‘আমি পূর্বে হলের তৃতীয় ব্লকের ৩৫২ নম্বর কক্ষের ফ্লোরিং করে থাকতাম। চলতি মাসের গত ১২ তারিখে হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষটি ফাঁকা হওয়ায় সেই কক্ষে উঠার জন্য হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কর্তৃপক্ষের কথামত আমি হলের এক আবাসিক শিক্ষকের সুপারিশ নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষকে লিখিত আবেদন দেই। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ওই রুমে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তার প্রেক্ষিতে ১৫ জুন আমি ২৪৮ নম্বর কক্ষে উঠি।’
ভুক্তভোগী আরো বলেন, ১৫ জুন থেকে আমি ২৪৮ নম্বর কক্ষেই অবস্থান করছি। পরে গত বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আমার রুমে আসেন। এখনি এই রুম থেকে বের হয়ে যাবি এই বলে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। আমি বের হতে চাইনি বলে আমার ঘার ধরে ধাক্কা মেরে দরজার বাহিরে বের করে দেন তৌহিদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। আমাকে কিল-ঘুষিও মারেন সাধারণ সম্পাদকের সাথে আসা ওই নেতা। আমার বিছানাপত্র বাইরে বের করে দিয়ে আমার সিটে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আসিফ নামের শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আমি আমার বৈধ সিটে অবস্থান করতে চাই। আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে এমন অন্যায়ের ঘটনা যেন না ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শামীম হোসেনকে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. এইচ এম মাহবুবর রহমান বলেন, আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। মারধর ঘটনা যদি ঘটে থাকে তার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।
এদিকে এ ঘটনার পর তাৎক্ষনিক এ প্রতিবাদ জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসে শিক্ষকরা এমন ঘৃণিত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারে না। প্রতিনিয়ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিক্ষক হয়ে আমরা সেটা মেনে নিতে পারিনা। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন দৃষ্টান্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এঘটনায় শিক্ষকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।