প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বুধবার (১৯ জুন) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুললেও রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। মহাসড়কগুলোতেও যানবাহনের তেমন কোন চাপ ছিল না। বাড়তি চাপ না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছেন যাত্রীরা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন তিনদিন ছিল সরকারি ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ কার?ণে এবারের ঈদের ছুটি পড়েছে পাঁচ দিন। টানা ছুটি শেষে অনেকে বুধবার অফিস করেছেন।
তবে আগামীকাল ও শনিবার আবারও সাপ্তাহিক ছুটি। অনেকেই বলছেন, মূলত এই কারণে ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের সংখ্যা কম। কারণ অনেকেই ছুটি নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটিও বাড়িতে কাটিয়ে আসবেন।
বুধবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে সকালে কিছুটা জটলা তৈরি হয়। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এদিন দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রবেশ পথে যানবাহনের কোনো চাপ দেখা যায়নি। হানিফ ফ্লাইওভার ধরে যানবাহনের চলাচলও ছিল স্বাভাবিক।
তবে ফ্লাইওভারের নিচে যাত্রাবাড়ি মোড়ে কিছুটা জটলা তৈরি হতে দেখা যায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রবেশ পথেও মাঝেমধ্যে সাময়িক জটলা তৈরির খবর পাওয়া গেছে। যদিও দেশের সব মহাসড়কেই বুধবার যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম। কোথাও ধীরগতি বা যানজটের খবরও পাওয়া যায়নি।
বুধবার রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজনকে ফিরতে দেখা যায়। তবে তুলনামূলকভাবে যাত্রীদের সংখ্যা কম ছিল। এদিন ভোর থেকেই ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে ভিড়তে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টার্মিনালে বাড়তে থাকে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। তবে ফেরার যাত্রীদের ঢল তেমন ছিল না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফিরতি ঈদযাত্রা শুরু হলেও ঢাকামুখী মানুষের ঢল তেমনভাবে শুরু হয়নি। তাছাড়া দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় অনেকে সুবিধামত আসছেন, এজন্য যাত্রীদের ভিড় নেই। এছাড়াও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অনেকেই পরিবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় ফিরে আসছেন, এজন্যও ফিরতি যাত্রায় চাপ তৈরি হয়নি।
কাজে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরেছেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ আরো পরে খুলবে। সেজন্য তাদেরকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছি। আমি একাই ফিরে এসেছি।’
সিলেট হবিগঞ্জ থেকে প্রায় ফাঁকা বাস নিয়ে বুধবার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ আসে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। যেসব যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরে প্রায় সেগুলোও পথ থেকে তুলে আনা লোকাল যাত্রী। পরিবহনটির কর্মী আকরাম হোসেন বলেন, ‘যাত্রী একেবারেই ছিল না। কিছু যাত্রী বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।’
ঢাকায় গণপরিবহন কম, রিকশা ও সিএনজির আধিপত্য
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কর্মদিবস শুরু হলেও গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল কম। গণপরিবহণে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। তবে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার সংখ্যা ছিল বেশি। মূলত নগরজুড়ে এখনো চলছে ছুটির আমেজ।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে মানুষের যাতায়াত কম হওয়ায় এসব সড়ক অনেকটা ফাঁকা ছিল।
দুপুরের পর পল্টন মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন শাকিল মিয়া। কথা হলে তিনি বলেন, ‘অফিস খুললে কি হলে মানুষ নাই। কাজও নাই। তাই আগেবাগেই বেড়িয়ে গেছি। সবাই আসলে আগামী সাপ্তাহ থেকে পুরোধমে অফিসের কাজ শুরু হবে।’
শাকিল জানান, সকালে অফিসে আসার সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। যাওয়ার সময়ও করতে হচ্ছে। ‘রাস্তায় বাস কম। মানুষও কম। সকালের মতো এখনও বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এতে সমস্যা নাই। বাস পেলে দ্রুতই পৌঁছে যাবো।’ পল্টন এলাকায় ৮ নম্বার বাসের কর্মী তাকবীরও বলছিলেন যাত্রী কম থাকায় বাসও কম চলছে।
বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বুধবার (১৯ জুন) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুললেও রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। মহাসড়কগুলোতেও যানবাহনের তেমন কোন চাপ ছিল না। বাড়তি চাপ না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছেন যাত্রীরা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন তিনদিন ছিল সরকারি ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ কার?ণে এবারের ঈদের ছুটি পড়েছে পাঁচ দিন। টানা ছুটি শেষে অনেকে বুধবার অফিস করেছেন।
তবে আগামীকাল ও শনিবার আবারও সাপ্তাহিক ছুটি। অনেকেই বলছেন, মূলত এই কারণে ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের সংখ্যা কম। কারণ অনেকেই ছুটি নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটিও বাড়িতে কাটিয়ে আসবেন।
বুধবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে সকালে কিছুটা জটলা তৈরি হয়। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এদিন দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রবেশ পথে যানবাহনের কোনো চাপ দেখা যায়নি। হানিফ ফ্লাইওভার ধরে যানবাহনের চলাচলও ছিল স্বাভাবিক।
তবে ফ্লাইওভারের নিচে যাত্রাবাড়ি মোড়ে কিছুটা জটলা তৈরি হতে দেখা যায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রবেশ পথেও মাঝেমধ্যে সাময়িক জটলা তৈরির খবর পাওয়া গেছে। যদিও দেশের সব মহাসড়কেই বুধবার যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম। কোথাও ধীরগতি বা যানজটের খবরও পাওয়া যায়নি।
বুধবার রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজনকে ফিরতে দেখা যায়। তবে তুলনামূলকভাবে যাত্রীদের সংখ্যা কম ছিল। এদিন ভোর থেকেই ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে ভিড়তে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টার্মিনালে বাড়তে থাকে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। তবে ফেরার যাত্রীদের ঢল তেমন ছিল না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফিরতি ঈদযাত্রা শুরু হলেও ঢাকামুখী মানুষের ঢল তেমনভাবে শুরু হয়নি। তাছাড়া দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় অনেকে সুবিধামত আসছেন, এজন্য যাত্রীদের ভিড় নেই। এছাড়াও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অনেকেই পরিবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় ফিরে আসছেন, এজন্যও ফিরতি যাত্রায় চাপ তৈরি হয়নি।
কাজে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরেছেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ আরো পরে খুলবে। সেজন্য তাদেরকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছি। আমি একাই ফিরে এসেছি।’
সিলেট হবিগঞ্জ থেকে প্রায় ফাঁকা বাস নিয়ে বুধবার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ আসে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। যেসব যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরে প্রায় সেগুলোও পথ থেকে তুলে আনা লোকাল যাত্রী। পরিবহনটির কর্মী আকরাম হোসেন বলেন, ‘যাত্রী একেবারেই ছিল না। কিছু যাত্রী বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।’
ঢাকায় গণপরিবহন কম, রিকশা ও সিএনজির আধিপত্য
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কর্মদিবস শুরু হলেও গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল কম। গণপরিবহণে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। তবে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার সংখ্যা ছিল বেশি। মূলত নগরজুড়ে এখনো চলছে ছুটির আমেজ।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে মানুষের যাতায়াত কম হওয়ায় এসব সড়ক অনেকটা ফাঁকা ছিল।
দুপুরের পর পল্টন মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন শাকিল মিয়া। কথা হলে তিনি বলেন, ‘অফিস খুললে কি হলে মানুষ নাই। কাজও নাই। তাই আগেবাগেই বেড়িয়ে গেছি। সবাই আসলে আগামী সাপ্তাহ থেকে পুরোধমে অফিসের কাজ শুরু হবে।’
শাকিল জানান, সকালে অফিসে আসার সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। যাওয়ার সময়ও করতে হচ্ছে। ‘রাস্তায় বাস কম। মানুষও কম। সকালের মতো এখনও বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এতে সমস্যা নাই। বাস পেলে দ্রুতই পৌঁছে যাবো।’ পল্টন এলাকায় ৮ নম্বার বাসের কর্মী তাকবীরও বলছিলেন যাত্রী কম থাকায় বাসও কম চলছে।