রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে ব্যাংকসহ ১২২ প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তদন্ত টিম রাজধানীর শান্তিনগরে রাজারবাগ পীরের দরবার সাইয়্যাদুল আইয়্যাদ শরীফে পরিদর্শনে গেছেন। কিন্তু পীরসাহেব তদন্ত টিমের সঙ্গে দেখা করেননি। তদন্তে সহযোগিতা না করলে মূল অভিযোগের পাশপাশি তিনি অতিরিক্ত দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে রাজারবাগ পীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে সারা দেশের ৫৬টি তফসিলি ব্যাংক, দেশের ৬৪টি জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বনশিল্পে চিঠির দেওয়ার বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, কোথায় কোথায় জমি দখল হয়েছে, তার নামে কোনো অবৈধ সম্পদ আছে কিনা এই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে বনশিল্পে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠির বিষয়ে বলেন, তার অনুকূলে কি পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে সেটি জানতে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড় তার বিরুদ্ধে রাবার বাগান দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে বনবিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আদৌ এমনটা হয়েছে কিনা, বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন বলতে পারবে।
দুদক সচিব বলেন, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে যেতে হয়। সে হিসেবে টিম রাজারবাগ শরীফে যায়। পীরকে তদন্ত টিমের সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তার দেখা পায় নাই। অনুসন্ধান টিম প্রয়োজন মনে করলে পীর দিল্লুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। দুর্নীতি দমন আইনের ২৬(২) ধারা ২৭(১) ধারা অনুসারে দুদককে অসহযোগিতার করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা কেউ করতে পারে না। তিনি বলেন, যারা দুদককে সহযোগিতা করবে না, তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত দায়ে অভিযুক্ত করা হবে। হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ। অন্যথায় হাইকোর্ট থেকে সময় চেয়ে নেওয়া হবে।
বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১
রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে ব্যাংকসহ ১২২ প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তদন্ত টিম রাজধানীর শান্তিনগরে রাজারবাগ পীরের দরবার সাইয়্যাদুল আইয়্যাদ শরীফে পরিদর্শনে গেছেন। কিন্তু পীরসাহেব তদন্ত টিমের সঙ্গে দেখা করেননি। তদন্তে সহযোগিতা না করলে মূল অভিযোগের পাশপাশি তিনি অতিরিক্ত দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে রাজারবাগ পীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে সারা দেশের ৫৬টি তফসিলি ব্যাংক, দেশের ৬৪টি জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বনশিল্পে চিঠির দেওয়ার বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, কোথায় কোথায় জমি দখল হয়েছে, তার নামে কোনো অবৈধ সম্পদ আছে কিনা এই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে বনশিল্পে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠির বিষয়ে বলেন, তার অনুকূলে কি পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে সেটি জানতে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড় তার বিরুদ্ধে রাবার বাগান দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে বনবিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আদৌ এমনটা হয়েছে কিনা, বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন বলতে পারবে।
দুদক সচিব বলেন, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে যেতে হয়। সে হিসেবে টিম রাজারবাগ শরীফে যায়। পীরকে তদন্ত টিমের সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তার দেখা পায় নাই। অনুসন্ধান টিম প্রয়োজন মনে করলে পীর দিল্লুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। দুর্নীতি দমন আইনের ২৬(২) ধারা ২৭(১) ধারা অনুসারে দুদককে অসহযোগিতার করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা কেউ করতে পারে না। তিনি বলেন, যারা দুদককে সহযোগিতা করবে না, তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত দায়ে অভিযুক্ত করা হবে। হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ। অন্যথায় হাইকোর্ট থেকে সময় চেয়ে নেওয়া হবে।