জামাতুল শারক্বীয়ার ৫ জন গ্রেপ্তার
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করতেন তারা। সংগঠনটির দাওয়াতি, হিজরত করা সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধান, পাহাড়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, বোমা তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজেই ভূমিকা রাখতেন। শুধু তাই নয়, নতুন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম টাইমলাইনে আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান জোরদার করলে আত্মগোপনে চলে যান তারা। ওই অবস্থায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পাহাড়ে প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবারহ অব্যাহত রাখেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও রাজধানীর গুলিস্তান থেকে নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলো- সংগঠনটির অন্যতম মূলহোতা শামিন মাহফুজের ভাতিজা সাকিব মাহমুদ, মো. গোলাম সারোয়ার, ফরহাদ হোসেন, মুরাদ হোসেন ও ওয়াসিকুর রহমান ওরফে নাঈম। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন উগ্রবাদী বই ও লিফলেট, একটি রেজিস্টার এবং ব্যাগ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ৫ জন তারা ২/৪ বছর আগেই নিকটাত্মীয়, বন্ধু ও স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মাধ্যমে তাত্ত্বিক, শারীরিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে ফাজিল সম্পন্ন করেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করতেন। তিনি আগে গ্রেপ্তার হওয়া নেয়ামত উল্লাহর মেয়ের স্বামী গোলাম সারোয়ার তার শশুরের মাধ্যমে ২ বছর আগে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া তরুণদের কুমিল্লার বিভিন্ন সেইফ হাউজে রাখা ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে পাঠানো সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, বিগত সময়ে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ তিন তরুণের (নেহাল, আসমানী ও নিলয়) ঘটনায় কুমিল্লার দৌলতগঞ্জ রেলস্টেশনের নিকটবর্তী সিসিটিভি ফুটেজে গ্রেপ্তার সারওয়ারকে নিখোঁজদের কুমিল্লার দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। গ্রেপ্তার হওয়া সাকিব মাহমুদ গাইবান্ধা থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তিনি একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন। তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সুরা সদস্য, উপদেষ্টা ও প্রশিক্ষণের তত্ত্বাবধায়ক শামীম মাহফুজের আপন ভাতিজা। তিনি তিন বছর আগে শামীম মাহফুজের মাধ্যমে এ সংগঠনে যোগ দেন।
সাকিব মাহমুদ গাইবান্ধা অঞ্চলে সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি শামীম মাহফুজের নির্দেশনায় গাইবান্ধা অঞ্চলে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে পাঠানোর কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি সংগঠনের একজন সশস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য। গাইবান্ধায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করায় সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় তিনি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আরও ৩-৪ জন সদস্যকে একত্রিত করেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বেই সাকিব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ফরহাদ হোসেন ও মুরাদ হোসেন সহোদর ভাই। ফরহাদ স্থানীয় কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন এবং মুরাদ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তারা সংগঠনটির সূরা সদস্য এবং অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিবের শ্যালক। তিন বছর আগে মোশারফ হোসেনের মাধ্যমে তারা ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হন। তারা রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় সংগঠনের অর্থ দিয়ে ‘ট্রাস্ট টেলিকম’ নামে একটি মোবাইল এক্সোসরিজের দোকান পরিচালনা করতেন এবং দোকানের লভ্যাংশ সংগঠনের প্রশিক্ষণসহ অন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যয় করতেন। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জে তারা একটি গরু-ছাগলের খামার পরিচালনা করতেন। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের খামারে গিয়ে মিটিং করতেন বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওয়াসিকুর রহমান ওরফে নাঈম রাজধানীর একটি মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করেন। দুই বছর আগে তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তিনি রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সংগঠনের অর্থ দিয়ে ‘ষোল আনা’ নামক একটি আতরের দোকান পরিচালনা করতেন এবং দোকানের লভ্যাংশ সংগঠনের প্রশিক্ষণসহ অন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যয় করতেন। তিনি সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া ফরহাদ ও মুরাদ পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, বস্ত্র সামগ্রী ও বোমা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে তা নাঈমের ‘ষোল আনা’ নামক আতরের দোকানে পৌঁছে দিতেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে তা পার্বত্য অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতেন বলে জানা যায়।
গত ২০ নভেম্বর পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেয়া আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তাদের বিষয়ে র্যাবের কাছে বেশ কিছু তথ্য আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এসব কারা কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দা সংস্থা আছে, সবাই মিলে যদি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে এধরনের ঘটনা রোধ করা যাবে। তবে, এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে পারে না।
জামাতুল শারক্বীয়ার ৫ জন গ্রেপ্তার
সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করতেন তারা। সংগঠনটির দাওয়াতি, হিজরত করা সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধান, পাহাড়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, বোমা তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজেই ভূমিকা রাখতেন। শুধু তাই নয়, নতুন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম টাইমলাইনে আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান জোরদার করলে আত্মগোপনে চলে যান তারা। ওই অবস্থায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পাহাড়ে প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবারহ অব্যাহত রাখেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও রাজধানীর গুলিস্তান থেকে নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলো- সংগঠনটির অন্যতম মূলহোতা শামিন মাহফুজের ভাতিজা সাকিব মাহমুদ, মো. গোলাম সারোয়ার, ফরহাদ হোসেন, মুরাদ হোসেন ও ওয়াসিকুর রহমান ওরফে নাঈম। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন উগ্রবাদী বই ও লিফলেট, একটি রেজিস্টার এবং ব্যাগ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ৫ জন তারা ২/৪ বছর আগেই নিকটাত্মীয়, বন্ধু ও স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মাধ্যমে তাত্ত্বিক, শারীরিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে ফাজিল সম্পন্ন করেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করতেন। তিনি আগে গ্রেপ্তার হওয়া নেয়ামত উল্লাহর মেয়ের স্বামী গোলাম সারোয়ার তার শশুরের মাধ্যমে ২ বছর আগে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া তরুণদের কুমিল্লার বিভিন্ন সেইফ হাউজে রাখা ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে পাঠানো সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, বিগত সময়ে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ তিন তরুণের (নেহাল, আসমানী ও নিলয়) ঘটনায় কুমিল্লার দৌলতগঞ্জ রেলস্টেশনের নিকটবর্তী সিসিটিভি ফুটেজে গ্রেপ্তার সারওয়ারকে নিখোঁজদের কুমিল্লার দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। গ্রেপ্তার হওয়া সাকিব মাহমুদ গাইবান্ধা থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তিনি একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন। তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সুরা সদস্য, উপদেষ্টা ও প্রশিক্ষণের তত্ত্বাবধায়ক শামীম মাহফুজের আপন ভাতিজা। তিনি তিন বছর আগে শামীম মাহফুজের মাধ্যমে এ সংগঠনে যোগ দেন।
সাকিব মাহমুদ গাইবান্ধা অঞ্চলে সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি শামীম মাহফুজের নির্দেশনায় গাইবান্ধা অঞ্চলে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে পাঠানোর কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি সংগঠনের একজন সশস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য। গাইবান্ধায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করায় সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় তিনি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আরও ৩-৪ জন সদস্যকে একত্রিত করেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বেই সাকিব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ফরহাদ হোসেন ও মুরাদ হোসেন সহোদর ভাই। ফরহাদ স্থানীয় কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন এবং মুরাদ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তারা সংগঠনটির সূরা সদস্য এবং অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিবের শ্যালক। তিন বছর আগে মোশারফ হোসেনের মাধ্যমে তারা ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হন। তারা রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় সংগঠনের অর্থ দিয়ে ‘ট্রাস্ট টেলিকম’ নামে একটি মোবাইল এক্সোসরিজের দোকান পরিচালনা করতেন এবং দোকানের লভ্যাংশ সংগঠনের প্রশিক্ষণসহ অন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যয় করতেন। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জে তারা একটি গরু-ছাগলের খামার পরিচালনা করতেন। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের খামারে গিয়ে মিটিং করতেন বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওয়াসিকুর রহমান ওরফে নাঈম রাজধানীর একটি মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করেন। দুই বছর আগে তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তিনি রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সংগঠনের অর্থ দিয়ে ‘ষোল আনা’ নামক একটি আতরের দোকান পরিচালনা করতেন এবং দোকানের লভ্যাংশ সংগঠনের প্রশিক্ষণসহ অন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যয় করতেন। তিনি সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া ফরহাদ ও মুরাদ পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, বস্ত্র সামগ্রী ও বোমা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে তা নাঈমের ‘ষোল আনা’ নামক আতরের দোকানে পৌঁছে দিতেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে তা পার্বত্য অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতেন বলে জানা যায়।
গত ২০ নভেম্বর পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেয়া আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তাদের বিষয়ে র্যাবের কাছে বেশ কিছু তথ্য আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এসব কারা কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দা সংস্থা আছে, সবাই মিলে যদি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে এধরনের ঘটনা রোধ করা যাবে। তবে, এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে পারে না।