বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কে কোথায়
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে পাঁচজন এখনও জীবিত; তারা বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছে। তাদের দুজন কথায় আছেন সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বাকি তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন এরা কে কথায় আছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই দেশের কোন সংস্থার কাছে।
খন্দকার আবদুর রশিদ অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হয়। ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) সর্বশেষ তথ্যমতে, তিনি লিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, লেবানন, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং ইতালি থাকতে পারেন।
শরিফুল হক ডালিমও ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৯৫ সালে কেনিয়াতে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন অবস্থায় অবসরে যায় ডালিম। বর্তমানে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয় সরকার। এনসিবির তথ্যমতে, তিনি সম্ভবত চীন, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে ও লিবিয়ায় থাকতে পারেন।
আর রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন ইউরোপের একটি দেশে পালিয়ে আছে বলে ধারণা করা হলেও এ সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই সরকারের হাতে। এনসিবির তথ্যমতে, তিনি সম্ভবত ভারতে থাকতে পারেন।
রাশেদ চৌধুরী এবং নূর চৌধুরী সরকারের পক্ষ থেকে এ দুইজনকে ফেরাতে চেষ্টা করা হলেও তাদের নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। আর এনসিবি বলছে পলাতক খুনিদের সবার নামেই ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি আছে।
খুনিদের ফেরাতে ও অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রবাসীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা প্রাইজ ঘোষণা করেছি; কেউ যদি বাকি খুনিদের বিষয়ে কোন সত্যিকারের তথ্য দিতে পারে তাহলে আমরা তাকে পুরস্কৃত করবো।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সংবাদকে বলেন, ‘পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের কোন খরব জানি না। ৪৭ বছর হলো আমরা কোন খবর জানি না। দুইজন সর্ম্পকে আমরা জানি, একজন নূর চৌধরী আর একজন রাশেদ চৌধরী। একজন থাকে কানাডায়, অন্যজন আমেরকিায়। আমরা এই দুইজনকে দেশে আনার জন্য ওই দেশের সরকারকে বহুবার অনুরোধ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যানাডিয়ান সরকার বলে, নূর চৌধরীর ওপর যেহেতু মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে সেহেতু যে দেশে মৃত্যুর নিয়ম আছে তারা সে দেশে পাঠাবে না। খুনিদের পাঠায় না। তাদের আইন তারা পাঠাতে পারে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা খুনিদের না পাঠালেও তোমাদের দেশের জেলে ঢুকিয়ে রাখো। তারা এটার কোন উত্তর দেয় না।’
নূর চৌধুরী ১৯৯৮ সাল থেকে কানাডাতে অবস্থান করছে। তাকে ফেরানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোর্ট-কাচারি করেছি অনেক কিছু করেছি। এখনও তাকে আনতে পারিনি। তবে আমরা শুনেছিলাম যে আমেরিকান একজন খুনি তাদের দেশে (কানাডায়) ছিল তখন তারা তাকে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশকে দেয় না। আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘২০০১ সালে মোটামুটি ঠিক হয়েছিল ওকে আনার ব্যবস্থা করা হবে। পরে নতুন সরকার বিএনপি আসার পর ওকে প্রোটেকশন দিল আর ২০০৬ সালে সে ওখানে (আমেরিকায়) নাগরিকত্ব পেয়ে গেল।’
‘আমেরিকান সরকার তারা আমাদের প্রায়ই ‘গুড গভরনেন্স’, আইনের শাসনের কথা বলেন কিন্তু খুনিকে তারা ফেরত দেয় না। তারা আইনের শাসনে আমাদের খুনিদের আইনের সম্মুখীন করার সুযোগ দেয় না। অথচ তারা আমাদের প্রায়ই বলে তোমরা আইনের শাসন করবা, গুড গভর্নেন্স করবা। কিন্তু আমরা বলি, আইনের শাসন ও গুড গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠার জন্য যারা খুনি আছে তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই কিন্তু সেটাকে তারা পাত্তা দেয় না,’ বলেন মোমেন।
এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘এই মামলায় ১২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল এর মধ্যে ছয়জনের ফাঁসি হয়েছে। একজন মারা গেছেন। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ডিটেক্ট হয়েছে। বাকি তিনজন ডিটেক্ট হয়নি।’
বাকি তিনজনের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, দুইজন ছাড়া বাকি তিনজন কোন দেশে অবস্থান করছে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কোন তথ্য নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘এগুলো ভাসা ভাসা অনেক গল্প শোনা যায়। কিন্তু আমরা এখনও সঠিক তথ্য পাইনি এখনও।’
বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কে কোথায়
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে পাঁচজন এখনও জীবিত; তারা বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছে। তাদের দুজন কথায় আছেন সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বাকি তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন এরা কে কথায় আছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই দেশের কোন সংস্থার কাছে।
খন্দকার আবদুর রশিদ অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হয়। ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) সর্বশেষ তথ্যমতে, তিনি লিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, লেবানন, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং ইতালি থাকতে পারেন।
শরিফুল হক ডালিমও ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৯৫ সালে কেনিয়াতে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন অবস্থায় অবসরে যায় ডালিম। বর্তমানে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয় সরকার। এনসিবির তথ্যমতে, তিনি সম্ভবত চীন, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে ও লিবিয়ায় থাকতে পারেন।
আর রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন ইউরোপের একটি দেশে পালিয়ে আছে বলে ধারণা করা হলেও এ সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই সরকারের হাতে। এনসিবির তথ্যমতে, তিনি সম্ভবত ভারতে থাকতে পারেন।
রাশেদ চৌধুরী এবং নূর চৌধুরী সরকারের পক্ষ থেকে এ দুইজনকে ফেরাতে চেষ্টা করা হলেও তাদের নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। আর এনসিবি বলছে পলাতক খুনিদের সবার নামেই ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি আছে।
খুনিদের ফেরাতে ও অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রবাসীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা প্রাইজ ঘোষণা করেছি; কেউ যদি বাকি খুনিদের বিষয়ে কোন সত্যিকারের তথ্য দিতে পারে তাহলে আমরা তাকে পুরস্কৃত করবো।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সংবাদকে বলেন, ‘পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের কোন খরব জানি না। ৪৭ বছর হলো আমরা কোন খবর জানি না। দুইজন সর্ম্পকে আমরা জানি, একজন নূর চৌধরী আর একজন রাশেদ চৌধরী। একজন থাকে কানাডায়, অন্যজন আমেরকিায়। আমরা এই দুইজনকে দেশে আনার জন্য ওই দেশের সরকারকে বহুবার অনুরোধ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যানাডিয়ান সরকার বলে, নূর চৌধরীর ওপর যেহেতু মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে সেহেতু যে দেশে মৃত্যুর নিয়ম আছে তারা সে দেশে পাঠাবে না। খুনিদের পাঠায় না। তাদের আইন তারা পাঠাতে পারে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা খুনিদের না পাঠালেও তোমাদের দেশের জেলে ঢুকিয়ে রাখো। তারা এটার কোন উত্তর দেয় না।’
নূর চৌধুরী ১৯৯৮ সাল থেকে কানাডাতে অবস্থান করছে। তাকে ফেরানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোর্ট-কাচারি করেছি অনেক কিছু করেছি। এখনও তাকে আনতে পারিনি। তবে আমরা শুনেছিলাম যে আমেরিকান একজন খুনি তাদের দেশে (কানাডায়) ছিল তখন তারা তাকে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশকে দেয় না। আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘২০০১ সালে মোটামুটি ঠিক হয়েছিল ওকে আনার ব্যবস্থা করা হবে। পরে নতুন সরকার বিএনপি আসার পর ওকে প্রোটেকশন দিল আর ২০০৬ সালে সে ওখানে (আমেরিকায়) নাগরিকত্ব পেয়ে গেল।’
‘আমেরিকান সরকার তারা আমাদের প্রায়ই ‘গুড গভরনেন্স’, আইনের শাসনের কথা বলেন কিন্তু খুনিকে তারা ফেরত দেয় না। তারা আইনের শাসনে আমাদের খুনিদের আইনের সম্মুখীন করার সুযোগ দেয় না। অথচ তারা আমাদের প্রায়ই বলে তোমরা আইনের শাসন করবা, গুড গভর্নেন্স করবা। কিন্তু আমরা বলি, আইনের শাসন ও গুড গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠার জন্য যারা খুনি আছে তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই কিন্তু সেটাকে তারা পাত্তা দেয় না,’ বলেন মোমেন।
এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘এই মামলায় ১২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল এর মধ্যে ছয়জনের ফাঁসি হয়েছে। একজন মারা গেছেন। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ডিটেক্ট হয়েছে। বাকি তিনজন ডিটেক্ট হয়নি।’
বাকি তিনজনের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, দুইজন ছাড়া বাকি তিনজন কোন দেশে অবস্থান করছে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কোন তথ্য নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘এগুলো ভাসা ভাসা অনেক গল্প শোনা যায়। কিন্তু আমরা এখনও সঠিক তথ্য পাইনি এখনও।’