রোনালদো ও মেসি
কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয় নিয়ে এলএম টেনকে কটাক্ষ করেছিলেন সিআর সেভেন। তার জবাব দিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মেসির বিশ্বজয়কে কটাক্ষ করেন রোনালদো। পর্তুগালের অধিনায়কের কাছে মরগ্যান জানতে চেয়েছিলেন তার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে। উত্তরে রোনালদো বলেন, ‘না, এটা কোনো স্বপ্ন নয়। বিশ্বকাপ জেতা দিয়ে কী নির্ধারণ হয়? আমি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কি না? একটা প্রতিযোগিতা জিতলেই হওয়া যায়? ছ’-সাতটা ম্যাচ খেলেই সেরা হওয়া যায়? এটা কি ঠিক?’
তার এ মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। ফুটবলপ্রেমীদের একাংশে মতে, রোনালদো আসলে মেসির শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করতে চেয়েছেন এভাবে। বিশ্বকাপ জয়কে সাধারণ বিষয় বলে অভিহিত করেছিলেন সেজন্য। মেসিও চুপ থাকেননি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনিও।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘সত্যি বলতে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তের অনুভূতির কথা বলে বোঝানো যায় না। বিশ্বকাপ জয়ের গুরুত্ব অবশ্যই আমার কাছে আলাদা। একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতাই সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। এটা যে কোনো ব্যক্তির কাছে তার পেশায় শীর্ষে পৌঁছোনোর মতো। বিশ্বকাপের পর আর কী থাকতে পারে? আপনার আর কিছু চাওয়ার থাকে না। আমি খুবই ভাগ্যবান। কারণ সব কিছু অর্জন করেছি। ক্লাব পর্যায়ে অর্জন করেছি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে করেছি। বিশ্বকাপ তো বটেই, আমরা কোপা আমেরিকাও জিতেছি। ফুটবল জীবন শেষ করার জন্য সেই সময়টাই বোধহয় উপযুক্ত ছিল।’
মেসি জানিয়েছেন, ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপও খেলবেন। তবে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চান না। আরও একটা বিশ্বকাপ খেলে ফুটবলকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোনালদো ও মেসি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয় নিয়ে এলএম টেনকে কটাক্ষ করেছিলেন সিআর সেভেন। তার জবাব দিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মেসির বিশ্বজয়কে কটাক্ষ করেন রোনালদো। পর্তুগালের অধিনায়কের কাছে মরগ্যান জানতে চেয়েছিলেন তার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে। উত্তরে রোনালদো বলেন, ‘না, এটা কোনো স্বপ্ন নয়। বিশ্বকাপ জেতা দিয়ে কী নির্ধারণ হয়? আমি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কি না? একটা প্রতিযোগিতা জিতলেই হওয়া যায়? ছ’-সাতটা ম্যাচ খেলেই সেরা হওয়া যায়? এটা কি ঠিক?’
তার এ মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। ফুটবলপ্রেমীদের একাংশে মতে, রোনালদো আসলে মেসির শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করতে চেয়েছেন এভাবে। বিশ্বকাপ জয়কে সাধারণ বিষয় বলে অভিহিত করেছিলেন সেজন্য। মেসিও চুপ থাকেননি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনিও।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘সত্যি বলতে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তের অনুভূতির কথা বলে বোঝানো যায় না। বিশ্বকাপ জয়ের গুরুত্ব অবশ্যই আমার কাছে আলাদা। একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতাই সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। এটা যে কোনো ব্যক্তির কাছে তার পেশায় শীর্ষে পৌঁছোনোর মতো। বিশ্বকাপের পর আর কী থাকতে পারে? আপনার আর কিছু চাওয়ার থাকে না। আমি খুবই ভাগ্যবান। কারণ সব কিছু অর্জন করেছি। ক্লাব পর্যায়ে অর্জন করেছি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে করেছি। বিশ্বকাপ তো বটেই, আমরা কোপা আমেরিকাও জিতেছি। ফুটবল জীবন শেষ করার জন্য সেই সময়টাই বোধহয় উপযুক্ত ছিল।’
মেসি জানিয়েছেন, ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপও খেলবেন। তবে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চান না। আরও একটা বিশ্বকাপ খেলে ফুটবলকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।