সংবাদ সম্মেলনে শান্ত
পুনরায় বাংলাদেশের টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকতে রাজি হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পুরোটাতেই এই দায়িত্ব পালনে রাজি হয়েছেন তিনি। নেতৃত্বে থাকা নিয়ে এক প্রশ্নে শান্ত বলেন, ব্যক্তিগত মতের চেয়ে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার কারণেই টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকতে রাজি হয়েছেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট আমার চেয়ে অনেক বড় বিষয়, আর দলের প্রয়োজন আমার ব্যক্তিগত মতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
গত জুনে শান্তকে আকস্মিকভাবে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ওই সময় বোর্ড তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে ওয়ানডে নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না শান্ত। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় কলম্বো টেস্ট শেষে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন তিনি।
কিন্তু চার মাস পর আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ফের টেস্ট নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। প্রথমে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হলেও পরবর্তীতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্তে পৌঁছান শান্ত, ‘যখন বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা, যারা নিজেরাও সাবেক ক্রিকেটার, পরামর্শ দেন, তারা অবশ্যই দলের মঙ্গলের কথা ভাবেন। আমি সেই কথাগুলোকে শ্রদ্ধা করেছি। এক কথায় বলতে গেলে, নিজেকে নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাই দলের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তে ফিরেছি।’
শান্ত আরও বলেন, ‘আমি কোনো সমস্যা নিয়ে তেমন কিছু বলিনি। তবে বোর্ডের সঙ্গে খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে- কীভাবে সম্ভাব্য সমস্যা মোকাবিলা করা যায় বা এড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা সবাই একই অবস্থানে। আশা করছি, সামনে দল ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে এবং বোর্ডও আমাকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।’
তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক নীতির বিরোধিতা থেকে মত বদলের কারণ ব্যাখ্যা করেন শান্ত, ‘একসময় মনে হয়েছিল তিন অধিনায়ক রাখা যুক্তিসঙ্গত নয় এবং তার যথেষ্ট কারণও ছিল। তবে বোর্ডের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় আমরা বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছিÑ কীভাবে কাজ করলে সমস্যা এড়ানো যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে। এখন আমরা তিনজনই (আমি, লিটন ও মিরাজ) একই পথে আছি।’
শান্ত টেস্ট অধিনায়ক থেকে যাওয়ায় বাংলাদেশের এখন তিন সংস্করণের তিন অধিনায়ক। যে ভাবনারও বিরোধী ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই দল চালানোর আত্মবিশ্বাস তার, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাকি যে দুই অধিনায়ক আছে, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া খুবই ভালো। আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, বসে আলাপ করেছি কীভাবে তিন সংস্করণকে দলকে এগিয়ে নিতে পারি, কোন কোন জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। আমরা তিনজনই আশাবাদী এই দলটার কী প্রয়োজন, দলটাকে ওভাবে নিয়ে এগোতে পারবো। আমি যেটার কারণে সন্তুষ্ট, ক্রিকেট বোর্ড আমাকে ওই সাহায্যটুকু করবে। যেটা আমার মাথার মধ্যে ছিল, তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কে সমস্যা হতে পারে বা যৌক্তিক না। কিন্তু এত বড় বড় ক্রিকেটাররা যখন পরামর্শ দিয়েছে, তারা অবশ্যই ভালো চিন্তা করেই দিয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
পুনরায় বাংলাদেশের টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকতে রাজি হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পুরোটাতেই এই দায়িত্ব পালনে রাজি হয়েছেন তিনি। নেতৃত্বে থাকা নিয়ে এক প্রশ্নে শান্ত বলেন, ব্যক্তিগত মতের চেয়ে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার কারণেই টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকতে রাজি হয়েছেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট আমার চেয়ে অনেক বড় বিষয়, আর দলের প্রয়োজন আমার ব্যক্তিগত মতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
গত জুনে শান্তকে আকস্মিকভাবে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ওই সময় বোর্ড তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে ওয়ানডে নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না শান্ত। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় কলম্বো টেস্ট শেষে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন তিনি।
কিন্তু চার মাস পর আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ফের টেস্ট নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। প্রথমে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হলেও পরবর্তীতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্তে পৌঁছান শান্ত, ‘যখন বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা, যারা নিজেরাও সাবেক ক্রিকেটার, পরামর্শ দেন, তারা অবশ্যই দলের মঙ্গলের কথা ভাবেন। আমি সেই কথাগুলোকে শ্রদ্ধা করেছি। এক কথায় বলতে গেলে, নিজেকে নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাই দলের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তে ফিরেছি।’
শান্ত আরও বলেন, ‘আমি কোনো সমস্যা নিয়ে তেমন কিছু বলিনি। তবে বোর্ডের সঙ্গে খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে- কীভাবে সম্ভাব্য সমস্যা মোকাবিলা করা যায় বা এড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা সবাই একই অবস্থানে। আশা করছি, সামনে দল ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে এবং বোর্ডও আমাকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।’
তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক নীতির বিরোধিতা থেকে মত বদলের কারণ ব্যাখ্যা করেন শান্ত, ‘একসময় মনে হয়েছিল তিন অধিনায়ক রাখা যুক্তিসঙ্গত নয় এবং তার যথেষ্ট কারণও ছিল। তবে বোর্ডের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় আমরা বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছিÑ কীভাবে কাজ করলে সমস্যা এড়ানো যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে। এখন আমরা তিনজনই (আমি, লিটন ও মিরাজ) একই পথে আছি।’
শান্ত টেস্ট অধিনায়ক থেকে যাওয়ায় বাংলাদেশের এখন তিন সংস্করণের তিন অধিনায়ক। যে ভাবনারও বিরোধী ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই দল চালানোর আত্মবিশ্বাস তার, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাকি যে দুই অধিনায়ক আছে, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া খুবই ভালো। আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, বসে আলাপ করেছি কীভাবে তিন সংস্করণকে দলকে এগিয়ে নিতে পারি, কোন কোন জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। আমরা তিনজনই আশাবাদী এই দলটার কী প্রয়োজন, দলটাকে ওভাবে নিয়ে এগোতে পারবো। আমি যেটার কারণে সন্তুষ্ট, ক্রিকেট বোর্ড আমাকে ওই সাহায্যটুকু করবে। যেটা আমার মাথার মধ্যে ছিল, তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কে সমস্যা হতে পারে বা যৌক্তিক না। কিন্তু এত বড় বড় ক্রিকেটাররা যখন পরামর্শ দিয়েছে, তারা অবশ্যই ভালো চিন্তা করেই দিয়েছে।