alt

সম্পাদকীয়

মুরাদনগরে কৃষি জমি দখলের অভিযোগ আমলে নিন

: মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজারে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নয় কৃষকের চার একর জমি জোর দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দখল করা জমিতে ইটভাটাও গড়ে তুলেছেন। কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজারের কৃষকরা ফসলি জমি হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই কৃষি জমি। ভাটা মালিকের ছলচাতুরীর ফাঁদে পড়ে তাদের আবাদ বন্ধ। দিনকয়েক আগে এক কৃষক তার জমিতে আবাদ করতে গেলে ইটভাটার শ্রমিকরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। একজন ইটভাটা মালিক নয়জন কৃষকের জমি জোরপূর্বক কিভাবে দখলে নিতে পারে সে প্রশ্ন আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে করতে চাই।

কৃষকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি জমি দখল নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমলে নিতে হবে। দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটা আমরা দেখতে চাই। কৃষকদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। কৃষকরা যাতে তাদের জমি ফিরে পান, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

কৃষকের ফসলি জমি ক্ষমতার জোরে দখলে নিয়ে প্রভাবশালীর ইটভাটা গড়ে তোলার ঘটনা শুধু মুরাদনগরেই ঘটেছে তা নয়। অতীতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটেছে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

ইটভাটার দৌরাত্ম্যে কৃষি জমি দিন দিন কমতে শুরু করেছে। মৃত্তিকা গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার একর আবাদি জমি ইটভাটাগুলোর দখলে রয়েছে। ইটভাটাগুলোয় বছরে গড়ে ৭৫ হাজার করে ইট তৈরি হয়। মাটি লাগে ১৫ কোটি টন। এ কারণে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।

প্রতিবছর অসংখ্য আবাদি জমি ইটভাটা গ্রাস করছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষিজমি রক্ষায় এখনই টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিজমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে। যে সব ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি দখল করে মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইটের দরকার আছে। আবার কৃষি জমিরও দরকার আছে। বাস্তবতার নিরিখে এ দুটোর সমম্বয় করতে হবে। কৃষি জমি রক্ষা করে এবং প্রকৃতি-পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে কিভাবে ইট তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

মুরাদনগরে কৃষি জমি দখলের অভিযোগ আমলে নিন

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজারে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নয় কৃষকের চার একর জমি জোর দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দখল করা জমিতে ইটভাটাও গড়ে তুলেছেন। কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজারের কৃষকরা ফসলি জমি হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই কৃষি জমি। ভাটা মালিকের ছলচাতুরীর ফাঁদে পড়ে তাদের আবাদ বন্ধ। দিনকয়েক আগে এক কৃষক তার জমিতে আবাদ করতে গেলে ইটভাটার শ্রমিকরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। একজন ইটভাটা মালিক নয়জন কৃষকের জমি জোরপূর্বক কিভাবে দখলে নিতে পারে সে প্রশ্ন আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে করতে চাই।

কৃষকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি জমি দখল নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমলে নিতে হবে। দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটা আমরা দেখতে চাই। কৃষকদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। কৃষকরা যাতে তাদের জমি ফিরে পান, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

কৃষকের ফসলি জমি ক্ষমতার জোরে দখলে নিয়ে প্রভাবশালীর ইটভাটা গড়ে তোলার ঘটনা শুধু মুরাদনগরেই ঘটেছে তা নয়। অতীতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটেছে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

ইটভাটার দৌরাত্ম্যে কৃষি জমি দিন দিন কমতে শুরু করেছে। মৃত্তিকা গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার একর আবাদি জমি ইটভাটাগুলোর দখলে রয়েছে। ইটভাটাগুলোয় বছরে গড়ে ৭৫ হাজার করে ইট তৈরি হয়। মাটি লাগে ১৫ কোটি টন। এ কারণে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।

প্রতিবছর অসংখ্য আবাদি জমি ইটভাটা গ্রাস করছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষিজমি রক্ষায় এখনই টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিজমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে। যে সব ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি দখল করে মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইটের দরকার আছে। আবার কৃষি জমিরও দরকার আছে। বাস্তবতার নিরিখে এ দুটোর সমম্বয় করতে হবে। কৃষি জমি রক্ষা করে এবং প্রকৃতি-পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে কিভাবে ইট তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।

back to top