alt

সম্পাদকীয়

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

: বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি করার প্রশ্নে কোনো বাধা রইল না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার যে ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ জারি করেছিল সেটার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছিল। সংগঠন করার অধিকার সংবিধানস্বীকৃত অধিকার। কোনো কারণে এই অধিকার খর্ব করা চলে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার প্রয়োজন কেন পড়েছিল। শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ওই জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

আদালতের আদেশের পর বুয়েটের উপাচার্য বলেছেন, ‘আদালত যেটা বলবে, সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য।’

কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চান না। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে তারা তাদের উদ্বেগের কারণগুলো জানিয়েছেন। সেখানকার আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘যে ছাত্ররাজনীতি র‌্যাগিংয়ের সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ শিক্ষার্থীদের, তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না।’

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আমরা বুঝতে পারি। তবে, মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার নীতিতে কোনো সমাধান আসবে বলে আমরা মনে করি না। বরং নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন করার সুযোগ রহিত করা হলে অশুভ চক্রের অপতৎপরতা চালানোর আশঙ্কা তৈরি হয়।

ছাত্র সংগঠনের সুষ্ঠু চর্চা আর অপরাজনীতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নিপীড়ন, র‌্যাগিং, হল দখল ইত্যাদিকে সুষ্ঠু রাজনীতি বলা চলে না। কোনো সংগঠনের কোনো সদস্য যদি রাজনীতির নামে এসব করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিলে অপরাজনীতি মাথাচাড়া দিতে পারে না। কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হলে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠার কথা নয়। ক্যাম্পাসকে অপরাধ ও অপরাজনীতি মুক্ত রাখাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লক্ষ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। অপরাধী যে বা যারাই হোক না কেন তার বা তাদের বিরুদ্ধে সব সময় কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি করার প্রশ্নে কোনো বাধা রইল না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার যে ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ জারি করেছিল সেটার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছিল। সংগঠন করার অধিকার সংবিধানস্বীকৃত অধিকার। কোনো কারণে এই অধিকার খর্ব করা চলে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার প্রয়োজন কেন পড়েছিল। শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ওই জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

আদালতের আদেশের পর বুয়েটের উপাচার্য বলেছেন, ‘আদালত যেটা বলবে, সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য।’

কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চান না। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে তারা তাদের উদ্বেগের কারণগুলো জানিয়েছেন। সেখানকার আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘যে ছাত্ররাজনীতি র‌্যাগিংয়ের সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ শিক্ষার্থীদের, তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না।’

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আমরা বুঝতে পারি। তবে, মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার নীতিতে কোনো সমাধান আসবে বলে আমরা মনে করি না। বরং নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন করার সুযোগ রহিত করা হলে অশুভ চক্রের অপতৎপরতা চালানোর আশঙ্কা তৈরি হয়।

ছাত্র সংগঠনের সুষ্ঠু চর্চা আর অপরাজনীতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নিপীড়ন, র‌্যাগিং, হল দখল ইত্যাদিকে সুষ্ঠু রাজনীতি বলা চলে না। কোনো সংগঠনের কোনো সদস্য যদি রাজনীতির নামে এসব করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিলে অপরাজনীতি মাথাচাড়া দিতে পারে না। কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হলে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠার কথা নয়। ক্যাম্পাসকে অপরাধ ও অপরাজনীতি মুক্ত রাখাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লক্ষ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। অপরাধী যে বা যারাই হোক না কেন তার বা তাদের বিরুদ্ধে সব সময় কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

back to top