ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে সার প্রয়োগ করা হয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, নিয়ম না মেনে উচ্চ ফলনের আশায় কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মাটির উর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে। গত শতকের আশির দশক থেকে দেশে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ লক্ষণীয় হারে বাড়তে শুরু করে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বর্তমানে তা ৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিক সারের ভালো বিকল্প হতে পারে জৈব পদ্ধতিতে চাষ। দেখা গেছে যে জৈব সার ও সবুজ সার ব্যবহারের পর জমিতে ভালো ফসল উৎপাদন হচ্ছে। কেঁচো সার সে রকমই একটি জৈব সার। এই সারে রয়েছে কেঁচোর মল, প্রচুর পরিমাণে হিউমাস ও নানা রকম পুষ্টি উপাদান। এখন দেশের কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সার।
আশার কথা হচ্ছে, রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার, বিশেষ করে কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
প্রসঙ্গক্রমে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কথা বলা যায়। সেখানকার সাতটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা কেঁচো সার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কেঁচো সার ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে দেশের অনেক স্থানে কম-বেশি প্রায় সব জায়গায় কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে। এর উৎপাদন খরচও তুলনামূলকভাবে কম। অপরদিকে রাসায়নিক সারের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। জৈব সার উৎপাদন করতে বাড়তি শ্রম দিতে হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কেঁচো সার ভালো কাজ করে থাকে। এই সার ব্যাবহার করে অধিক পরিমানে ফসল উৎপাদন করা যায়। কেঁচো সার ব্যাবহার করলে মাটির গুণাগুণ অক্ষুণœ থাকে এবং কৃষি জমির উর্বরতা বেড়ে যায়।
ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে জৈব কেঁচো সার ব্যবহার করার খবরটি ভালো। এর ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। দেখা গেছে, কেউ সার তৈরি করলেও শুধু যোগাযোগের অভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। আবার কৃষকের কাছে এই সারের চাহিদা থাকলেও কোথায় তা পাওয়া যায়, সেই তথ্য না থাকায় তিনি তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা জরুরি বলে আমরা মনে করি।
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে সার প্রয়োগ করা হয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, নিয়ম না মেনে উচ্চ ফলনের আশায় কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মাটির উর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে। গত শতকের আশির দশক থেকে দেশে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ লক্ষণীয় হারে বাড়তে শুরু করে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বর্তমানে তা ৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিক সারের ভালো বিকল্প হতে পারে জৈব পদ্ধতিতে চাষ। দেখা গেছে যে জৈব সার ও সবুজ সার ব্যবহারের পর জমিতে ভালো ফসল উৎপাদন হচ্ছে। কেঁচো সার সে রকমই একটি জৈব সার। এই সারে রয়েছে কেঁচোর মল, প্রচুর পরিমাণে হিউমাস ও নানা রকম পুষ্টি উপাদান। এখন দেশের কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সার।
আশার কথা হচ্ছে, রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার, বিশেষ করে কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
প্রসঙ্গক্রমে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কথা বলা যায়। সেখানকার সাতটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা কেঁচো সার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কেঁচো সার ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে দেশের অনেক স্থানে কম-বেশি প্রায় সব জায়গায় কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে। এর উৎপাদন খরচও তুলনামূলকভাবে কম। অপরদিকে রাসায়নিক সারের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। জৈব সার উৎপাদন করতে বাড়তি শ্রম দিতে হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কেঁচো সার ভালো কাজ করে থাকে। এই সার ব্যাবহার করে অধিক পরিমানে ফসল উৎপাদন করা যায়। কেঁচো সার ব্যাবহার করলে মাটির গুণাগুণ অক্ষুণœ থাকে এবং কৃষি জমির উর্বরতা বেড়ে যায়।
ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে জৈব কেঁচো সার ব্যবহার করার খবরটি ভালো। এর ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। দেখা গেছে, কেউ সার তৈরি করলেও শুধু যোগাযোগের অভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। আবার কৃষকের কাছে এই সারের চাহিদা থাকলেও কোথায় তা পাওয়া যায়, সেই তথ্য না থাকায় তিনি তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা জরুরি বলে আমরা মনে করি।