বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদী। এক সময়ের প্রাণবন্ত এই নদী আজ মৃতপ্রায়। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে, যা শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, ঢাকা শহরের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। নদী ও শহরের টিকে থাকার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে। প্রশ্ন হলো, আমরা কি বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত?
বুড়িগঙ্গার বর্তমান অবস্থা শুধু পরিবেশগত বিপর্যয়ই নয়, এটি আমাদের সমাজ ও প্রশাসনের ব্যর্থতারও প্রতিচ্ছবি। নদীদূষণ, অবৈধ দখল এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বুড়িগঙ্গা তার প্রাণ হারিয়েছে। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি আইন প্রণয়ন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন। এজন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ মন্ত্রী বা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত ও আইনি টিম গঠনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু আইন বা নেতৃত্বই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নদীগুলোর সচল থাকার অধিকার আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এটি একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব। নদীকে শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে নয়, একটি জীবন্ত সত্তা হিসাবে বিবেচনা করার এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিরোধ ও নাশকতা এড়াতে বিশেষ বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কারণ নদী দখল ও দূষণের পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ জড়িত।
ঢাকার পুনরুদ্ধারের জন্য বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো অপরিহার্য। প্রতিবেদনে সঠিকভাবেই বলা হয়েছে, ‘ঢাকার পুনরুদ্ধার তার নদী দিয়ে শুরু হোক।’ বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি ঢাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই নদীকে বাঁচানো গেলে তা শুধু পরিবেশগত সুফলই বয়ে আনবে না, নগরজীবনের মানও উন্নত করবে।
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদী। এক সময়ের প্রাণবন্ত এই নদী আজ মৃতপ্রায়। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে, যা শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, ঢাকা শহরের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। নদী ও শহরের টিকে থাকার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে। প্রশ্ন হলো, আমরা কি বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত?
বুড়িগঙ্গার বর্তমান অবস্থা শুধু পরিবেশগত বিপর্যয়ই নয়, এটি আমাদের সমাজ ও প্রশাসনের ব্যর্থতারও প্রতিচ্ছবি। নদীদূষণ, অবৈধ দখল এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বুড়িগঙ্গা তার প্রাণ হারিয়েছে। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি আইন প্রণয়ন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন। এজন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ মন্ত্রী বা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত ও আইনি টিম গঠনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু আইন বা নেতৃত্বই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নদীগুলোর সচল থাকার অধিকার আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এটি একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব। নদীকে শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে নয়, একটি জীবন্ত সত্তা হিসাবে বিবেচনা করার এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিরোধ ও নাশকতা এড়াতে বিশেষ বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কারণ নদী দখল ও দূষণের পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ জড়িত।
ঢাকার পুনরুদ্ধারের জন্য বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো অপরিহার্য। প্রতিবেদনে সঠিকভাবেই বলা হয়েছে, ‘ঢাকার পুনরুদ্ধার তার নদী দিয়ে শুরু হোক।’ বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি ঢাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই নদীকে বাঁচানো গেলে তা শুধু পরিবেশগত সুফলই বয়ে আনবে না, নগরজীবনের মানও উন্নত করবে।