মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
২০২৪ সালের জুন মাসের এক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, বেসরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) হিসেবে দেশে মাদকাসক্ত অন্তত এক কোটি। ৫ বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব) গেছেন অন্তত ৫০ হাজার মাদকসেবী। ৫ বছরে রিহ্যাবে চিকিৎসা নেওয়া নারী মাদকাসক্ত বেড়েছে ৫ গুণ। আর ১৫ ও তার কম বয়সী মাদকাসক্ত বেড়ে হয়েছে তিনগুণ, সংখ্যায় যা ৪৭ হাজার ৩৭৬ জন।
বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হয়ে গেছে। গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আনাচে কানাচে সব জায়গায় মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় । শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই মাদকদ্রব্য হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মাদক সেবন করা সবার জন্য খুব সহজ হয়ে পড়েছে। একজন ব্যক্তি যখন মাদক গ্রহণ করে তখন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারপর সে নিজেকে রাজা মনে করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, সন্ত্রাসী এমনকি মানুষ হত্যা করাও সহজ হয়ে যায়। এমনকি ধর্ষণ করে খুন করতেও এরা দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় দেখা যায় মাদকদ্রব্য ক্রয় করতে ঘরের জিনিস চুরি করে বিক্রি করে দেয়। আবার বাবা-মার কাছ বিরাট পরিমাণ অর্থ দাবি করে বসে, দিতে অস্বীকৃতি জানালে মা-বাবাকে খুন করার মতো জঘন্য ব্যাপারও চোখে পড়ে।
মোদ্দা কথা, সভা-সেমিনারে মাদকবিরোধী আলোচনা গড়ে তুলতে হবে। যারা মাদক চোরাচালান করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানদের ঝগড়া ফ্যাসাদ থেকে দূরে রাখতে হবে। সন্তানদের চলাফেরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বন্ধু নির্বাচনে সচেতন করতে হবে। সন্তানদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়কে প্রাধান্য দেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা মাদকাসক্ত তাদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। ধর্মীয় ও নৈতিকতা মেনে চলতে হবে। মাদক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক চোরাচালান করা অপরাধ। আর এই অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদ-। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মাদক সেবন ও বহনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। তাছাড়াও মাদক গ্রহণ কম বয়সেই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সর্বশেষ নিজের জীবন বাঁচাতে মাদক থেকে দূরে থাকা এখন সময়ের দাবি।
রেখা খাতুন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
২০২৪ সালের জুন মাসের এক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, বেসরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) হিসেবে দেশে মাদকাসক্ত অন্তত এক কোটি। ৫ বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। গবেষকরা জানিয়েছেন, জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব) গেছেন অন্তত ৫০ হাজার মাদকসেবী। ৫ বছরে রিহ্যাবে চিকিৎসা নেওয়া নারী মাদকাসক্ত বেড়েছে ৫ গুণ। আর ১৫ ও তার কম বয়সী মাদকাসক্ত বেড়ে হয়েছে তিনগুণ, সংখ্যায় যা ৪৭ হাজার ৩৭৬ জন।
বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হয়ে গেছে। গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আনাচে কানাচে সব জায়গায় মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় । শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই মাদকদ্রব্য হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মাদক সেবন করা সবার জন্য খুব সহজ হয়ে পড়েছে। একজন ব্যক্তি যখন মাদক গ্রহণ করে তখন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারপর সে নিজেকে রাজা মনে করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, সন্ত্রাসী এমনকি মানুষ হত্যা করাও সহজ হয়ে যায়। এমনকি ধর্ষণ করে খুন করতেও এরা দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় দেখা যায় মাদকদ্রব্য ক্রয় করতে ঘরের জিনিস চুরি করে বিক্রি করে দেয়। আবার বাবা-মার কাছ বিরাট পরিমাণ অর্থ দাবি করে বসে, দিতে অস্বীকৃতি জানালে মা-বাবাকে খুন করার মতো জঘন্য ব্যাপারও চোখে পড়ে।
মোদ্দা কথা, সভা-সেমিনারে মাদকবিরোধী আলোচনা গড়ে তুলতে হবে। যারা মাদক চোরাচালান করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানদের ঝগড়া ফ্যাসাদ থেকে দূরে রাখতে হবে। সন্তানদের চলাফেরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বন্ধু নির্বাচনে সচেতন করতে হবে। সন্তানদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়কে প্রাধান্য দেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা মাদকাসক্ত তাদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। ধর্মীয় ও নৈতিকতা মেনে চলতে হবে। মাদক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক চোরাচালান করা অপরাধ। আর এই অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদ-। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মাদক সেবন ও বহনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। তাছাড়াও মাদক গ্রহণ কম বয়সেই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সর্বশেষ নিজের জীবন বাঁচাতে মাদক থেকে দূরে থাকা এখন সময়ের দাবি।
রেখা খাতুন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।