alt

মতামত » চিঠিপত্র

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

: রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশে বর্তমানে অবহেলিত ও নানা বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। সমাজ ও পরিবারের চোখে প্রতিবন্ধীরা বোঝা স্বরূপ। স্থান ভেদে প্রতিবন্ধীরা নির্যাতিত, নিন্দিত, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

পারিবারিকভাবে সচেতন, স্বচ্ছল পরিবারে যে সব প্রতিবন্ধীদের জন্ম তাদের জীবনের প্রতিকূলতা ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণকৃৃত প্রতিবন্ধীদের দৈনন্দিন প্রতিকূলতা এক নয়।

আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা কর্মসংস্থানের জন্য প্রধান বাধা। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট বেকারত্বের কারণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ ব্যক্তিরা নিজেদের জীবিকা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়।

প্রতিবন্ধীদের মধ্যে রয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণপ্রতিবন্ধী, বাকপ্রতিবন্ধী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীসহ নানা প্রকারভেদ। আমাদের সমাজে এমন অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা নিজ উদ্যমে প্রতিবন্ধকতা কে দুর্বল না ভেবে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবুও তারা ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নিজেদের দাঁড় করানো থেকে বিরত রেখেছেন।

দৈনন্দিন যাত্রাপথে আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে অনেক অসহায় প্রতিবন্ধীদের চোখে পড়ে যারা ভিক্ষাবৃত্তি সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে রয়েছে নিজ উদ্যমে কর্ম করার ইচ্ছাশক্তি কিন্তু তাদের জন্য নেই বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। তাদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি ও সমাজে নতুন রূপে প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সামাজিকভাবে অবহেলা না করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য পুনর্বাসন ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে; যা প্রতিবন্ধীদের সঠিক বিকাশের পথে প্রধান বাধা। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে জোর দিয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীর প্রকারভেদ অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে তোলা সম্ভব।

মুজাহিদুল ইসলাম,

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির অবদান

শহরের পাখিরা যখন মরার প্রহর গুনে

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

tab

মতামত » চিঠিপত্র

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে বর্তমানে অবহেলিত ও নানা বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। সমাজ ও পরিবারের চোখে প্রতিবন্ধীরা বোঝা স্বরূপ। স্থান ভেদে প্রতিবন্ধীরা নির্যাতিত, নিন্দিত, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

পারিবারিকভাবে সচেতন, স্বচ্ছল পরিবারে যে সব প্রতিবন্ধীদের জন্ম তাদের জীবনের প্রতিকূলতা ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণকৃৃত প্রতিবন্ধীদের দৈনন্দিন প্রতিকূলতা এক নয়।

আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা কর্মসংস্থানের জন্য প্রধান বাধা। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট বেকারত্বের কারণে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ ব্যক্তিরা নিজেদের জীবিকা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়।

প্রতিবন্ধীদের মধ্যে রয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণপ্রতিবন্ধী, বাকপ্রতিবন্ধী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীসহ নানা প্রকারভেদ। আমাদের সমাজে এমন অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা নিজ উদ্যমে প্রতিবন্ধকতা কে দুর্বল না ভেবে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবুও তারা ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নিজেদের দাঁড় করানো থেকে বিরত রেখেছেন।

দৈনন্দিন যাত্রাপথে আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে অনেক অসহায় প্রতিবন্ধীদের চোখে পড়ে যারা ভিক্ষাবৃত্তি সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে রয়েছে নিজ উদ্যমে কর্ম করার ইচ্ছাশক্তি কিন্তু তাদের জন্য নেই বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। তাদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি ও সমাজে নতুন রূপে প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সামাজিকভাবে অবহেলা না করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য পুনর্বাসন ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে; যা প্রতিবন্ধীদের সঠিক বিকাশের পথে প্রধান বাধা। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে জোর দিয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সংগঠন তৈরির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীর প্রকারভেদ অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে তোলা সম্ভব।

মুজাহিদুল ইসলাম,

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।

back to top