alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : বিদায় অনুষ্ঠানের একাল-সেকাল

: শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রতি বছরই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ‘বিদায় অনুষ্ঠান’ নামে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। বিশেষ করে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক শ্রেণী-এই তিন ধাপে শিক্ষার্থীদের বিদায় নিতে হয় বেশি। শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলা শিক্ষকরা ‘হল রুমে’ মোটিভেশন বক্তব্যে দিয়ে থাকেন। এসময় শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করে থাকেন।

কেননা যাদের মানুষ করার জন্য এতো দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছে, তারা আজ বিদায় নিবে। চলে যাবে ভিন্ন আঙ্গিনায়। অনেকে আবার জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে যাবে। বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা শহরের দিকে ধাবিত হবে। কীভাবে লেখাপড়া করলে সফল হওয়া যাবে? কীভাবে নানা প্রতিকূলে সংগ্রাম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে?

বর্তমানে বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের চোখে অশ্রু থাকলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে নেই বললেই চলে। এর কারণ হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদায়ের নামে ‘জধম উধু’ পালিত হয়। এর অর্থ বিশেষ দিনে হৈ-হুল্লুড় করা। এটা শহরে বেশি প্রচলিত হলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও লক্ষ্য করা যায়। সবাই সাদা কালার টি-শার্ট পড়বে এবং একেক জনে একেক ধরনের মার্কার কলম কিনে নিবে। যার যা ইচ্ছে তা টি-শার্টে লিখে দেবে।

সেখানে শিক্ষণীয় কিছু না লিখে, সব আবেগজনিত বিষয় লিখে দেয়। অনেকে আবার অশ্লীল শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করে। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিত যোগাযোগের মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়েছ। আনন্দ-উল্লাসের নামে আরও নানা কর্ম তারা করে থাকে। বর্তমানের বিদায় অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধুমধাম করে কোনো শিক্ষার্থীর বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে!

দীর্ঘদিন এক সঙ্গে লেখাপড়া, খেলাধুলা, আড্ডা দেয়ার ফলে একের অপরের প্রতি যেমন ভালোবাসা জন্মে, তেমনি ঘৃণাও জন্মে। আবার অনেক শিক্ষার্থী হয়তো শিক্ষকদের সঙ্গে নিজের অজান্তেই অসদাচরণ করেছে। তাই এসময় শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া শিক্ষার্জন ক্ষেত্রে সবচে বড় প্রাপ্তি-তা কত জন জানে? তাছাড় বিদায় অনুষ্ঠানেই একটি সুযোগ থাকে সর্বশেষ সবাই এক সঙ্গে হওয়া। বিদায়ের পর থেকে সবাই একত্রে হওয়া তো দূরের কথা, কোনদিন একে অপরের সঙ্গে দেখা নাও হতে পারে।

তাই বিদায়ের সময় সবাই সবার কছে একটু ক্ষমা চেয়ে নিবে-এটাই হওয়া উচিত প্রথম কাজ। তা না করে ডিজে গান বাজিয়ে অশ্লীল নাচ করা তো বিদায় অনুষ্ঠানের সংস্কৃতিতে পড়ে না। তাই আসুন অপসংস্কৃতি রুখতে ‘Rag Day’ নামে বিদায় অনুষ্ঠানকে না বলি। এজন্য কর্তৃপক্ষেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আসাদ বিন সফিক

শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : বিদায় অনুষ্ঠানের একাল-সেকাল

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

প্রতি বছরই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ‘বিদায় অনুষ্ঠান’ নামে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। বিশেষ করে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক শ্রেণী-এই তিন ধাপে শিক্ষার্থীদের বিদায় নিতে হয় বেশি। শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলা শিক্ষকরা ‘হল রুমে’ মোটিভেশন বক্তব্যে দিয়ে থাকেন। এসময় শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করে থাকেন।

কেননা যাদের মানুষ করার জন্য এতো দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছে, তারা আজ বিদায় নিবে। চলে যাবে ভিন্ন আঙ্গিনায়। অনেকে আবার জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে যাবে। বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা শহরের দিকে ধাবিত হবে। কীভাবে লেখাপড়া করলে সফল হওয়া যাবে? কীভাবে নানা প্রতিকূলে সংগ্রাম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে?

বর্তমানে বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের চোখে অশ্রু থাকলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে নেই বললেই চলে। এর কারণ হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদায়ের নামে ‘জধম উধু’ পালিত হয়। এর অর্থ বিশেষ দিনে হৈ-হুল্লুড় করা। এটা শহরে বেশি প্রচলিত হলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও লক্ষ্য করা যায়। সবাই সাদা কালার টি-শার্ট পড়বে এবং একেক জনে একেক ধরনের মার্কার কলম কিনে নিবে। যার যা ইচ্ছে তা টি-শার্টে লিখে দেবে।

সেখানে শিক্ষণীয় কিছু না লিখে, সব আবেগজনিত বিষয় লিখে দেয়। অনেকে আবার অশ্লীল শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করে। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিত যোগাযোগের মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়েছ। আনন্দ-উল্লাসের নামে আরও নানা কর্ম তারা করে থাকে। বর্তমানের বিদায় অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধুমধাম করে কোনো শিক্ষার্থীর বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে!

দীর্ঘদিন এক সঙ্গে লেখাপড়া, খেলাধুলা, আড্ডা দেয়ার ফলে একের অপরের প্রতি যেমন ভালোবাসা জন্মে, তেমনি ঘৃণাও জন্মে। আবার অনেক শিক্ষার্থী হয়তো শিক্ষকদের সঙ্গে নিজের অজান্তেই অসদাচরণ করেছে। তাই এসময় শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া শিক্ষার্জন ক্ষেত্রে সবচে বড় প্রাপ্তি-তা কত জন জানে? তাছাড় বিদায় অনুষ্ঠানেই একটি সুযোগ থাকে সর্বশেষ সবাই এক সঙ্গে হওয়া। বিদায়ের পর থেকে সবাই একত্রে হওয়া তো দূরের কথা, কোনদিন একে অপরের সঙ্গে দেখা নাও হতে পারে।

তাই বিদায়ের সময় সবাই সবার কছে একটু ক্ষমা চেয়ে নিবে-এটাই হওয়া উচিত প্রথম কাজ। তা না করে ডিজে গান বাজিয়ে অশ্লীল নাচ করা তো বিদায় অনুষ্ঠানের সংস্কৃতিতে পড়ে না। তাই আসুন অপসংস্কৃতি রুখতে ‘Rag Day’ নামে বিদায় অনুষ্ঠানকে না বলি। এজন্য কর্তৃপক্ষেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আসাদ বিন সফিক

শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ

back to top