alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

র‌্যাবের অভিযানে চোরচক্রের প্রধানসহ ১০ জন গ্রেফতার

৬ টি সিএনজি উদ্ধার

মোহাম্মদ শাহ্ আলম হবিগঞ্জ : শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/04Jun21/news/aaaaaa.jpg

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৯ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১ (সিপিসি) শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এর বিশেষ অভিযানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল হতে চুরি হওয়া ৬টি সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ মানিক-কামরুলসহ (মাইনকা-কামরুল) গ্রুপের ১০ সহযোগী গ্রেফতার হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এর কমান্ডার মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ( ৩ জুন) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-০৯ সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল ও সিনিয়র এএসপি একেএম কামরুজ্জামানে নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৬টি সিএনজিসহ ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়।

মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল জানান, র‌্যাব-৯ দীর্ঘদিন ধরে সিলেট বিভাগের মোটরসাইকেল, গাড়ী, সিএনজি চুরি-ছিনতাইকারী চক্রের অনুসন্ধানে কাজ করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে ২১ এপ্রিল পেশাদার সিএনজি চোর মোঃ আবু তালেব (৪৫) ল্যাংড়া তালেবকে গ্রেফতার হয়।

এছাড়াও র‌্যাব-৯ এর অধিনায়কের সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনায় সিপিসি-১ এর স্পেশাল টিম আরো কিছু চক্রের সন্ধান পায় ও অনুসন্ধানে অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়। ২৮ মে হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা হতে সিএনজি চুরির অভিযাগ পাওয়ার সাথে সাথে স্পেশাল টিম ও সোর্স উক্ত চক্রের সদস্য শমসু মিয়াকে (৪৫) শনাক্ত দ্রুততার সাথে ৩ জুন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ৬টি সিএনজিসহ ১০ জন পেশাদার সিএনজি চোর এবং চোরাই সিএনজি ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ( ৩ জুন) শমসু মিয়া (৪৫)এর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-০৯ সিপিসি-১ (শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ দল মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল ও সিনিয়র এএসপি একেএম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মোঃ মহিউদ্দিনকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। মোঃ মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সিলেট বিভাগের চুরি যাওয়া সিএনজি চোরাই পথে বিক্রয় করার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে অপকর্মে লিপ্ত।

ধৃত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মহিউদ্দিন (২৬) এর তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ কামরুল মিয়াকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। কামরুলের আশপাশের এলাকাবাসীর নিকট হতে জানা যায় যে, কামরুল মিয়া এছাড়াও বিভিন্ন ধরণর প্রতারণামূলক কাজে জড়িত।

ধৃত আসামী শমসু মিয়া (৪৫)এর তথ্যের ভিত্তিতে এই গ্যাং এর চুরি,ছিনতাই অপারেশন লিডার মোঃ মানিক মিয়া(৩৭) ও তার অন্যতম সহযোগী মোঃ মশিউর রহমানকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মহিউদ্দিন (২৬)এর তথ্যের ভিত্তিতে দ্বীন ইসলাম হৃদয় (২১) অনুকুল রায়কে (১৯), মোঃ মঈন উদ্দিন (২৮),মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৬), মোঃ সেলিম আহম্মেদ মুন্না (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হৃদয় যানবাহন সমূহ ছিনতাই, চুরি করার ক্ষেত্রে চাবি ছাড়া এ সকল যানবাহন চালাতে পারদর্শী এবং এই গ্যাং এর অন্যতম প্রধান সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামী অনুকুল জানায় যে, প্রাথমিক পর্যায়ে অভাব অনটনে এ কাজ করলেও পরবর্তীতে মহিউদ্দিন তাকে মাদক মামলায় পুলিশে ধরিয়ে দিবে ভয় দেখিয়ে এ ধরনের কাজে বাধ্য করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায় যে, আসামী মোঃ মহিউদ্দিন এ সকল চুরি,ছিনতাই এর মূল পরিকল্পনাকারী। এক্ষেত্রে আসামী মোঃ মহিউদ্দিন সকল নতুন সিএনজি (বিশেষ করে যে সকল সিএনজির এখনো নম্বার প্লেট লাগানো হয়নি) টার্গেট হিসাবে বাছাই করে এবং টার্গেট এর গ্যারেজ চিহিৃত করে। টার্গেট এবং গ্যারেজ চিহিৃত করার পর আসামী মহিউদ্দিন চুরির প্রস্তাব মানিককে দেয়।

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/04Jun21/news/up-2.jpg

আাসামী মানিক (মাইনকা) চুরি,ছিনতাই গ্রুপের মূল লিডার। আসামী মোঃ মহিউদ্দিন এর দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী আসামী মানিক প্রাথমিক ভাবে কিছুদিন টার্গেট এবং গ্যারেজ পর্যবেক্ষণ করে। অতঃপর চুরির দিন নির্ধারণ করে। চুরি করার ক্ষেত্রে আসামী মানিক তার দলের প্রধান অস্ত্র হিসাবে আসামী হৃদয়কে ব্যবহার করে। আসামী হৃদয়যে কোন যানবাহন চাবি ছাড়া ইঞ্জিন চালু করতে পারদর্শী। আসামী হৃদয় ইঞ্জিন চালু করে দেয়ার পর সে নিজে এবং আসামী মশিউর এবং দলের অন্যান্য সদস্যরা যানবাহন সমূহ চালিয়ে আসামী মানিকের পুর্ব নির্ধারিত স্থানে নিয়ে আসে। আসামী মানিক (মাইনকা) এর নেতৃত্বে চুরি, ছিনতাই অপরাধ কার্যক্রম সংঘটিত হওয়ার পর তারা আবার প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে।

একই সাথে ঐ স্থানে আসামী মহিউদ্দিন উপস্থিত হয়। তারপর আসামী মোঃ মহিউদ্দিনই চোরাই গাড়ী বিক্রির অন্যতম সদস্য কামরুলের সাথে একমাত্র যোগাযোগ রক্ষা করে। আসামী মোঃ মহিউদ্দিনের মাধ্যমে চোরাই যানবাহন সমূহ আসামী কামরুল গ্রহণ করে এবং উক্ত যানবাহন সমূহ চোরাই পথে বিক্রির প্রকৃয়া সম্পন্ন করে। চোরাই পথে যানবাহনগুলো বিক্রির পর বিক্রিত অর্থের কিছু অংশ আসামী মহিউদ্দিনের মাধ্যমেই চুরি ছিনতাই গ্রুপের মূল লিডার মানিক (মাইনকা) এর হাতে আসে। যা পরবর্তীতে মানিক তার গ্রুপের অন্যন্যা সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। সিএনজি চুরি যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সাধারণত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের একটি সিএনজি আসামী কামরুল এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্যের দুই-তৃতীয়াংশ আসামী মহিউদ্দিন এবং কামরুল নিয়ে থাকে এবং এক-তৃতীয়াংশ বা তার কিছু কম চুরি, ছিনতাই গ্রুপ পেয়ে থাকে। এই সকল প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। যার ফলে দ্রুততার সাথে আসামীগণকে গ্রেফতার করা ছাড়া সিএনজি সমূহ ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

ফরিদগঞ্জে মাকে জবাই করে হত্যা করলো ছেলে

সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলেসহ কারাগারে ৩

প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে জন্মদাতা পিতার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্য গ্রেপ্তার

অর্থপাচার: সকল আসামিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডিবিতে ডাকা হয়েছে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে

সখীপুরে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই

রাবিতে শহীদ কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

ছবি

ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন

ছবি

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাই ও চুরি হওয়া ফোন সেট উদ্ধার

মতলবে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী খুনের রহস্য উন্মোচন,মূল আসামী সহ ৩ জন গ্রেফতার

ছবি

লঞ্চে বোরকা পরে ছিনতাই করতেন তারা

বন্ধুর সহায়তায় প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মালামাল লুট করে আপন ভাই

গাজীপুরে ৩জন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

ছবি

আইন অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের দন্ড

গাজীপুরে পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা, পিতা আটক

ছবি

এবার ভরদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি

সিলেটে ‘ধর্ষক’ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রপ্তার করেছে র‌্যাব

ছবি

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ছবি

শেকলে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ, রিমান্ডে ৪ আসামি

মুন্সীগঞ্জে ডালিম হ.ত্যা মামলার ৬ আসামি জেলহাজতে

ছবি

শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি

গেন্ডারিয়ায় ৯৮৩ পিস ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেপ্তার কারবারি

ছবি

সিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ অধরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অভিযুক্তরা

নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের প্রতারণার মামলা

ছবি

মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন

ছবি

দুই বছরের দণ্ড ২৭ বছর পর বাতিল, রায়ের কপি যাচ্ছে সব আদালতে

ছবি

মানিকদির জমি দখল নাজিমের দৌরাত্ম্য থামছেই না, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

বড় মনিরের বিরুদ্ধে এবার ঢাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি

রামুর কচ্ছপিয়ায় ছুরিকাঘাতে ছায়া হত্যার ঘটনায় আটক দুই

ছবি

মহেশখালীর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেফতার

ছবি

মুন্সীগঞ্জে পাইপগান-ফেন্সিডিলসহ দু’জন আটক

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

র‌্যাবের অভিযানে চোরচক্রের প্রধানসহ ১০ জন গ্রেফতার

৬ টি সিএনজি উদ্ধার

মোহাম্মদ শাহ্ আলম হবিগঞ্জ

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/04Jun21/news/aaaaaa.jpg

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৯ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১ (সিপিসি) শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এর বিশেষ অভিযানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল হতে চুরি হওয়া ৬টি সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ মানিক-কামরুলসহ (মাইনকা-কামরুল) গ্রুপের ১০ সহযোগী গ্রেফতার হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এর কমান্ডার মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ( ৩ জুন) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-০৯ সিপিসি-১ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল ও সিনিয়র এএসপি একেএম কামরুজ্জামানে নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৬টি সিএনজিসহ ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়।

মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল জানান, র‌্যাব-৯ দীর্ঘদিন ধরে সিলেট বিভাগের মোটরসাইকেল, গাড়ী, সিএনজি চুরি-ছিনতাইকারী চক্রের অনুসন্ধানে কাজ করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে ২১ এপ্রিল পেশাদার সিএনজি চোর মোঃ আবু তালেব (৪৫) ল্যাংড়া তালেবকে গ্রেফতার হয়।

এছাড়াও র‌্যাব-৯ এর অধিনায়কের সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনায় সিপিসি-১ এর স্পেশাল টিম আরো কিছু চক্রের সন্ধান পায় ও অনুসন্ধানে অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়। ২৮ মে হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা হতে সিএনজি চুরির অভিযাগ পাওয়ার সাথে সাথে স্পেশাল টিম ও সোর্স উক্ত চক্রের সদস্য শমসু মিয়াকে (৪৫) শনাক্ত দ্রুততার সাথে ৩ জুন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ৬টি সিএনজিসহ ১০ জন পেশাদার সিএনজি চোর এবং চোরাই সিএনজি ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ( ৩ জুন) শমসু মিয়া (৪৫)এর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-০৯ সিপিসি-১ (শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ দল মেজর সৌরভ মোঃ অসীম শাতিল ও সিনিয়র এএসপি একেএম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মোঃ মহিউদ্দিনকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। মোঃ মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সিলেট বিভাগের চুরি যাওয়া সিএনজি চোরাই পথে বিক্রয় করার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে অপকর্মে লিপ্ত।

ধৃত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মহিউদ্দিন (২৬) এর তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ কামরুল মিয়াকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। কামরুলের আশপাশের এলাকাবাসীর নিকট হতে জানা যায় যে, কামরুল মিয়া এছাড়াও বিভিন্ন ধরণর প্রতারণামূলক কাজে জড়িত।

ধৃত আসামী শমসু মিয়া (৪৫)এর তথ্যের ভিত্তিতে এই গ্যাং এর চুরি,ছিনতাই অপারেশন লিডার মোঃ মানিক মিয়া(৩৭) ও তার অন্যতম সহযোগী মোঃ মশিউর রহমানকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মহিউদ্দিন (২৬)এর তথ্যের ভিত্তিতে দ্বীন ইসলাম হৃদয় (২১) অনুকুল রায়কে (১৯), মোঃ মঈন উদ্দিন (২৮),মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৬), মোঃ সেলিম আহম্মেদ মুন্না (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হৃদয় যানবাহন সমূহ ছিনতাই, চুরি করার ক্ষেত্রে চাবি ছাড়া এ সকল যানবাহন চালাতে পারদর্শী এবং এই গ্যাং এর অন্যতম প্রধান সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামী অনুকুল জানায় যে, প্রাথমিক পর্যায়ে অভাব অনটনে এ কাজ করলেও পরবর্তীতে মহিউদ্দিন তাকে মাদক মামলায় পুলিশে ধরিয়ে দিবে ভয় দেখিয়ে এ ধরনের কাজে বাধ্য করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায় যে, আসামী মোঃ মহিউদ্দিন এ সকল চুরি,ছিনতাই এর মূল পরিকল্পনাকারী। এক্ষেত্রে আসামী মোঃ মহিউদ্দিন সকল নতুন সিএনজি (বিশেষ করে যে সকল সিএনজির এখনো নম্বার প্লেট লাগানো হয়নি) টার্গেট হিসাবে বাছাই করে এবং টার্গেট এর গ্যারেজ চিহিৃত করে। টার্গেট এবং গ্যারেজ চিহিৃত করার পর আসামী মহিউদ্দিন চুরির প্রস্তাব মানিককে দেয়।

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/04Jun21/news/up-2.jpg

আাসামী মানিক (মাইনকা) চুরি,ছিনতাই গ্রুপের মূল লিডার। আসামী মোঃ মহিউদ্দিন এর দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী আসামী মানিক প্রাথমিক ভাবে কিছুদিন টার্গেট এবং গ্যারেজ পর্যবেক্ষণ করে। অতঃপর চুরির দিন নির্ধারণ করে। চুরি করার ক্ষেত্রে আসামী মানিক তার দলের প্রধান অস্ত্র হিসাবে আসামী হৃদয়কে ব্যবহার করে। আসামী হৃদয়যে কোন যানবাহন চাবি ছাড়া ইঞ্জিন চালু করতে পারদর্শী। আসামী হৃদয় ইঞ্জিন চালু করে দেয়ার পর সে নিজে এবং আসামী মশিউর এবং দলের অন্যান্য সদস্যরা যানবাহন সমূহ চালিয়ে আসামী মানিকের পুর্ব নির্ধারিত স্থানে নিয়ে আসে। আসামী মানিক (মাইনকা) এর নেতৃত্বে চুরি, ছিনতাই অপরাধ কার্যক্রম সংঘটিত হওয়ার পর তারা আবার প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে।

একই সাথে ঐ স্থানে আসামী মহিউদ্দিন উপস্থিত হয়। তারপর আসামী মোঃ মহিউদ্দিনই চোরাই গাড়ী বিক্রির অন্যতম সদস্য কামরুলের সাথে একমাত্র যোগাযোগ রক্ষা করে। আসামী মোঃ মহিউদ্দিনের মাধ্যমে চোরাই যানবাহন সমূহ আসামী কামরুল গ্রহণ করে এবং উক্ত যানবাহন সমূহ চোরাই পথে বিক্রির প্রকৃয়া সম্পন্ন করে। চোরাই পথে যানবাহনগুলো বিক্রির পর বিক্রিত অর্থের কিছু অংশ আসামী মহিউদ্দিনের মাধ্যমেই চুরি ছিনতাই গ্রুপের মূল লিডার মানিক (মাইনকা) এর হাতে আসে। যা পরবর্তীতে মানিক তার গ্রুপের অন্যন্যা সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। সিএনজি চুরি যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সাধারণত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের একটি সিএনজি আসামী কামরুল এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্যের দুই-তৃতীয়াংশ আসামী মহিউদ্দিন এবং কামরুল নিয়ে থাকে এবং এক-তৃতীয়াংশ বা তার কিছু কম চুরি, ছিনতাই গ্রুপ পেয়ে থাকে। এই সকল প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। যার ফলে দ্রুততার সাথে আসামীগণকে গ্রেফতার করা ছাড়া সিএনজি সমূহ ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

back to top