কারণ খুঁজছে পুলিশ
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মা ও দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে জবাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহকর্তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতের কোন এক সময় উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে নিজ বসত ঘরে তাদের হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুন) সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ও আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠায়। নিহতদের মাথায়, গলায় ও বুকে-পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও তার দুই সন্তান রয়েছে। নিহতরা হলেন, বিন্নাকান্দি গ্রামের হিফজুর রহমানের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩০), তার ছেলে মিজান (১০) মেয়ে তানিশা (৩)। গৃহবধূর স্বামী হিফজুর রহমানকেও (৪০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ঘুম থেকে ওঠতে দেরি দেখে প্রতিবেশিরা হিফজুরের ঘরের সামনে গিয়ে তাদের ডাকাডাকি করেন। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খানিকটা কাছে গিয়ে তারা দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। তারা ঘরের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ পান। পরে ঘরে প্রবেশ করে খাটে তিনজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিফজুরকে হাসপাতালে পাঠান।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল আহাদ বলেন, তিনজনের মধ্যে মা ও ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ছোট্ট মেয়েটার মাথায় আঘাত রয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ির গৃহকর্তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। ঘটনার ক্লু খোঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এবং গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমানসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আমরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, শ্বশুরবাড়ি ঘনঘন আসা যাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় সময় স্বামী হিফজুরের পারিবারিক কলহ হতো। কাজেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে। এছাড়াও হিফজুরের সঙ্গে তার মামার জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি। সে কারণেও হত্যাকান্ড ঘটেছে কিনা সে বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি। আপাতত এ দুটি বিষয়কে সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে তদন্তের স্বার্থে হিফজুরের মামা-মামী এবং তার শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে, গৃহকর্তা হিফজুরও আমাদের সন্দেহের তালিকার বাইরে নয়। তিনি কথা বলতে পারলে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন অনেকটা সহজ হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
কী কারণে হত্যা ?
হিফজুর রহমান পেশায় দিনমজুর। একেবারেই হতদরিদ্র। নিজের কোন সম্পদ নেই। থাকেন মামার বাড়িতে। মায়ের তরফ থেকে পাওয়া জমিতে মাটির একটা ঘর করেছেন। সেখানই স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে থাকেন।
এই ভাঙা ঘরেই হিফজুরের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কুপানো হয় হিফজুরকেও। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। বুধবার সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঘরে ঢুকে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে মানুষের ভিড়। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়ো হয়েছেন সেখানে। ঘরের ভেতরে মাটির মেঝে লাল হয়ে আছে রক্তে।
হিফজুরদের প্রতিবেশি, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, হিফজুর তার মামার বাড়িতে ঘর বানিয়ে থাকেন। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রামে। হিফজুরের কোন শত্রু আছে বলে আমার জানা নেই। কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা বুঝতে পারছি না। গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল আহাদ বলেন, দুর্বৃত্তরা হিফজুরদের ঘরে ঢুকে তাদের বটি দা দিয়েই সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। রক্তমাখা সেই বটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো মোটিভ নিয়ে কাজ করছি। তবে এটি ডাকাতির কোন ঘটনা নয়। হিফজুররা একেবারেই দরিদ্র। তাছাড়া ঘরের কোন জিনিসপত্র খোয়াও যায়নি।
সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জমিসংক্রান্ত কোন বিরোধ রয়েছে কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য বিষয়গুলোও আমরা খতিয়ে দেখবো। আহত হিফজুরের সঙ্গে কথা বললেও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। পুলিশ খুব আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। আশা করছি দ্রুতসময়ের মধ্যে আমরা ক্লু উদ্ধার করতে পারব।
সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। তিনি জানান, ভিকটিম হিফজুর যে ঘরে থাকতেন ওই ঘরটি তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত। আর পাশের আরও দুটি ঘরে তার মামারা বসবাস করেন। হিফজুর দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের মামাসহ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
কারণ খুঁজছে পুলিশ
বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মা ও দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে জবাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহকর্তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতের কোন এক সময় উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে নিজ বসত ঘরে তাদের হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুন) সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ও আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠায়। নিহতদের মাথায়, গলায় ও বুকে-পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও তার দুই সন্তান রয়েছে। নিহতরা হলেন, বিন্নাকান্দি গ্রামের হিফজুর রহমানের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩০), তার ছেলে মিজান (১০) মেয়ে তানিশা (৩)। গৃহবধূর স্বামী হিফজুর রহমানকেও (৪০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ঘুম থেকে ওঠতে দেরি দেখে প্রতিবেশিরা হিফজুরের ঘরের সামনে গিয়ে তাদের ডাকাডাকি করেন। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খানিকটা কাছে গিয়ে তারা দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। তারা ঘরের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ পান। পরে ঘরে প্রবেশ করে খাটে তিনজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিফজুরকে হাসপাতালে পাঠান।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল আহাদ বলেন, তিনজনের মধ্যে মা ও ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ছোট্ট মেয়েটার মাথায় আঘাত রয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ির গৃহকর্তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। ঘটনার ক্লু খোঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এবং গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমানসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আমরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, শ্বশুরবাড়ি ঘনঘন আসা যাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় সময় স্বামী হিফজুরের পারিবারিক কলহ হতো। কাজেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে। এছাড়াও হিফজুরের সঙ্গে তার মামার জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি। সে কারণেও হত্যাকান্ড ঘটেছে কিনা সে বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি। আপাতত এ দুটি বিষয়কে সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে তদন্তের স্বার্থে হিফজুরের মামা-মামী এবং তার শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে, গৃহকর্তা হিফজুরও আমাদের সন্দেহের তালিকার বাইরে নয়। তিনি কথা বলতে পারলে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন অনেকটা সহজ হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
কী কারণে হত্যা ?
হিফজুর রহমান পেশায় দিনমজুর। একেবারেই হতদরিদ্র। নিজের কোন সম্পদ নেই। থাকেন মামার বাড়িতে। মায়ের তরফ থেকে পাওয়া জমিতে মাটির একটা ঘর করেছেন। সেখানই স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে থাকেন।
এই ভাঙা ঘরেই হিফজুরের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কুপানো হয় হিফজুরকেও। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। বুধবার সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঘরে ঢুকে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে মানুষের ভিড়। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়ো হয়েছেন সেখানে। ঘরের ভেতরে মাটির মেঝে লাল হয়ে আছে রক্তে।
হিফজুরদের প্রতিবেশি, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, হিফজুর তার মামার বাড়িতে ঘর বানিয়ে থাকেন। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রামে। হিফজুরের কোন শত্রু আছে বলে আমার জানা নেই। কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা বুঝতে পারছি না। গোয়াইনঘাট থানার ওসি আবদুল আহাদ বলেন, দুর্বৃত্তরা হিফজুরদের ঘরে ঢুকে তাদের বটি দা দিয়েই সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। রক্তমাখা সেই বটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো মোটিভ নিয়ে কাজ করছি। তবে এটি ডাকাতির কোন ঘটনা নয়। হিফজুররা একেবারেই দরিদ্র। তাছাড়া ঘরের কোন জিনিসপত্র খোয়াও যায়নি।
সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জমিসংক্রান্ত কোন বিরোধ রয়েছে কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য বিষয়গুলোও আমরা খতিয়ে দেখবো। আহত হিফজুরের সঙ্গে কথা বললেও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। পুলিশ খুব আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। আশা করছি দ্রুতসময়ের মধ্যে আমরা ক্লু উদ্ধার করতে পারব।
সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। তিনি জানান, ভিকটিম হিফজুর যে ঘরে থাকতেন ওই ঘরটি তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত। আর পাশের আরও দুটি ঘরে তার মামারা বসবাস করেন। হিফজুর দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের মামাসহ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।