যশোরের কেশবপুরে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের জমি দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক সন্ত্রাসীদের দিয়ে গভীর রাতে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে সরকারি রাস্তা সংলগ্ন চারপায়ার কাঠের ঘর নির্মাণ করে জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওই সন্তান বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ৭৪ নং বালিয়াডাঙ্গা মৌজার আরএস ২৭১ খতিয়ানে ১৬৭ দাগের মালিক রজব গাজী, আবুবকর গাজী, কাশেম গাজী, হাশেম গাজী, খায়ের গাজী ও বিলায়েত গাজীর কাছ থেকে ২০০৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন ৭ শতক ও তার স্ত্রী জুলিয়া নাসরিন ৭ শতকসহ মোট ১৪ শতক জমি ৪৩৫, ৮৯৪ ও ৫২৮ নং দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমির নামপত্তন ও হাল খাজনা পরিশোধ করা হয়। ২০০৯ সালে আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী জমির চারপাশে পাকা প্রাচীর নির্মাণসহ ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে বাকাবরশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুন যোগসাজসে ওই জমির ভেতর থেকে ৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি দাবি করে গভীর রাতে সন্ত্রাসী দিয়ে আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী জুলিয়া নাসরিনের নির্মিত প্রাচীর ভেঙ্গে সরকারি রাস্তার পাশে চারপায়ার কাঠের ঘর নর্মাণ করে জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
জমির মালিক জুলিয়া নাসরিন অভিযোগ করে বলেন, হযরত আলী এলাকার কাশেম গাজী, মুস্তাক, খালেক, আসাদ, বিল্লাল, মাসুম, তরিকুল, মামুনসহ ১৫-২০ জন যুবক ওই চারপায়ার ঘর রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির পাশে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়ায় আমি ও আমার পরিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। প্রতিপক্ষরা ১৬৭ দাগের ৯৩ শতকের মধ্যে ৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি নিয়ে জজ কোর্টে ৬৮-২০ দেওয়ানি মামলা করেছেন। উক্ত মামলায় আমরা পক্ষভুক্ত হয়ে জবাব দাখিল করেছি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এরপরও হালিমা বেগম উচ্চ আদালতকে গোপন করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পি-৭৫৮/২১ মামলা রুজু করেছেন।
এ ব্যাপারে হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, ওই দাগে জুলিয়া নাসরিনের পিতা মৃত আবুবকর গাজীর ২৩ দশমিক ২৫ শতক জমি রয়েছে। ওই জমির মধ্যে ৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি দাবি করে আমি আদালতে মামলা করেছি।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহানউদ্দীন জানান, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যাতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় সে ব্যাপারে উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
যশোরের কেশবপুরে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের জমি দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শিক্ষক। ওই শিক্ষক সন্ত্রাসীদের দিয়ে গভীর রাতে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে সরকারি রাস্তা সংলগ্ন চারপায়ার কাঠের ঘর নির্মাণ করে জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওই সন্তান বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ৭৪ নং বালিয়াডাঙ্গা মৌজার আরএস ২৭১ খতিয়ানে ১৬৭ দাগের মালিক রজব গাজী, আবুবকর গাজী, কাশেম গাজী, হাশেম গাজী, খায়ের গাজী ও বিলায়েত গাজীর কাছ থেকে ২০০৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন ৭ শতক ও তার স্ত্রী জুলিয়া নাসরিন ৭ শতকসহ মোট ১৪ শতক জমি ৪৩৫, ৮৯৪ ও ৫২৮ নং দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমির নামপত্তন ও হাল খাজনা পরিশোধ করা হয়। ২০০৯ সালে আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী জমির চারপাশে পাকা প্রাচীর নির্মাণসহ ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে বাকাবরশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুন যোগসাজসে ওই জমির ভেতর থেকে ৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি দাবি করে গভীর রাতে সন্ত্রাসী দিয়ে আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী জুলিয়া নাসরিনের নির্মিত প্রাচীর ভেঙ্গে সরকারি রাস্তার পাশে চারপায়ার কাঠের ঘর নর্মাণ করে জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
জমির মালিক জুলিয়া নাসরিন অভিযোগ করে বলেন, হযরত আলী এলাকার কাশেম গাজী, মুস্তাক, খালেক, আসাদ, বিল্লাল, মাসুম, তরিকুল, মামুনসহ ১৫-২০ জন যুবক ওই চারপায়ার ঘর রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির পাশে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়ায় আমি ও আমার পরিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। প্রতিপক্ষরা ১৬৭ দাগের ৯৩ শতকের মধ্যে ৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি নিয়ে জজ কোর্টে ৬৮-২০ দেওয়ানি মামলা করেছেন। উক্ত মামলায় আমরা পক্ষভুক্ত হয়ে জবাব দাখিল করেছি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এরপরও হালিমা বেগম উচ্চ আদালতকে গোপন করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পি-৭৫৮/২১ মামলা রুজু করেছেন।
এ ব্যাপারে হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, ওই দাগে জুলিয়া নাসরিনের পিতা মৃত আবুবকর গাজীর ২৩ দশমিক ২৫ শতক জমি রয়েছে। ওই জমির মধ্যে ৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি দাবি করে আমি আদালতে মামলা করেছি।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহানউদ্দীন জানান, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যাতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় সে ব্যাপারে উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে।