alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান

: বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

করোনা নামক ভাইরাসটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ঝড়ের মতো দেশে দেশে তান্ডব চালাচ্ছে! টিকা আবিষ্কারের পরও এর ছোবল, ভয় ও আতঙ্ক একটুও কমেনি। ঝড়ের আঘাতের মতো একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে। আর সেই সঙ্গে লণ্ডভণ্ড করছে মানুষের জীবন জীবিকা ও কাজ কর্ম। মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করলে বোঝা যায়, সারা বিশ্বের মানুষের ওপর বিষয়টি কত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।

রোগটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় বিধায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পৃথিবীর দেশে দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। ফলে মাসের পর মাস মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় অধিকাংশ মানুষই ভয় ও আতঙ্কে গৃহবন্দি। মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, জীবন-জীবিকা সবকিছু বাদ দিয়ে মাসের পর মাস মানুষকে কর্মহীন থাকতে হচ্ছে। এ কারণে অনেকেই কাজকর্ম হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে যাদের সঞ্চয় ছিল না বা থাকলেও যৎসামান্য ছিল, তারা ভীষণ বিপদের মধ্যে আছে। ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিল্পকারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশকেও তা সামাল দিতে যথেষ্ট হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোয় এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করায় অনেক পরিবারকেই অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় দরিদ্র অসহায় মানুষের দুঃখকষ্ট আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অনিবন্ধিত স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারী, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক দিন মজুর, গৃহকর্মী ইত্যাদি নানা পেশার মানুষের জীবন জীবিকা আজ চরম বিপন্ন। অনেকে না খেয়ে, বাসা ভাড়ার টাকা, জরুরি চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছে না। অনেকে আবার শত অভাবেও সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে পারছে না। ফলে সেসব পরিবারকে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে সময় পার করতে হচ্ছে। একসময়ের সচ্ছল অনেক পরিবারকেও আত্মীয়স্বজনসহ সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ করতে হয়েছে। এসব অসহায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান আমাদের সামর্থ্যবান মানুষের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। মানুষ মানুষের জন্য, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও দানশীলতা ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান একটি মহৎ গুণ। সরকারও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। যাও নিচ্ছে, তাও আবার নানা প্রতিকূলতার কারণে প্রান্তিক অসহায় বিপন্ন মানুষের হাতে সময় মতো পৌঁছছে না। তাই আসুন আমরা যারা সামর্থ্যবান তারা অসহায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াই, কারণ মানুষ মানুষের জন্য।

জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড,

গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

করোনা নামক ভাইরাসটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ঝড়ের মতো দেশে দেশে তান্ডব চালাচ্ছে! টিকা আবিষ্কারের পরও এর ছোবল, ভয় ও আতঙ্ক একটুও কমেনি। ঝড়ের আঘাতের মতো একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে। আর সেই সঙ্গে লণ্ডভণ্ড করছে মানুষের জীবন জীবিকা ও কাজ কর্ম। মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করলে বোঝা যায়, সারা বিশ্বের মানুষের ওপর বিষয়টি কত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।

রোগটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় বিধায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পৃথিবীর দেশে দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। ফলে মাসের পর মাস মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় অধিকাংশ মানুষই ভয় ও আতঙ্কে গৃহবন্দি। মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, জীবন-জীবিকা সবকিছু বাদ দিয়ে মাসের পর মাস মানুষকে কর্মহীন থাকতে হচ্ছে। এ কারণে অনেকেই কাজকর্ম হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে যাদের সঞ্চয় ছিল না বা থাকলেও যৎসামান্য ছিল, তারা ভীষণ বিপদের মধ্যে আছে। ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিল্পকারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশকেও তা সামাল দিতে যথেষ্ট হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোয় এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করায় অনেক পরিবারকেই অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় দরিদ্র অসহায় মানুষের দুঃখকষ্ট আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অনিবন্ধিত স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারী, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক দিন মজুর, গৃহকর্মী ইত্যাদি নানা পেশার মানুষের জীবন জীবিকা আজ চরম বিপন্ন। অনেকে না খেয়ে, বাসা ভাড়ার টাকা, জরুরি চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছে না। অনেকে আবার শত অভাবেও সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে পারছে না। ফলে সেসব পরিবারকে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে সময় পার করতে হচ্ছে। একসময়ের সচ্ছল অনেক পরিবারকেও আত্মীয়স্বজনসহ সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ করতে হয়েছে। এসব অসহায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান আমাদের সামর্থ্যবান মানুষের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। মানুষ মানুষের জন্য, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও দানশীলতা ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান একটি মহৎ গুণ। সরকারও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। যাও নিচ্ছে, তাও আবার নানা প্রতিকূলতার কারণে প্রান্তিক অসহায় বিপন্ন মানুষের হাতে সময় মতো পৌঁছছে না। তাই আসুন আমরা যারা সামর্থ্যবান তারা অসহায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াই, কারণ মানুষ মানুষের জন্য।

জিল্লুর রহমান

সতিশ সরকার রোড,

গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

back to top