ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে ডিভাইডারে (সড়ক বিভাজক) এক্সিট পয়েন্ট না থাকায় দুরপাল্লার যাত্রীদের বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
সোমবার দিনভর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলো ঢাকায় প্রবেশের মুখে শিমরাইল মোড়ে রাস্তার মাঝখানে যাত্রী নামিয়ে দিতে দেখা গেছে। এসময় শিশু, বৃদ্ধসহ সকলকেই রাস্তা পাড় হতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। যদিও হাইওয়ে পুলিশ সড়কে যাত্রী নামানোর অপরাধে ১৫টিসহ গত কয়েকদিনে মোট ৫৯টি যাত্রীবাহী বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তারপরও যাত্রী নামানো বন্ধ হচ্ছে না। এদিকে গত রোববার ডিভাইডারে মই লাগিয়ে যাত্রী পারাপারের অভিযোগে রবিউল নামে এক যুবকে গ্রেফতার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে ৪ লেন থেকে ৮ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। একদিকের চারটি লেনের মধ্যে দুটি এক্সেপ্রেস লেন এবং অপর দুটি সার্ভিস লেন। এর মাঝখানের ডিভাইডার দুটি পাঁচ ফুট উঁচু এবং এক মাইলেরও বেশি সড়কের মধ্যে কোন পারাপারের এক্সিট পয়েন্ট নাই। এ করণে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জগামী দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীদের শিমরাইল মোড়ের রাস্তার মাঝে নামিয়ে দিচ্ছে। ডিভাইডার উচু হওয়ায় ও এক্সিট পথ না থাকায় যাত্রীরা রাস্তা পার হতে পারছে না। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডার পার হতে হচ্ছে। এতে শিশু, বয়স্কদের বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঢাকামুখী দ্রুতগামী লেনের গাড়ি লোকাল লেনে আসতে হলে কাঁচপুর সেতুর কাছে লেন বদলাতে হয়। সার্ভিস লেনে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এরফলে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো যাত্রী নামাতে সার্ভিস লেনে যেতে চায় না। ওই যাত্রীবাহী বাস দ্রুতগামী লেনে যাত্রীদের নামিয়ে চলে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে দ্রুতগামী লেনের ডিভাইডার পার হতে হচ্ছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত রোববার রবিউলসহ কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে টাকার নিয়ে মই দিয়ে সড়ক বিভাজক পারাপার করছিল। এ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে পুলিশ মই উদ্ধার করে এবং রোববার রাতেই রবিউলকে গ্রেফতার করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুলিশের সামনেই যাত্রীদের নামাচ্ছে দ্রুতগামী লেনে। এসময় কুমিল্লা থেকে আসা ষাটোর্ধ যাত্রী আফজাল মিয়া জানায়, আমাদের এখানে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা রাস্তা পার হব কিভাবে। হেটে কাঁচপুর ব্রিজ অথবা মৌচাক পর্যন্ত যেতে হবে। ফেনী থেকে আসা আরেক যাত্রী ময়না বেগমকে সন্তান ও মালামালসহ রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। সেও রাস্তা পার হতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তা পার হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডার পর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দ্রুত একটি এক্সিট পথ রাখার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে ভূক্তভোগী যাত্রীরা।
দুরপাল্লার একাধিক যাত্রীবাহী বাসের চালক জানায়, সার্ভিস লেনে সবসময়ই জ্যাম থাকে। এ কারণে আমাদের এক্সপ্রেস লেনে যাত্রী নামাতে হচ্ছে। তবে একটি এক্সিট ওয়ে থাকলে যাত্রীদের দুর্ভোগ হবে না বলেও তারা জানায়।
দিনভর হাইওয়ে পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মত। পুলিশ রাস্তায় যাত্রী নামানোর অভিযোগে ১৫টি যাত্রীবাহী বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিনে ৪৪টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের পরিদর্শক (টিআই) এ কে এম শরফুদ্দিন জানায়, যাত্রাীবাহী বাস আমাদের টহল পুলিশের অবস্থান থেকে দুরে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দ্রুত চলে যায়। তারপরও আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আজ (সোমবার) ১৫টিসহ গত কয়েকদিনে ৫৯টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। তিনি আরও জানান, যাত্রী পারাপারে মই ব্যবহারের অভিযোগে রবিউলকে গত রাতে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের যাতে সড়কের মাঝে না নামানো হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ), নারায়ণগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস জানায়, যাত্রী পারাপারে এক্সপ্রেস হাইওয়ের মত এক্সিট পয়েন্ট হতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেটি হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে।
সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে ডিভাইডারে (সড়ক বিভাজক) এক্সিট পয়েন্ট না থাকায় দুরপাল্লার যাত্রীদের বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
সোমবার দিনভর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলো ঢাকায় প্রবেশের মুখে শিমরাইল মোড়ে রাস্তার মাঝখানে যাত্রী নামিয়ে দিতে দেখা গেছে। এসময় শিশু, বৃদ্ধসহ সকলকেই রাস্তা পাড় হতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। যদিও হাইওয়ে পুলিশ সড়কে যাত্রী নামানোর অপরাধে ১৫টিসহ গত কয়েকদিনে মোট ৫৯টি যাত্রীবাহী বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তারপরও যাত্রী নামানো বন্ধ হচ্ছে না। এদিকে গত রোববার ডিভাইডারে মই লাগিয়ে যাত্রী পারাপারের অভিযোগে রবিউল নামে এক যুবকে গ্রেফতার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে ৪ লেন থেকে ৮ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। একদিকের চারটি লেনের মধ্যে দুটি এক্সেপ্রেস লেন এবং অপর দুটি সার্ভিস লেন। এর মাঝখানের ডিভাইডার দুটি পাঁচ ফুট উঁচু এবং এক মাইলেরও বেশি সড়কের মধ্যে কোন পারাপারের এক্সিট পয়েন্ট নাই। এ করণে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জগামী দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীদের শিমরাইল মোড়ের রাস্তার মাঝে নামিয়ে দিচ্ছে। ডিভাইডার উচু হওয়ায় ও এক্সিট পথ না থাকায় যাত্রীরা রাস্তা পার হতে পারছে না। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডার পার হতে হচ্ছে। এতে শিশু, বয়স্কদের বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঢাকামুখী দ্রুতগামী লেনের গাড়ি লোকাল লেনে আসতে হলে কাঁচপুর সেতুর কাছে লেন বদলাতে হয়। সার্ভিস লেনে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এরফলে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো যাত্রী নামাতে সার্ভিস লেনে যেতে চায় না। ওই যাত্রীবাহী বাস দ্রুতগামী লেনে যাত্রীদের নামিয়ে চলে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে দ্রুতগামী লেনের ডিভাইডার পার হতে হচ্ছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত রোববার রবিউলসহ কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে টাকার নিয়ে মই দিয়ে সড়ক বিভাজক পারাপার করছিল। এ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে পুলিশ মই উদ্ধার করে এবং রোববার রাতেই রবিউলকে গ্রেফতার করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুলিশের সামনেই যাত্রীদের নামাচ্ছে দ্রুতগামী লেনে। এসময় কুমিল্লা থেকে আসা ষাটোর্ধ যাত্রী আফজাল মিয়া জানায়, আমাদের এখানে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা রাস্তা পার হব কিভাবে। হেটে কাঁচপুর ব্রিজ অথবা মৌচাক পর্যন্ত যেতে হবে। ফেনী থেকে আসা আরেক যাত্রী ময়না বেগমকে সন্তান ও মালামালসহ রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। সেও রাস্তা পার হতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তা পার হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডার পর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দ্রুত একটি এক্সিট পথ রাখার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে ভূক্তভোগী যাত্রীরা।
দুরপাল্লার একাধিক যাত্রীবাহী বাসের চালক জানায়, সার্ভিস লেনে সবসময়ই জ্যাম থাকে। এ কারণে আমাদের এক্সপ্রেস লেনে যাত্রী নামাতে হচ্ছে। তবে একটি এক্সিট ওয়ে থাকলে যাত্রীদের দুর্ভোগ হবে না বলেও তারা জানায়।
দিনভর হাইওয়ে পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মত। পুলিশ রাস্তায় যাত্রী নামানোর অভিযোগে ১৫টি যাত্রীবাহী বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিনে ৪৪টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের পরিদর্শক (টিআই) এ কে এম শরফুদ্দিন জানায়, যাত্রাীবাহী বাস আমাদের টহল পুলিশের অবস্থান থেকে দুরে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দ্রুত চলে যায়। তারপরও আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আজ (সোমবার) ১৫টিসহ গত কয়েকদিনে ৫৯টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। তিনি আরও জানান, যাত্রী পারাপারে মই ব্যবহারের অভিযোগে রবিউলকে গত রাতে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের যাতে সড়কের মাঝে না নামানো হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ), নারায়ণগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস জানায়, যাত্রী পারাপারে এক্সপ্রেস হাইওয়ের মত এক্সিট পয়েন্ট হতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেটি হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে।