রেলওয়ের টিকেট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। ট্রেনযাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তের অভিযোগ সঠিক ছিল না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে এসে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ওই ঘটনায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলামকে দোষী সাবস্ত করা হয়েছে। টিটিই শফিকুল ইসলামের ওপর ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন গার্ড শরিফুল ইসলাম। তাই টিকেটবিহীন ওই তিন যাত্রীকে দিয়ে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করান তিনি। এজন্য গার্ড শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম)’র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম। এ সময় অন্য দুই সদস্য সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী কমান্ডেন্ট আবু হেনা মোস্তফার উপস্থিতি ছিলেন।
বিনা টিকেটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জরিমানা করার সময় অসদাচরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার টিকেট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এতে সত্যের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার মনির সম্পৃক্ততা ও রেলওয়ে পাকশীর বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি তদন্ত কমিটি। এ বিষয়টি ডিসিও নাসির উদ্দিনের শোকজ জবাব পাওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম। গতকাল তার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের পর পাকশীর ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। আনিত অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম ওই যাত্রীকে দিয়ে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে উসকানি দিয়েছিলেন। কোন কারণে টিটিই শফিকুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন শরিফুল। তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।’
পাকশীর ডিআরএম বলেন, ‘প্রতিবেদনে ৯ জনের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে। টিটিই শফিকুলের সঙ্গে ওই যাত্রীদের কোন বাগবিত-া হয়নি। গার্ড শরিফুল ইসলাম ব্যক্তিগত শত্রুতায় শফিকুলকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। ঢাকায় গিয়ে ওই যাত্রীদের ফুসলিয়ে শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে।’
এ ঘটনায় রেলমন্ত্রীর স্ত্রী বা তার মামাত বোনের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘ট্রেনের মধ্যে যাত্রীর সঙ্গে টিটিই শফিকুল খারাপ আচরণ করেছেন, এমন অভিযোগ ছিল। শুধু এ বিষয়টিতেই তদন্ত করা হয়েছে। এর বাইরে কোন বিষয় আনা হয়নি। আর তদন্তে অভিযোগকারী বা অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ কারো বক্তব্যে এ বিষয়ে কোন কথা বা অভিযোগ উঠে আসেনি।’
রেলমন্ত্রীর স্ত্রী ও রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর বিষয়টি যেহেতু নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেহেতু এই প্রতিবেদনে সেটা উঠে আসেনি। কারণ, নাসির উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই জবাব পেলে এ বিষয়ে (রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা) বলা সম্ভব হবে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মূল প্রতিবেদন ৭ পৃষ্ঠার সঙ্গে আরও চল্লিশ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগকারী রেলযাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তের তোলা অভিযোগ সঠিক ছিল না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে এসে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
সন্তোষ প্রকাশ করেছেন টিটিই শফিকুল
রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকেটে ট্রেনভ্রমণ এবং এ ঘটনায় যাত্রীদের জরিমানা করার সময় অসদাচরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল-হামদুলিল্লাহ, আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। শুরু থেকেই আমি শতভাগ আশাবাদী ছিলাম ন্যায়বিচার পাব। এজন্য সাংবাদিক ও রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’
গত ৫ মে বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকেটে ভ্রমণরত তিন যাত্রীকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। পরে রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ফোনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন। এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও পাকশী রেল বিভাগ বরখাস্ত করা শফিকুল ইসলামকে স্বপদে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ১০ কার্যদিবস শেষে গতকাল প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
রেলওয়ের টিকেট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। ট্রেনযাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তের অভিযোগ সঠিক ছিল না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে এসে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ওই ঘটনায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলামকে দোষী সাবস্ত করা হয়েছে। টিটিই শফিকুল ইসলামের ওপর ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন গার্ড শরিফুল ইসলাম। তাই টিকেটবিহীন ওই তিন যাত্রীকে দিয়ে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করান তিনি। এজন্য গার্ড শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম)’র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম। এ সময় অন্য দুই সদস্য সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী কমান্ডেন্ট আবু হেনা মোস্তফার উপস্থিতি ছিলেন।
বিনা টিকেটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জরিমানা করার সময় অসদাচরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার টিকেট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এতে সত্যের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার মনির সম্পৃক্ততা ও রেলওয়ে পাকশীর বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি তদন্ত কমিটি। এ বিষয়টি ডিসিও নাসির উদ্দিনের শোকজ জবাব পাওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম। গতকাল তার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের পর পাকশীর ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। আনিত অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম ওই যাত্রীকে দিয়ে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে উসকানি দিয়েছিলেন। কোন কারণে টিটিই শফিকুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন শরিফুল। তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।’
পাকশীর ডিআরএম বলেন, ‘প্রতিবেদনে ৯ জনের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে। টিটিই শফিকুলের সঙ্গে ওই যাত্রীদের কোন বাগবিত-া হয়নি। গার্ড শরিফুল ইসলাম ব্যক্তিগত শত্রুতায় শফিকুলকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। ঢাকায় গিয়ে ওই যাত্রীদের ফুসলিয়ে শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে।’
এ ঘটনায় রেলমন্ত্রীর স্ত্রী বা তার মামাত বোনের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘ট্রেনের মধ্যে যাত্রীর সঙ্গে টিটিই শফিকুল খারাপ আচরণ করেছেন, এমন অভিযোগ ছিল। শুধু এ বিষয়টিতেই তদন্ত করা হয়েছে। এর বাইরে কোন বিষয় আনা হয়নি। আর তদন্তে অভিযোগকারী বা অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ কারো বক্তব্যে এ বিষয়ে কোন কথা বা অভিযোগ উঠে আসেনি।’
রেলমন্ত্রীর স্ত্রী ও রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর বিষয়টি যেহেতু নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেহেতু এই প্রতিবেদনে সেটা উঠে আসেনি। কারণ, নাসির উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই জবাব পেলে এ বিষয়ে (রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা) বলা সম্ভব হবে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মূল প্রতিবেদন ৭ পৃষ্ঠার সঙ্গে আরও চল্লিশ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগকারী রেলযাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তের তোলা অভিযোগ সঠিক ছিল না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে রেলওয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ে এসে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
সন্তোষ প্রকাশ করেছেন টিটিই শফিকুল
রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকেটে ট্রেনভ্রমণ এবং এ ঘটনায় যাত্রীদের জরিমানা করার সময় অসদাচরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল-হামদুলিল্লাহ, আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। শুরু থেকেই আমি শতভাগ আশাবাদী ছিলাম ন্যায়বিচার পাব। এজন্য সাংবাদিক ও রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’
গত ৫ মে বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকেটে ভ্রমণরত তিন যাত্রীকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। পরে রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ফোনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন। এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও পাকশী রেল বিভাগ বরখাস্ত করা শফিকুল ইসলামকে স্বপদে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ১০ কার্যদিবস শেষে গতকাল প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।