পিবিআইয়ের অভিযান
যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর নিখোঁজ ছাত্র মো. ইমরুল হাসান রাহুলকে খুলনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টিম আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও অনুসন্ধান চালিয়ে গতকাল বিকেলে তাকে উদ্ধার করে।
তাকে নিয়ে পিবিআইয়ের টিম যশোর রওনা হয়েছে। স্কুলের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে স্কুল ছুটির পর গত ১৪ নভেম্বর সাইকেলযোগে খুলানায় গিয়ে একটি নার্সারিতে আশ্রয় নেয়। নার্সারিতে কাজ করে ও মালিকের সন্তানকে লেখাপড়া করিয়ে এতদিন জীবিকা নির্বাহ করেছে। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রকে উদ্ধারে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার সর্বক্ষণ মনিটরিং করেছেন।
পিবিআইয়ের যশোর জেলার পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৪ নভেম্বর স্কুল ছুটির পর নবম ইমরুল হাসান রাহুল যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সাইকেল নিয়ে বের হন। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানানো হয়। থানা পুলিশ চেষ্টা করেও তার সন্ধান পায়নি। অবশেষে পরিবার ও স্বজনদের পক্ষ থেকে ঘটনাটি ঢাকা পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারকে জানানো হয়। একই সঙ্গে যশোর পিবিআই প্রধানের কাছে ছেলেকে ফিরে পেতে তার বাবা সার্জেন্ট মুহাম্মদ খলিলুর রহমান লিখিত আবেদন করে সহায়তা চান।
পিবিআইয়ের যশোর টিম ও ঢাকার বিশেষ টিম আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে উদ্ধারের সব চেষ্টা করে। কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় তার অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরও খুলনা থেকে একটি ক্ষুদে বার্তার সূত্র ধরে পিবিআইয়ের টিম অনুসন্ধানে নামেন ১৫ দিন পর গতকাল বিকেলে খুলনা ফুলতলা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ক্ষুদে বার্তার সূত্র ধরে প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোনের ক্লু বের করে খুলনায় ফুলতলায় তার অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ফুলতলা একটি নার্সারিতে সে কাজ নিয়েছে বলে জানতে পারে। এরপর ওই নার্সারিতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। নিখোঁজ স্কুলছাত্র রাহুল নার্সারিতে সাময়িক কাজ নিয়েছে। এছাড়া নার্সারি মালিকের সন্তানকে লেখাপড়া করিয়ে সময় কাটিয়েছে। তারাই তাকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
পরিবার জানায়, স্কুলছাত্র ইমরুল হাসান রাহুল খুবই মেধাবী। সে ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। স্কুলের ক্লাসের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু একজন ছাত্রী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে যায়। রাহুল ক্যাপ্টেন হিসেবে ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করে। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার অভিভাবককে জানায়। অভিভাবক স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের কাছে বিচার দিলে রাহুলকে শিক্ষকরা বকাঝকা করেন। এতে সে অপমাণিত হয়। এরই জের হিসেবে রাহুল স্কুল ছুটির পর সাইকেল চালিয়ে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। সিসি টিভি তল্লাশি করে তার বের হওয়ার দৃষ্টও দেখা গেছে। এরপরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে না পেয়ে পরিবার বাবা ও মাসহ স্বজনরা কান্নাকাটি করতে থাকেন। এ নিয়ে সংবাদে প্রথমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি পিবিআই প্রধান ও যশোর পিবিআইয়ের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গতকাল বিকেলে স্কুলছাত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে পিবিআই কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পিবিআইয়ের অভিযান
মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর নিখোঁজ ছাত্র মো. ইমরুল হাসান রাহুলকে খুলনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টিম আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও অনুসন্ধান চালিয়ে গতকাল বিকেলে তাকে উদ্ধার করে।
তাকে নিয়ে পিবিআইয়ের টিম যশোর রওনা হয়েছে। স্কুলের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে স্কুল ছুটির পর গত ১৪ নভেম্বর সাইকেলযোগে খুলানায় গিয়ে একটি নার্সারিতে আশ্রয় নেয়। নার্সারিতে কাজ করে ও মালিকের সন্তানকে লেখাপড়া করিয়ে এতদিন জীবিকা নির্বাহ করেছে। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রকে উদ্ধারে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার সর্বক্ষণ মনিটরিং করেছেন।
পিবিআইয়ের যশোর জেলার পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৪ নভেম্বর স্কুল ছুটির পর নবম ইমরুল হাসান রাহুল যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সাইকেল নিয়ে বের হন। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানানো হয়। থানা পুলিশ চেষ্টা করেও তার সন্ধান পায়নি। অবশেষে পরিবার ও স্বজনদের পক্ষ থেকে ঘটনাটি ঢাকা পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারকে জানানো হয়। একই সঙ্গে যশোর পিবিআই প্রধানের কাছে ছেলেকে ফিরে পেতে তার বাবা সার্জেন্ট মুহাম্মদ খলিলুর রহমান লিখিত আবেদন করে সহায়তা চান।
পিবিআইয়ের যশোর টিম ও ঢাকার বিশেষ টিম আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে উদ্ধারের সব চেষ্টা করে। কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় তার অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরও খুলনা থেকে একটি ক্ষুদে বার্তার সূত্র ধরে পিবিআইয়ের টিম অনুসন্ধানে নামেন ১৫ দিন পর গতকাল বিকেলে খুলনা ফুলতলা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ক্ষুদে বার্তার সূত্র ধরে প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোনের ক্লু বের করে খুলনায় ফুলতলায় তার অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ফুলতলা একটি নার্সারিতে সে কাজ নিয়েছে বলে জানতে পারে। এরপর ওই নার্সারিতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। নিখোঁজ স্কুলছাত্র রাহুল নার্সারিতে সাময়িক কাজ নিয়েছে। এছাড়া নার্সারি মালিকের সন্তানকে লেখাপড়া করিয়ে সময় কাটিয়েছে। তারাই তাকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
পরিবার জানায়, স্কুলছাত্র ইমরুল হাসান রাহুল খুবই মেধাবী। সে ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। স্কুলের ক্লাসের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু একজন ছাত্রী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে যায়। রাহুল ক্যাপ্টেন হিসেবে ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করে। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার অভিভাবককে জানায়। অভিভাবক স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের কাছে বিচার দিলে রাহুলকে শিক্ষকরা বকাঝকা করেন। এতে সে অপমাণিত হয়। এরই জের হিসেবে রাহুল স্কুল ছুটির পর সাইকেল চালিয়ে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। সিসি টিভি তল্লাশি করে তার বের হওয়ার দৃষ্টও দেখা গেছে। এরপরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে না পেয়ে পরিবার বাবা ও মাসহ স্বজনরা কান্নাকাটি করতে থাকেন। এ নিয়ে সংবাদে প্রথমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি পিবিআই প্রধান ও যশোর পিবিআইয়ের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গতকাল বিকেলে স্কুলছাত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে পিবিআই কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।