alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ টেকসইভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে

: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

দেশের গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থার ৫৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তিতাসের আওতাভুক্ত এলাকায় অবৈধ সংযোগের কারণে বছরে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

তিতাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির প্রভাব একটি প্রকট সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যেমন শিল্পকারখানা এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্বলতা ও শিথিলতাও এই চক্রকে কার্যত উৎসাহিত করছে। বিপুল পরিমাণ গ্যাস চুরি করেও তাদের শাস্তি পেতে হয় না, গুনতে হয় না জরিমানা।

অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে যেসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, তা অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী, এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাকর্মী প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সংযোগ চালু রাখতে তৎপর থাকে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার নজিরও নেই।

দেশে গ্যাসের চাহিদা ক্রমবর্ধমান এবং এলএনজি আমদানি করে সেই চাহিদা মেটানো হচ্ছে। অথচ দেশীয় গ্যাস সম্পদ অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে অপব্যবহার হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা গ্যাসও সঠিকভাবে কাজে লাগছে না। এ ধরনের গাফিলতির কারণে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট তীব্রতর হচ্ছে, যা শিল্প খাতের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করছে।

উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য গ্যাস খাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। প্রতিটি সংযোগের বৈধতা নিশ্চিতকরণ এবং অবৈধ সংযোগের ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

জাতীয় সম্পদের অপব্যবহারের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ করতে হলে অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন একটি সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এ সমস্যা সমাধান করতে না পারলে দেশের গ্যাস সংকট অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যাবে। সরকারের পাশাপাশি তিতাস কর্তৃৃপক্ষকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের সুযোগ আর না থাকে।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ টেকসইভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে

বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

দেশের গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থার ৫৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তিতাসের আওতাভুক্ত এলাকায় অবৈধ সংযোগের কারণে বছরে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

তিতাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির প্রভাব একটি প্রকট সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যেমন শিল্পকারখানা এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্বলতা ও শিথিলতাও এই চক্রকে কার্যত উৎসাহিত করছে। বিপুল পরিমাণ গ্যাস চুরি করেও তাদের শাস্তি পেতে হয় না, গুনতে হয় না জরিমানা।

অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে যেসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, তা অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী, এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাকর্মী প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সংযোগ চালু রাখতে তৎপর থাকে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার নজিরও নেই।

দেশে গ্যাসের চাহিদা ক্রমবর্ধমান এবং এলএনজি আমদানি করে সেই চাহিদা মেটানো হচ্ছে। অথচ দেশীয় গ্যাস সম্পদ অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে অপব্যবহার হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা গ্যাসও সঠিকভাবে কাজে লাগছে না। এ ধরনের গাফিলতির কারণে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট তীব্রতর হচ্ছে, যা শিল্প খাতের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করছে।

উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য গ্যাস খাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। প্রতিটি সংযোগের বৈধতা নিশ্চিতকরণ এবং অবৈধ সংযোগের ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

জাতীয় সম্পদের অপব্যবহারের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ করতে হলে অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন একটি সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এ সমস্যা সমাধান করতে না পারলে দেশের গ্যাস সংকট অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যাবে। সরকারের পাশাপাশি তিতাস কর্তৃৃপক্ষকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের সুযোগ আর না থাকে।

back to top