জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। একটি সেতু নদ-নদী অথবা খালবিলে দুই পারের মেলবন্ধনের মতো কাজ করে। সেতুর ব্যবহার বহুমুখী। এটি শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সংযোগই স্থাপন করে না, স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গুরুত্ব অনেক। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রায়ই দেখা যায়- সেতুর দরকার যেখানে, সেতু নেই সেখানে। অনেক প্রকল্প ঘিরে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি, অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বালু নদীর উপর সেতু নির্মাণের দরপত্র ২০০১ সালে আহ্বান করা হয়। সেতু নির্মাণে মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, সেতু নির্মাণে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মাত্র ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
বর্তমানে বালু সেতুর দুটি পিয়ার, পিয়ার কলম, একদিকের এবার্টমেন্ট ও উইংওয়াল নির্মাণের পর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়কের সলিং করা ইট উঠে গেছে। ব্যবহৃত রড মরীচিকা ধরেছে। সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এরকম নানা প্রতিকূলতায় বালু সেতু নির্মাণ কাজ ২১বছরেও শেষ হয়নি। পূনঃরায় ২০২১সালে অসমাপ্ত বালু সেতু নির্মাণে দায়িত্ত পায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী ২০২১সালের মে মাসে কাজ শুরু করার কথাও ছিলো। অজ্ঞাত কারনে দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বালু নদীর সেতু নির্মাণ হলে কমে যেত রাজধানী ঢাকার যানজট আর দূরত্ব। এই নগর সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২-১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবেন। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজটও কমে যাবে।
আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুর কাজ সমাপ্ত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। একটি সেতু নদ-নদী অথবা খালবিলে দুই পারের মেলবন্ধনের মতো কাজ করে। সেতুর ব্যবহার বহুমুখী। এটি শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সংযোগই স্থাপন করে না, স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গুরুত্ব অনেক। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রায়ই দেখা যায়- সেতুর দরকার যেখানে, সেতু নেই সেখানে। অনেক প্রকল্প ঘিরে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি, অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বালু নদীর উপর সেতু নির্মাণের দরপত্র ২০০১ সালে আহ্বান করা হয়। সেতু নির্মাণে মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, সেতু নির্মাণে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মাত্র ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
বর্তমানে বালু সেতুর দুটি পিয়ার, পিয়ার কলম, একদিকের এবার্টমেন্ট ও উইংওয়াল নির্মাণের পর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়কের সলিং করা ইট উঠে গেছে। ব্যবহৃত রড মরীচিকা ধরেছে। সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এরকম নানা প্রতিকূলতায় বালু সেতু নির্মাণ কাজ ২১বছরেও শেষ হয়নি। পূনঃরায় ২০২১সালে অসমাপ্ত বালু সেতু নির্মাণে দায়িত্ত পায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী ২০২১সালের মে মাসে কাজ শুরু করার কথাও ছিলো। অজ্ঞাত কারনে দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বালু নদীর সেতু নির্মাণ হলে কমে যেত রাজধানী ঢাকার যানজট আর দূরত্ব। এই নগর সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২-১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবেন। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজটও কমে যাবে।
আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুর কাজ সমাপ্ত করতে হবে।