alt

চিঠিপত্র

বন্যার পর ডেঙ্গুর আশঙ্কা

: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

image

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১১টি জেলার ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার। যার ফলে দেশের প্রায় অর্ধকোটির অধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশের এই ক্রান্তিকালীন অবস্থায় প্রশাসনিক শূন্যতার কারণে মশা নিধন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এর প্রজননের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ ও মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। তার ওপর বন্যাকবলিত মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় তারা সর্বাত্মক ডেঙ্গু ঝুঁকিতে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভাঙ্গা রাস্তাঘাট, ডোবা, গাছের ছিদ্র প্রভৃতি প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর বিস্তৃতি যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সমানতালে ট্রান্সমিশন হচ্ছে এডিস মশার।

একই হারে যদি বাঙতে থাকে এডিস মশার প্রজনন তাহলে বন্যাকবলিত মানুষগুলোর জন্য সামনে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ ডেঙ্গু আশঙ্কা। এডিস মশার যে প্রজাতি গ্রামে বা জঙ্গলে পাওয়া যায়-তা হলো এডিস অ্যালবোপিকটাস। বর্তমানে এই প্রজাতি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এখন এই চরম দুর্ভোগ মোকাবেলায় আমাদের যা করণীয়।

বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু রোগের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা।

দায়িত্বরত যে যে ইউনিট কর্মক্ষম আছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, খেলার মাঠ, হাট বাজার প্রভৃতি স্থানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।

সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানের সম্যক জ্ঞান প্রদানের ব্যবস্থা করা।

বন্যাকবলিত যেসব মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানিতে জন্মানো লার্ভা ধ্বংসের ব্যবস্থা করা আশু প্রয়োজন।

বিদ্যালয়গুলো খোলার পূর্বে এবং পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।

সর্বোপরি শুধু সচেতন হলেই চলবে না, মশা নিধনে সবাই কার্যক্রমে সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা নিশ্চিত করতে হবে।

ফারজানা ইসলাম

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

বন্যার পর ডেঙ্গুর আশঙ্কা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

image

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১১টি জেলার ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার। যার ফলে দেশের প্রায় অর্ধকোটির অধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশের এই ক্রান্তিকালীন অবস্থায় প্রশাসনিক শূন্যতার কারণে মশা নিধন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এর প্রজননের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ ও মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। তার ওপর বন্যাকবলিত মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় তারা সর্বাত্মক ডেঙ্গু ঝুঁকিতে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভাঙ্গা রাস্তাঘাট, ডোবা, গাছের ছিদ্র প্রভৃতি প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর বিস্তৃতি যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সমানতালে ট্রান্সমিশন হচ্ছে এডিস মশার।

একই হারে যদি বাঙতে থাকে এডিস মশার প্রজনন তাহলে বন্যাকবলিত মানুষগুলোর জন্য সামনে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ ডেঙ্গু আশঙ্কা। এডিস মশার যে প্রজাতি গ্রামে বা জঙ্গলে পাওয়া যায়-তা হলো এডিস অ্যালবোপিকটাস। বর্তমানে এই প্রজাতি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এখন এই চরম দুর্ভোগ মোকাবেলায় আমাদের যা করণীয়।

বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু রোগের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা।

দায়িত্বরত যে যে ইউনিট কর্মক্ষম আছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, খেলার মাঠ, হাট বাজার প্রভৃতি স্থানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।

সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানের সম্যক জ্ঞান প্রদানের ব্যবস্থা করা।

বন্যাকবলিত যেসব মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানিতে জন্মানো লার্ভা ধ্বংসের ব্যবস্থা করা আশু প্রয়োজন।

বিদ্যালয়গুলো খোলার পূর্বে এবং পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।

সর্বোপরি শুধু সচেতন হলেই চলবে না, মশা নিধনে সবাই কার্যক্রমে সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা নিশ্চিত করতে হবে।

ফারজানা ইসলাম

back to top