alt

চিঠিপত্র

ট্রাফিক পুলিশের সুখদুঃখ

: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশের বিভাগীয় শহরগুলো দেশের অর্থনীতির বঙ স্টেক হোল্ডার। অর্থনীতি ঠিক রাখতে হলে শহরগুলোকে সু নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই প্রয়োজন। সু নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অবদান অনস্বীকার্য। রোদ বৃষ্টি ঝড়-ঝঞ্ঝা সবাই বাধা পেরিয়ে তারা দায়িত্ব অটুট থাকে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর ট্রাফিক পুলিশের যে কত গুরুত্ব তা আমরা অত্যন্ত ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। একটা বিষয় দেখতে পাচ্ছি তাদের কাজে একটু উনিশ বিশ হলেই শুনতে হয় অপবাদ, মাঝে মাঝে তারা অপদস্ত হন। অনেক সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।অতিরিক্ত যানবাহন, ফুটপাত দখল, রিকশা ও পথচারীর খামখেয়ালী, দক্ষ চালক এর অভাব, বাস স্টপেজ না থাকা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা এসব কিছুর সঙ্গে লড়াই করে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ।

দেশের প্রত্যেকটি শহরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল করছে মোটরসাইকেল। প্রতিমাসে সারাদেশে প্রায় গঙে ১৫০ থেকে ২০০ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর আমরা পেয়ে থাকি। দেশে পার্কিং ব্যবস্থা ছাঙা গঙে উঠেছে পেট্রল পাম্প, শপিং মল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা যা প্রত্যেকটি শহরে যানজট আরো বাডড়য়ে দিয়েছে। তাছাঙা কিছু চালকরা তো হুদাই হর্ন দিয়ে থাকেন।আমাদের দেশে সিগন্যাল লাইট নাই বললেই চলে। ত্রিমুখী ও চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ পালাক্রমে দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন। যানজট সড়ক দুর্ঘটনাসহ সবাই বিষয় ট্রাফিক পুলিশদেরকে দোষারোপ করা হয়। মাঝে মাঝে সিগন্যাল ছাড়তে একটু দেরি হলেই যাত্রীরা ট্রাফিক পুলিশদের গালমন্দ করে।

এই ট্রাফিক পুলিশদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পাই একটি সুন্দর ভ্রমণের নিশ্চয়তা। তারা আমাদের এই নিশ্চয়তা দিতে গিয়ে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেন, তা নিয়ে একটু চিন্তা করার প্রয়োজন বোধটুকু মনে করি না। আমরা জানি যে মানুষের শব্দের সহনশীল মাত্রা হচ্ছে ৫০ ডেসিবল। কিন্তু নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নের কারণে তখন প্রায় ৯৫ ডেসিবল হর্ন তাদের সহ্য করতে হয়। এই উচ্চ শব্দের কারণে তারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন, শ্রবণ শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, প্রচ- মাথা ব্যাথা করে। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাই না। উন্নত বিশ্বে ট্রাফিক পুলিশরা আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ১০০ ডেসিবল থেকে শব্দের মাত্রা ৩০ ডেসিবে নিয়ে আসেন। যা আমাদের দেশে সবাই ট্রাফিক পুলিশদের দেয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের ঢাকা শহর বায়ু দূষণের দিক দিয়ে মাঝে মাঝে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। আমাদের বায়ুতে রয়েছে সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, ধুলাবালিসহ নানান উপাদান। এ সবাই কারণে ট্রাফিক পুলিশদের ফুসফুস জনিত রোগ, এজমা, পেট ব্যথা, কাঁশি, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হন।

কিন্তু সরকারি ভাবে তাদের কোন মাস্ক সরবরাহ করে না, যা অত্যন্ত বৈষম্য ও অমানবিক। ট্রাফিক পুলিশরা সাধারণত দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকেন, অতিরিক্ত দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাদের হাড়ের ক্ষয় হয়, যা পরবর্তীতে তাদের চলাফেরা করার জন্য বিরাট হুমকি। তাদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া অনেক নারী ট্রাফিক সার্জেন্টদের জন্য নির্দিষ্ট টয়লেট নেই। সবাই ট্রাফিক পুলিশদের জন্য রাস্তার পাশে শৌচাগারসহ বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই, ফলে রোদে ডিহাইড্রেশন হয়। অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পাইলস হয়। এক কথায় বলতে গেলে দূষিত বায়ু, অতিরিক্ত শব্দ রোদ বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে এমন কোন রোগ নাই যে যা ট্রাফিক পুলিশদের হয় না। প্রতিনিয়ত উচ্চশব্দের মধ্যে থাকায় অনেকের স্বভাব এবং আচরণ হয়ে ওঠে খিটখিটে। যার প্রভাব ব্যক্তি জীবনে গিয়ে পড়ে। তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে, সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি।

সাইমুম আল-আমিন

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

ট্রাফিক পুলিশের সুখদুঃখ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের বিভাগীয় শহরগুলো দেশের অর্থনীতির বঙ স্টেক হোল্ডার। অর্থনীতি ঠিক রাখতে হলে শহরগুলোকে সু নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই প্রয়োজন। সু নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অবদান অনস্বীকার্য। রোদ বৃষ্টি ঝড়-ঝঞ্ঝা সবাই বাধা পেরিয়ে তারা দায়িত্ব অটুট থাকে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর ট্রাফিক পুলিশের যে কত গুরুত্ব তা আমরা অত্যন্ত ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। একটা বিষয় দেখতে পাচ্ছি তাদের কাজে একটু উনিশ বিশ হলেই শুনতে হয় অপবাদ, মাঝে মাঝে তারা অপদস্ত হন। অনেক সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।অতিরিক্ত যানবাহন, ফুটপাত দখল, রিকশা ও পথচারীর খামখেয়ালী, দক্ষ চালক এর অভাব, বাস স্টপেজ না থাকা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা এসব কিছুর সঙ্গে লড়াই করে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ।

দেশের প্রত্যেকটি শহরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল করছে মোটরসাইকেল। প্রতিমাসে সারাদেশে প্রায় গঙে ১৫০ থেকে ২০০ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর আমরা পেয়ে থাকি। দেশে পার্কিং ব্যবস্থা ছাঙা গঙে উঠেছে পেট্রল পাম্প, শপিং মল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা যা প্রত্যেকটি শহরে যানজট আরো বাডড়য়ে দিয়েছে। তাছাঙা কিছু চালকরা তো হুদাই হর্ন দিয়ে থাকেন।আমাদের দেশে সিগন্যাল লাইট নাই বললেই চলে। ত্রিমুখী ও চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ পালাক্রমে দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন। যানজট সড়ক দুর্ঘটনাসহ সবাই বিষয় ট্রাফিক পুলিশদেরকে দোষারোপ করা হয়। মাঝে মাঝে সিগন্যাল ছাড়তে একটু দেরি হলেই যাত্রীরা ট্রাফিক পুলিশদের গালমন্দ করে।

এই ট্রাফিক পুলিশদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পাই একটি সুন্দর ভ্রমণের নিশ্চয়তা। তারা আমাদের এই নিশ্চয়তা দিতে গিয়ে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেন, তা নিয়ে একটু চিন্তা করার প্রয়োজন বোধটুকু মনে করি না। আমরা জানি যে মানুষের শব্দের সহনশীল মাত্রা হচ্ছে ৫০ ডেসিবল। কিন্তু নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নের কারণে তখন প্রায় ৯৫ ডেসিবল হর্ন তাদের সহ্য করতে হয়। এই উচ্চ শব্দের কারণে তারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন, শ্রবণ শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, প্রচ- মাথা ব্যাথা করে। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাই না। উন্নত বিশ্বে ট্রাফিক পুলিশরা আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ১০০ ডেসিবল থেকে শব্দের মাত্রা ৩০ ডেসিবে নিয়ে আসেন। যা আমাদের দেশে সবাই ট্রাফিক পুলিশদের দেয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের ঢাকা শহর বায়ু দূষণের দিক দিয়ে মাঝে মাঝে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। আমাদের বায়ুতে রয়েছে সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, ধুলাবালিসহ নানান উপাদান। এ সবাই কারণে ট্রাফিক পুলিশদের ফুসফুস জনিত রোগ, এজমা, পেট ব্যথা, কাঁশি, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হন।

কিন্তু সরকারি ভাবে তাদের কোন মাস্ক সরবরাহ করে না, যা অত্যন্ত বৈষম্য ও অমানবিক। ট্রাফিক পুলিশরা সাধারণত দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকেন, অতিরিক্ত দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাদের হাড়ের ক্ষয় হয়, যা পরবর্তীতে তাদের চলাফেরা করার জন্য বিরাট হুমকি। তাদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া অনেক নারী ট্রাফিক সার্জেন্টদের জন্য নির্দিষ্ট টয়লেট নেই। সবাই ট্রাফিক পুলিশদের জন্য রাস্তার পাশে শৌচাগারসহ বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই, ফলে রোদে ডিহাইড্রেশন হয়। অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে পাইলস হয়। এক কথায় বলতে গেলে দূষিত বায়ু, অতিরিক্ত শব্দ রোদ বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে এমন কোন রোগ নাই যে যা ট্রাফিক পুলিশদের হয় না। প্রতিনিয়ত উচ্চশব্দের মধ্যে থাকায় অনেকের স্বভাব এবং আচরণ হয়ে ওঠে খিটখিটে। যার প্রভাব ব্যক্তি জীবনে গিয়ে পড়ে। তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে, সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি।

সাইমুম আল-আমিন

back to top