মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন সবার আগে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে দেশের সম্পদ তৈরি হতে ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একই চিত্র। নিরাপত্তার কৌটা একেবারে নিচের সারিতে নেমে আছে। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে কোথাও নিরাপদ নয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এবং বাইরে অহরহ যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে নারী শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বেশ কিছু আগে। ধর্ষণের প্রতিবাদে স্লোগান দেয়া এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে স্থানীয় এবং প্রভাবশালীরা বর্বরভাবে ঝাপিয়ে পড়ে তাদের উপর। তা ছাড়া পরিবহনের ভাড়া নিয়ে ঝামেলা নিত্যদিনের সঙ্গী।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হন। তাকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। এসব ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়েরর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা নড়বড়ে তার প্রমাণ। কোন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ও বাইরে নিরাপদ না। সে যে কোন সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সাক্ষী হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আশা করি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রাশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী এদিকে দৃষ্টি দেবেন। তবেই শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে।
জুবায়েদ মোস্তফা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২
সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন সবার আগে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে দেশের সম্পদ তৈরি হতে ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একই চিত্র। নিরাপত্তার কৌটা একেবারে নিচের সারিতে নেমে আছে। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে কোথাও নিরাপদ নয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এবং বাইরে অহরহ যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে নারী শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বেশ কিছু আগে। ধর্ষণের প্রতিবাদে স্লোগান দেয়া এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে স্থানীয় এবং প্রভাবশালীরা বর্বরভাবে ঝাপিয়ে পড়ে তাদের উপর। তা ছাড়া পরিবহনের ভাড়া নিয়ে ঝামেলা নিত্যদিনের সঙ্গী।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হন। তাকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। এসব ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়েরর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা নড়বড়ে তার প্রমাণ। কোন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ও বাইরে নিরাপদ না। সে যে কোন সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সাক্ষী হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আশা করি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রাশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী এদিকে দৃষ্টি দেবেন। তবেই শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে।
জুবায়েদ মোস্তফা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।