মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সংবাদপত্রকে বিশ্ব সভ্যতার আয়না হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা একজন সংবাদপত্র পাঠক এই আয়নার সম্মুখে দাঁড়িয়ে নিজের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।
তবে এতকিছুর পরও সংবাদপত্র পাঠের ঝোঁক কমছে বলে অনুযোগ শোনা যায় হামেশাই। সাধারণ মানুষের এই সংবাদপত্র বিমুখতার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে নানা দিক সামনে চলে আসে।
বিশেষজ্ঞের মতে, মানুষের জীবনে প্রযুক্তিনিভর্রতা বেড়ে যাওয়াই এর অন্যতম প্রধান কারণ। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, তারই হাত ধরে আজ সবার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুলভ সুযোগ এসে পৌঁছেছে। সেই সূত্রেই বর্তমান তরুণ সমাজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বিভিন্ন মাধ্যমকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলস্বরূপ পাঠকের সঙ্গে সংবাদপত্রের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আলগা হচ্ছে।
মানুষ যত নিজেকে অপরের কাছে মেলে ধরতে চেয়েছে এবং নিজের সঙ্গে অপরের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উপলব্ধি করতে তৎপর হয়েছে ততই সংবাদপত্র সেই প্রকাশের ও উপলব্ধির সহায়ক উপকরণ রূপে উপস্থিত হয়েছে। সংকীর্ণ জীবনের গন্ডি থেকে সংবাদপত্র মানুষকে মুক্তি দিয়ে বৃহত্তর জগতে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং যে কোন আধুনিক মানুষের কাছে সংবাদপত্র যে তার মনের খোরাক জোগাতে পারে- সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই সংবাদপত্র পাঠ আমাদের প্রত্যেকটি সচেতন মানুষের জন্যই অতীব প্রয়োজন।
শুধু পাঠ্যবই পড়লেই জ্ঞান অর্জন করা যায় না। একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে তাকে সব বিষয়ে জ্ঞান রাখে হবে। আর সেই জ্ঞান অর্জন করতে হলে নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ করতে হবে। সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, শিল্প-বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিনােদন, স্বাস্থ্য, চাকরি, জীবিকা ইত্যাদি সম্পর্কে সবরকম তথ্য ঘরে বসে সহজেই জানা যায়। নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে বহুমুখী জ্ঞান অর্জনের সুযোগ হয়। এতে যেমন জ্ঞানের ক্ষেত্র যেমন সম্প্রসারিত হয়, তেমনি ভাষাজ্ঞানও বাড়ে।
তাছাড়া দেশ ও জাতির সমস্যা-সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। রাজনৈতিক, সামাজিক সচেতনতা জাগ্রত হয়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্প্রীতিবোধের প্রসার ঘটে। নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ মেধাকে শানিত করে তোলে। ফলে জানার পরিধি যেমন বাড়ে তেমনি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এভাবে সংবাদপত্র একজন মানুষকে প্রকৃত ও সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও সংবাদপত্র পড়তে হবে অজানাকে জানার জন্য, আনন্দের জন্য। সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে অতি সহজেই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব- যদি সংবাপত্রের সঙ্গে সেরকম সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। তাই সৃজনশীলতা বিকাশে আমাদের নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠে আগ্রহী হওয়া জরুরি।
মেহেদী হাসান অর্ণব
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সংবাদপত্রকে বিশ্ব সভ্যতার আয়না হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা একজন সংবাদপত্র পাঠক এই আয়নার সম্মুখে দাঁড়িয়ে নিজের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।
তবে এতকিছুর পরও সংবাদপত্র পাঠের ঝোঁক কমছে বলে অনুযোগ শোনা যায় হামেশাই। সাধারণ মানুষের এই সংবাদপত্র বিমুখতার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে নানা দিক সামনে চলে আসে।
বিশেষজ্ঞের মতে, মানুষের জীবনে প্রযুক্তিনিভর্রতা বেড়ে যাওয়াই এর অন্যতম প্রধান কারণ। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, তারই হাত ধরে আজ সবার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুলভ সুযোগ এসে পৌঁছেছে। সেই সূত্রেই বর্তমান তরুণ সমাজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বিভিন্ন মাধ্যমকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলস্বরূপ পাঠকের সঙ্গে সংবাদপত্রের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আলগা হচ্ছে।
মানুষ যত নিজেকে অপরের কাছে মেলে ধরতে চেয়েছে এবং নিজের সঙ্গে অপরের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উপলব্ধি করতে তৎপর হয়েছে ততই সংবাদপত্র সেই প্রকাশের ও উপলব্ধির সহায়ক উপকরণ রূপে উপস্থিত হয়েছে। সংকীর্ণ জীবনের গন্ডি থেকে সংবাদপত্র মানুষকে মুক্তি দিয়ে বৃহত্তর জগতে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং যে কোন আধুনিক মানুষের কাছে সংবাদপত্র যে তার মনের খোরাক জোগাতে পারে- সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই সংবাদপত্র পাঠ আমাদের প্রত্যেকটি সচেতন মানুষের জন্যই অতীব প্রয়োজন।
শুধু পাঠ্যবই পড়লেই জ্ঞান অর্জন করা যায় না। একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে তাকে সব বিষয়ে জ্ঞান রাখে হবে। আর সেই জ্ঞান অর্জন করতে হলে নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ করতে হবে। সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, শিল্প-বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিনােদন, স্বাস্থ্য, চাকরি, জীবিকা ইত্যাদি সম্পর্কে সবরকম তথ্য ঘরে বসে সহজেই জানা যায়। নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে বহুমুখী জ্ঞান অর্জনের সুযোগ হয়। এতে যেমন জ্ঞানের ক্ষেত্র যেমন সম্প্রসারিত হয়, তেমনি ভাষাজ্ঞানও বাড়ে।
তাছাড়া দেশ ও জাতির সমস্যা-সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। রাজনৈতিক, সামাজিক সচেতনতা জাগ্রত হয়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্প্রীতিবোধের প্রসার ঘটে। নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ মেধাকে শানিত করে তোলে। ফলে জানার পরিধি যেমন বাড়ে তেমনি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এভাবে সংবাদপত্র একজন মানুষকে প্রকৃত ও সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও সংবাদপত্র পড়তে হবে অজানাকে জানার জন্য, আনন্দের জন্য। সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে অতি সহজেই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব- যদি সংবাপত্রের সঙ্গে সেরকম সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। তাই সৃজনশীলতা বিকাশে আমাদের নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠে আগ্রহী হওয়া জরুরি।
মেহেদী হাসান অর্ণব