মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বিশ্বের যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয় সেগুলোকে ব্রেড বাস্কেট বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে এমন ছয়টি ব্রেড বাস্কেট রয়েছে। ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, চায়না, কানাডা, আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চল) এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন- এসব জায়গা থেকেই পৃথিবীর খাদ্যদ্রব্যের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়।
কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় উৎপাদন এবং রপ্তানি অনেকাংশে বন্ধ রয়েছে। পৃথিবীর তিনভাগের একভাগ গম ও বার্লি রাশিয়া এবং ইউক্রেনে উৎপাদন হয়। শুধু তাই নয়, সমগ্র বিশ্বের ৪০ শতাংশ তেল এবং ১৬ শতাংশ ভুট্টা এই রাশিয়া-ইউক্রেন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত হয়। সেই সাথে সার উৎপাদনের বাজার ধরে রেখেছে রাশিয়া। আমেরিকার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সার রপ্তানিও এখন বন্ধ। ব্রাজিলের উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সারের রপ্তানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু এ যুদ্ধ চলমান থাকায় ব্রাজিলের সার আমদানিও বন্ধ রয়েছে। ব্রাজিল সারের অভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। তাই ব্রাজিলে উৎপাদন বহুলাংশে কমে এসেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছ দুর্ভিক্ষ ঘটার। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি ইউরোপে খরা, অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা। সেই সাথে করোনা অতিমারির প্রভাব তো রয়েছেই। এসব কারণে বিশ্বের ৪৫টি দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আফ্রিকার ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং দক্ষিণ সুদান। এশিয়ার মধ্যে ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণতায় রয়েছে। সর্বশেষ যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখেছে বাংলাদেশ সেটি ঘটেছিল ১৯৭৪ সালে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সেই দুর্ভিক্ষে মারা যায়।
এই দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় সরকারের সারের দাম কমাতে হবে এবং তা কৃষকের কাছে সহজে সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। হিমাগারের যথেষ্ট ব্যবস্থা করতে হবে। ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কম সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করা যায়। পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। কোন জমিই অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না।
রুবেল আহমেদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
বিশ্বের যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয় সেগুলোকে ব্রেড বাস্কেট বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে এমন ছয়টি ব্রেড বাস্কেট রয়েছে। ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, চায়না, কানাডা, আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চল) এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন- এসব জায়গা থেকেই পৃথিবীর খাদ্যদ্রব্যের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়।
কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় উৎপাদন এবং রপ্তানি অনেকাংশে বন্ধ রয়েছে। পৃথিবীর তিনভাগের একভাগ গম ও বার্লি রাশিয়া এবং ইউক্রেনে উৎপাদন হয়। শুধু তাই নয়, সমগ্র বিশ্বের ৪০ শতাংশ তেল এবং ১৬ শতাংশ ভুট্টা এই রাশিয়া-ইউক্রেন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত হয়। সেই সাথে সার উৎপাদনের বাজার ধরে রেখেছে রাশিয়া। আমেরিকার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সার রপ্তানিও এখন বন্ধ। ব্রাজিলের উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সারের রপ্তানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু এ যুদ্ধ চলমান থাকায় ব্রাজিলের সার আমদানিও বন্ধ রয়েছে। ব্রাজিল সারের অভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। তাই ব্রাজিলে উৎপাদন বহুলাংশে কমে এসেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছ দুর্ভিক্ষ ঘটার। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি ইউরোপে খরা, অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা। সেই সাথে করোনা অতিমারির প্রভাব তো রয়েছেই। এসব কারণে বিশ্বের ৪৫টি দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আফ্রিকার ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং দক্ষিণ সুদান। এশিয়ার মধ্যে ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণতায় রয়েছে। সর্বশেষ যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখেছে বাংলাদেশ সেটি ঘটেছিল ১৯৭৪ সালে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সেই দুর্ভিক্ষে মারা যায়।
এই দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় সরকারের সারের দাম কমাতে হবে এবং তা কৃষকের কাছে সহজে সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। হিমাগারের যথেষ্ট ব্যবস্থা করতে হবে। ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কম সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করা যায়। পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। কোন জমিই অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না।
রুবেল আহমেদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ