প্রেমে ব্যর্থ হওয়ায়
ভোলায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্রী তানজিম আক্তার মালাকে হত্যা ও ছোট বোন মারজিয়াকে দগ্ধ করার অপরাধে আসামী মহব্বত হাওলাদার ( অপু)কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু । আমালার আদেশ ও বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাত আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটের সময় আসামী মহব্বত হাওলাদার অপু এসিড নিক্ষেপ করলে মালা ও তার বোন মারজিনার গলামুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায় মালা। এদিকে আসামী মহব্বত হাওলাদার ঘটনা স্বীকার করে আদালতকে জানায় আব্দুল মান্নান মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পাশ করা মালার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাকে পাশ কাটিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে এসিড নিক্ষেপ করে। এদিকে রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, যেহেতু আসামী ছাত্র । তাই মৃত্যু দন্ডাদেশ না দিয়ে মালা হত্যার জন্য আসামীকে আমৃত্যু যাবজ্জীন দান্ডাদেশ ও ৭৫ হাজার টাকা অর্থ দান্ডাদেশ দেয়া হয়। অপরদিকে চরম যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে থাকা মারজিয়ার যার গলা, বামপাশ , মাথা, ঘাড়, পা দগ্ধ হয়েছে, এ জন্য আসামীকে সর্বচ্চ সাজা ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ,২০০০ এর ৪ (১) ধারায় অপরাধ প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আসামীকে এ শাস্তি প্রদান করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী। আসামী মহব্বত হাওলাদারের বাড়ি জেলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বালিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মানিক হাওলাদার। সে ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
প্রেমে ব্যর্থ হওয়ায়
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভোলায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্রী তানজিম আক্তার মালাকে হত্যা ও ছোট বোন মারজিয়াকে দগ্ধ করার অপরাধে আসামী মহব্বত হাওলাদার ( অপু)কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু । আমালার আদেশ ও বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাত আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটের সময় আসামী মহব্বত হাওলাদার অপু এসিড নিক্ষেপ করলে মালা ও তার বোন মারজিনার গলামুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায় মালা। এদিকে আসামী মহব্বত হাওলাদার ঘটনা স্বীকার করে আদালতকে জানায় আব্দুল মান্নান মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পাশ করা মালার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাকে পাশ কাটিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে এসিড নিক্ষেপ করে। এদিকে রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, যেহেতু আসামী ছাত্র । তাই মৃত্যু দন্ডাদেশ না দিয়ে মালা হত্যার জন্য আসামীকে আমৃত্যু যাবজ্জীন দান্ডাদেশ ও ৭৫ হাজার টাকা অর্থ দান্ডাদেশ দেয়া হয়। অপরদিকে চরম যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে থাকা মারজিয়ার যার গলা, বামপাশ , মাথা, ঘাড়, পা দগ্ধ হয়েছে, এ জন্য আসামীকে সর্বচ্চ সাজা ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ,২০০০ এর ৪ (১) ধারায় অপরাধ প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আসামীকে এ শাস্তি প্রদান করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী। আসামী মহব্বত হাওলাদারের বাড়ি জেলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বালিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মানিক হাওলাদার। সে ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।