alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অটিজম শিশুকে অবহেলা নয়

: সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

অটিজম নিয়ে আমাদের রয়েছে অনেক ধরনের মতভেদ ও ভুল ধারণা। অনেকই বলেন, বাবা-মায়ের পাপের ফসল বা অভিশাপ থেকে অটিজম শিশুর জন্ম। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এটি বংশগত রোগ বা সঠিক পরিচর্যা না করার কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো একেবারেই অবান্তর ধারণা। আসলে সুস্থ্য বাবা মায়ের ভ্রূণ থেকেও বিশেষ শিশু জন্ম নিতে পারে। অনেক সময় আমরা অটিজম শিশুর বাবা-মাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে নিগৃহীত করি।

অটিজম কোন মানসিক রোগ নয়। অন্যান্য মানসিক বা মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে অটিজমকে আলাদা করে দেখা হয়। কারন বেশিরভাগ অটিস্টিক শিশুরা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হয়। প্রায় প্রতি ১০ জন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে ১ জনের মধ্যে অসাধারণ দক্ষতা দেখা যায় ছবি আঁকা, গান, গণিত কিংবা কম্পিউটারে। অটিজম একটি মস্তিষ্কের বিকাশগত সমস্যা হলেও রোগটি শনাক্ত করা হয় একটি শিশু অথবা কিশোরের ব্যবহারিক সমস্যা দেখে, মা-বাবার কাছ থেকে বিস্তারিত ইতিহাস শুনে এবং কিছু মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা। কোন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে এ রোগটি আজ অবধি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

অটিজমের কোন জাদুকরি চিকিৎসা নেই। তবে উন্নত দেশসমূহে অটিজমের নানা ধরনের চিকিৎসা বের হয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত ও কার্য়করী চিকিৎসা হচ্ছে অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি। যত দ্রুত এ রোগটি শনাক্ত করা যায় এবং যত দ্রুত একটি অটিস্টিক শিশুকে সঠিকভাবে যথোপযোগী একটা শিক্ষা কার্য়ক্রমে সম্পৃক্ত করা যায় তত তাড়াতাড়ি উন্নতি লাভ করা যায়।

আমরা অনেক সময় অটিজম শিশুদের অবহেলা করি। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, আপনার শিশুটিও অটিজম হতে পারতো বা আগামীর শিশুটিও অটিজম হতে পারে। তাই অবহেলা-অনাদর নয়, আসুন আমরা অটিজম শিশুদের জন্য একটি বাসযোগ্য সুন্দর মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলি।

তাদের আর সামাজিকভাবে রুদ্ধ করে রাখবো না, বন্দী করে রাখবো না, শৃঙ্খলিত করে রাখবো না। প্রত্যেক বিশেষ শিশুর রয়েছে নিজস্ব প্রতিভা। যে যেই কাজেই পারদর্শী সেই কাজই তাকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, প্রশিক্ষিত করতে হবে। তাদেরও কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সচেতনতা ও সহযোগিতা। সরকার, পরিবার, অভিভাবক, চিকিৎসক, শিক্ষক, সহপাঠিসহ সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে অটিস্টিক শিশুরা সমাজের মূলস্রোতে সহজেই নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে। সচেতন মানুষের সহযোগিতার হাত ধরে এগিয়ে যাবে অটিস্টিক শিশুদের জীবন।

সুরাইয়া ইয়াসমিন তিথি

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অটিজম শিশুকে অবহেলা নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১

অটিজম নিয়ে আমাদের রয়েছে অনেক ধরনের মতভেদ ও ভুল ধারণা। অনেকই বলেন, বাবা-মায়ের পাপের ফসল বা অভিশাপ থেকে অটিজম শিশুর জন্ম। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এটি বংশগত রোগ বা সঠিক পরিচর্যা না করার কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো একেবারেই অবান্তর ধারণা। আসলে সুস্থ্য বাবা মায়ের ভ্রূণ থেকেও বিশেষ শিশু জন্ম নিতে পারে। অনেক সময় আমরা অটিজম শিশুর বাবা-মাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে নিগৃহীত করি।

অটিজম কোন মানসিক রোগ নয়। অন্যান্য মানসিক বা মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে অটিজমকে আলাদা করে দেখা হয়। কারন বেশিরভাগ অটিস্টিক শিশুরা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হয়। প্রায় প্রতি ১০ জন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে ১ জনের মধ্যে অসাধারণ দক্ষতা দেখা যায় ছবি আঁকা, গান, গণিত কিংবা কম্পিউটারে। অটিজম একটি মস্তিষ্কের বিকাশগত সমস্যা হলেও রোগটি শনাক্ত করা হয় একটি শিশু অথবা কিশোরের ব্যবহারিক সমস্যা দেখে, মা-বাবার কাছ থেকে বিস্তারিত ইতিহাস শুনে এবং কিছু মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা। কোন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে এ রোগটি আজ অবধি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

অটিজমের কোন জাদুকরি চিকিৎসা নেই। তবে উন্নত দেশসমূহে অটিজমের নানা ধরনের চিকিৎসা বের হয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত ও কার্য়করী চিকিৎসা হচ্ছে অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি। যত দ্রুত এ রোগটি শনাক্ত করা যায় এবং যত দ্রুত একটি অটিস্টিক শিশুকে সঠিকভাবে যথোপযোগী একটা শিক্ষা কার্য়ক্রমে সম্পৃক্ত করা যায় তত তাড়াতাড়ি উন্নতি লাভ করা যায়।

আমরা অনেক সময় অটিজম শিশুদের অবহেলা করি। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, আপনার শিশুটিও অটিজম হতে পারতো বা আগামীর শিশুটিও অটিজম হতে পারে। তাই অবহেলা-অনাদর নয়, আসুন আমরা অটিজম শিশুদের জন্য একটি বাসযোগ্য সুন্দর মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলি।

তাদের আর সামাজিকভাবে রুদ্ধ করে রাখবো না, বন্দী করে রাখবো না, শৃঙ্খলিত করে রাখবো না। প্রত্যেক বিশেষ শিশুর রয়েছে নিজস্ব প্রতিভা। যে যেই কাজেই পারদর্শী সেই কাজই তাকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, প্রশিক্ষিত করতে হবে। তাদেরও কর্মক্ষম ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সচেতনতা ও সহযোগিতা। সরকার, পরিবার, অভিভাবক, চিকিৎসক, শিক্ষক, সহপাঠিসহ সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে অটিস্টিক শিশুরা সমাজের মূলস্রোতে সহজেই নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে। সচেতন মানুষের সহযোগিতার হাত ধরে এগিয়ে যাবে অটিস্টিক শিশুদের জীবন।

সুরাইয়া ইয়াসমিন তিথি

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top